ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কাভার্ডভ্যান, মোটরচালিত পাখিভ্যান ও মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুজন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো সাতজনে।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কে কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার কাশিপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে দুই শিশু ও পাখিভ্যান চালকসহ তিনজন নিহত হয়। সেসময় আহত হয় আরও পাঁচজন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যায়।
ঘটনাস্থলে নিহত তিনজন হলেন-কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের রুবেল হোসেনের ছেলে রাফান (১৫), রুবেলের ভাগ্নি খুকুমনি (৭) ও কালীগঞ্জ উপজেলার শাহপুর ঘি-ঘাটির গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে পাখিভ্যান চালক সলেমান (৬৫)। আর যশোর হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-কোটচাঁদপুর উপজেলার তিলে চাঁদপুর গ্রামের মাজেদ শেখের ছেলে টিটু শেখ (৪০) ও শিউলি খাতুন (৫০)।
পুলিশ জানায়, আহতদের মধ্যে পেয়ারা ব্যবসায়ী আল-আমিনকে (৬৫) যশোর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পথি মধ্যে মানিকগঞ্জে তার মৃত্যু হয়। নিহত আল-আমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বৈশামারি গ্রামের নুর আলীর ছেলে। অপরদিকে আহত রিমা খাতুন (২৫) শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
নিহতদের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজন রয়েছে। তারা হলেন-কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের রুবেলের স্ত্রী রীমা খাতুন (২৫), মা শিউলী বেগম (৫০), ভাগ্নি খুকুমনি (৭) ও ছেলে রাফান (১১)। চারজন নিহতের ঘটনায় পরিবারসহ গ্রামে চলছে শোকের মাতম। আহতদের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়া গ্রামের টিপু সুলতানের ছেলে অন্তর কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আহত অন্তর হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আমরা কাভার্ডভ্যান নিয়ে সার্জিকাল মালামাল সাপ্লাই দিতে কালীগঞ্জ থেকে কোটচাঁদপুর শহরে যাচ্ছিলাম। পথি মধ্যে স্থানীয় পৌর এলাকার কাশিপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে পৌঁছালে সামনের দিক থেকে ছেড়ে আসা মাইক্রোবাস ও ইঞ্জিনচালিত পাখিভ্যান আসছিল। ওই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই