৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৮:৩৯

মহেশখালীতে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মহেশখালীতে বন বিভাগের 
উচ্ছেদ অভিযান

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার পশ্চিমে প্যারাবন নিধন করে অবৈধভাবে গড়ে তুলা চিংড়ি ঘেরে অভিযান চালিয়েছে উপকূলীয় বন বিভাগ। অভিযান চলাকালে বনভূমি জবরদখলকারীরা বন বিভাগের কর্মকর্তা ও বনকর্মীদের উপর হামলা চালায়। পরে বনকর্মীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে দুষ্কৃতকারীদের তাড়িয়ে দেয়। এসময় ৩০০ একরেরও বেশি গভীর বনাঞ্চল উদ্ধার এবং বনের ৫০ শতক জায়গায় গড়ে তোলা বেশ কয়েকটি পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বন বিভাগ। 

কক্সবাজার উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ শেখ আবুল কালাম আজাদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পশ্চিমে আমাবশ্যাখালী মৌজায় অবস্থিত বিশাল ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট তথা প্যারাবন কেটে অবৈধ বাধ দিয়ে চিংড়ি ঘের করে আসছিল। এ ব্যপারে উপকূলীয় বন বিভাগ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেন। 

তিনি জানান, উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে বন বিভাগের কর্মকর্তা ও বন কর্মীরা সপ্তাহব্যাপী উক্ত এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে উপকূলীয় বনবিভাগের জমি দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণের অপচেষ্টা ভন্ডুল করে দেয়। অভিযান চলাকালে বনভূমি জবরদখলকারী দুষ্কৃতকারীরা বন কর্মীদের উপর গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে বন বিভাগের কর্মীরা ফাকা গুলি ছুঁড়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়। পর বেড়ি বাঁধ কেটে দিয়ে পানির প্রবাহ পুনঃস্থাপন করে এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ৩০০ একর প্যারাবনের জমি উদ্ধার করা হয়েছে। 

তিনি জানান, একই সময়ে উপকুলীয় বন বিভাগের  মহেশখালী রেঞ্জের কেরনতলী বিটের কাছে হোয়ানক কলেজের পিছনে সরকারি সংরক্ষিত বনের ৫০ শতক জায়গা অবৈধভাবে জবরদখল করে নির্মাণ করা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ করেছিল। অভিযান চলাকালে বন কর্মীরা ১১৩ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহমান জানান, এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় এ অভিযানে শেখ আবুল কালাম আজাদ, সহকারী বন সংরক্ষক, কক্সবাজার, মোঃ আইয়ুব আলী, রেঞ্জ কর্মকর্তা, গোরকঘাটা রেঞ্জ, খাঁন জুলফিকার আলী, রেঞ্জ কর্মকর্তা, মহেশখালী রেঞ্জসহ উপকূলীয় বন বিভাগের ৫০ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং সহস্রাধিক গুলি ও কার্তুজসহ অংশগ্রহণ করেন। 
বনবিভাগের মূল্যবান জমি দখলের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া প্যারাবন জবর দখলকারী মোট ৮০ জনের বিরুদ্ধে গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্তৃক মহেশখালী থানায় ৩টি ও মহেশখালী বন আদালতে ১৬টি বন মামলা দায়ের করা হয়েছে। উচ্ছেদ কৃত জবরদখল কারীদের বিরুদ্ধে বন আইন অনুযায়ী বন মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর