স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তিনদিন ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বাড়িতে অনশন অব্যাহত রেখেছেন গাইবান্ধার এক তরুণী। গত বুধবার বিকেল থেকে এ অনশন শুরু করেন ওই তরুণী।
জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউপির বড় বাউল গ্রামের মো. সামছুল আলমের ছেলে মো. রেজাউল করিমের সাথে প্রেমের সূত্র ধরে গত ২০২০ সালের ১০ আগস্ট গোপনে বিয়ে সম্পন্ন হয় ওই তরুণী প্রেমিকার। বিয়ের পর শারীরিক সম্পর্কের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই তরুণী। এরপরে বিষয়টি প্রেমিক স্বামীকে জানালে স্বামী মুঠোফোন বন্ধ করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অবশেষে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে এলে প্রেমিক স্বামী রেজাউল করিম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে টানাহেঁচড়া করে বাড়ি থেকেও বের করে দেয়। বর্তমানে ওই এলাকার ইউপি সদস্য সুমন শাহর বাড়িতে অবস্থান করছেন ওই প্রেমিকা স্ত্রী।
এসময় ওই তরুণী স্ত্রী বলেন, গত ৫ বছর আগে প্রেমিক স্বামী রেজাউল হক গাইবান্ধায় একটি বিয়ের দাওয়াত খেতে এলে সেখানে তাদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সুবাদে তিনি আমাকে দিনাজপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যান এবং শারীরিক সম্পর্ক করেন। ফলে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। বিষয়টি আমি তাকে মুঠোফোনে জানালে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তাই উপায় না পেয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি ও গর্ভের সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবিতে শ্বশুর বাড়িতে আসলে সে সটকে পড়ে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বাধ্য হয়ে বর্তমানে আমি ইউপি সদস্য সুমন শাহর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বজলুর রশিদ বলেন, লিখিতভাবে কোন অভিযোগ পাইনি। মৌখিকভাবে জানার পর মেয়ের বাড়ি গাইবান্ধা সদরের ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়ের বাবা-মাকে আসার অনুরোধ করেছি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ছেলে-মেয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। সমাধান না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ