ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের তারাইল গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত দুইজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে একটি ফিলিং স্টেশন ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আজিমনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের বাসিন্দা মো. মোতালেব মাতুব্বরের সাথে একই গ্রামের ফারুক তালুকদারের পূর্ব থেকেই আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বিরোধ ছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন উত্তেজনা চলছিল। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিক থেকে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ঈশ্বরদী গ্রামের ইমরান তালুকদার (৩২) ও শাওন ব্যাপারীকে (২০) প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুরুতর আহত দুইজনই ফারুক তালুদারের সমর্থক। এছাড়া ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আহত কয়েকজন ভর্তি রয়েছে।সংঘর্ষে ঢাকা- ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলার তারাইল গ্রামের ‘হাজি ইরফান উদ্দিন ফিলিং স্টেশন’ ভাঙচুর করা হয়। ফিলিং স্টেশনের মালিক আজিমনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোতালেব মাতুব্বরের ছোট ভাই ও মোখলেছুর রহমান সুমন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তারের বিরোধে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল