লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী এলাকায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী সাহিদা বেগম (২৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্বামী পলাতক রয়েছে।
শনিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার বুড়িমারীর মুকলি বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাহিদা বেগম (২৫) পাটগ্রাম উপজেলার কালিরহাট টেপুর গাড়ি গ্রামের সৈয়দ আলী মেয়ে। অভিযুক্ত দুলাল হোসেন (৩৮) উপজেলার বুড়িমারী মুক্তির বাড়ি এলাকার ওসমান গনির ছেলে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ১০ বছর পূর্বে উপজেলার বুড়িমারীর মুকলিবাড়ির এলাকার ওসমান গনির ছেলে দুলাল হোসেনের সাথে একই উপজেলার কালিরহাট টেপুরগাড়ি এলাকার সৈয়দ আলীর মেয়ে সাহিদা বেগমের বিয়ে হয়। গৃহবধূ সাহিদার কোলজুড়ে আসে দুই সন্তান। কিন্তু স্বামী দুলাল হোসেন ও তার পরিবার যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করতো সাহিদা বেগমকে।
শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর স্বামী দুলাল হোসেনের (৪০) সাথে স্ত্রী সাহিদা বেগমের কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে স্ত্রীর ওপর চড়াও হয়ে ধারাল ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন দুলাল। এ সময় গৃহবধূ সাহিদা ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটে পড়ে। বাড়ির পাশের লোকজন বুঝতে পেরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে ।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন,পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল