নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা উত্তরপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ টি পরিবারের সদস্যরা পাঁচ দিনেও নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরতে পারেননি। আশপাশের বাড়ির আঙিনায় ও গাছপালা এবং খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তারা। গৃহনির্মাণ সামগ্রীর সংকট এবং দীর্ঘদিনের ভূমি বিরোধের কারণে তারা নতুন করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে পারছেন না। ফলে খোলা আকাশের নিচে বসবাসরত পরিবারগুলোর ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ইয়াদুল ইসলাম বলেন, নতুন করে শোবার ঘর, রান্নাঘর ও শৌচাগার নির্মাণ করা না হলে বসবাস করা যাবে না। আর এসব করতে এখন নির্মাণসামগ্রী ও নগদ টাকা দরকার, যা আমাদের কাছে নেই। তিনি আরও বলেন, পুড়ে যাওয়া ভিটার আদি মালিক ছিলেন ঝড়ু প্রামাণিক, ছইর প্রামাণিক ও জমির প্রামাণিক। ঝড় প্রামাণিক মারা গেলে তাঁর চার ছেলে বরকত প্রাং, সেকেন্দার প্রাং, বাদেশ প্রাং ও আদেশ প্রাং বসবাস করতেন। ছইর প্রামাণিক মারা যাওয়ার পর তাঁর পাঁচ ছেলে নাজির প্রাং, উজির প্রাং, উকিল প্রাং, হাকিম প্রাং ও মুক্তার প্রাং বসবাস করতেন। জমির প্রাং মারা যাওয়ায় তাঁর দুই ছেলে খলিল প্রাং ও অলিল প্রাং বসবাস করছিলেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে জমি ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়নি। যে যাঁর মতো কাঁচাঘর নির্মাণ করে বসবাস করছিলেন। বাঁশিলা উত্তরপাড়ার বাসিন্দারা জানান, রান্নার চুলার আগুন থেকে গত রবিবার বিকেলে ২৪টি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। বাড়িগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি লাগোয়া। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আজ শুক্রবার সরজমিনে বাঁশিলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই পুড়তে অবশিষ্ট নেই। ভুক্তভোগীরা আশপাশের বাড়িগুলোতে কোনোমতে ঠাঁই নিয়েছেন।এ বিষয়ে স্থানীয় মাধনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার বলেন, বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ায় ২৪টি পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। নতুন আবাসন নির্মাণ করে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করার জন্য সবকিছুই করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভূমি বিরোধ মেটানো নিয়েও আলোচনা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল