লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় আরও ৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে র্যাব ৪ জনকে ও পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ পর্যন্ত জোড়া খুনের ঘটনায় ১০ জন গ্রেফতার হয়েছে।
সোমবার দুপুরে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান ও জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মশিউর রহমান নিশান, রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক দেওয়ান ফয়সাল, আওয়ামী লীগ কর্মী রুবেল দেওয়ান ও নাজমুল হোসেন। এরমধ্যে নিশান মামলার দ্বিতীয়, ফয়সাল তৃতীয় ও রুবেল ১১ নাম্বার আসামি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নাজমুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে র্যাব তাদেরকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ইউপি নির্বাচন নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নোমান-রাকিবকে গুলি করে হতা করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদী ১৯৯৬ সালে নিজের নামে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। তার বাহিনীতে ৩০০ সক্রিয় সদস্য রয়েছে। যাদের মাধ্যমে তিনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। তাকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান ও তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, কাশেম জিহাদী তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তার করে এলাকায় চাঁদাবাজী, টেন্ডাবাজী, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। ২০১৩ সালে দত্তপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামিম, ২০০০ সালে আইনজীবী নুরুল ইসলাম, দত্তপাড়া এলাকার আবু তাহের, বশিকপুরের নন্দীগ্রামের মোরশেদ আলম, করপাড়ার মনির হোসেন, উত্তর জয়পুরের সেলিম ভূঁইয়া ও কামাল হোসেন হত্যা মামলাসহ নোমান-রাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাশেম জিহাদী।
বিডি প্রতিদিন/এএ