কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোখা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোস্টগার্ড, থানা পুলিশ, ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা এপিবিএন পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসনের একাধিক টিম মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। ঝুঁকির মধোই থাকা মানুষদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্যাম্পে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখার বিষয়ে সর্তক করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা।
শনিবার সারাদিন কোস্টগার্ড, টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ, ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশসহ টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের একাধিক টিম এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এমন কার্যক্রমে মানুষ আস্তে আস্তে নিরাপদে সরে যাচ্ছে। এবং বিভিন্ন সাইক্লোন সেন্টার ও আশ্রয় কেন্দ্র তারা অবস্থান করতেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য মাঠে পুলিশের একাধিক টিম রয়েছে। ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাদের সচেতনতা করা হচ্ছে।ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ৮-এপিবএনের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে শরণার্থীদের নিরাপদে সরানো হচ্ছে। পাহাড়ে ধসসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় তাদের সব সময় সর্তক থাকার জন্য বলা হচ্ছে। ক্যাম্পগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি ক্যাম্পে স্কুল ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ মজবুত সেন্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ক্যাম্পে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রেডক্রস, মেডিকেল টিম, দমকল বাহিনী, বিভিন্ন দাতা সংস্থার কর্মীসহ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবীরাও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সাইক্লোন সেন্টার ও হোটেল-মোটেল, স্কুল-মাদ্রাসাসহ আশ্রয় কেন্দ্রে সাধারণত অনিরাপদে ও ঝুঁকিতে থাকা লোকজনদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে অনেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছি। আমরা তাদের খোঁজ-খবর রাখছি। লোকজনদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য গ্রামে গ্রামে গিয়ে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি এবং সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সর্তক ও সচেতন থাকার জন্য বলা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত