ধনবাড়ীতে এক গৃহবধূর ঘরে ঢুকে একাধিকবার ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইয়াকুব আলী (৩০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী এক সন্তানের জননী গৃহবধূ ১১ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত টাঙ্গাইলে মামলা দায়ের করেন। তিনি ধনবাড়ী পৌর শহরের বাসিন্দা। এদিকে মামলা তুলে নিতে ইয়াকুব আলী ও তার সহযোগিরা ওই পরিবারকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী পৌর শহরের রূপশান্তি গ্রামের মৃত হালিম হাজীর ছেলে। স্থানীয় কাউন্সিল, উপজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন নেতাকমীর্দের দাপট দেখিয়ে চলে এই ইয়াকুক আলী এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। আর এই সকল অবৈধ কাজে সহযোগিতা করে একই এলাকার মো. শহিদ (৩৫) ও ফরিদ মিয়া (৩২)।
দায়ের করা মামলার নথি ও ভুক্তভোগী গৃহবধূর নিকট থেকে জানা যায়, বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল ইয়াকুব আলী। কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। গত ৪ মে রাতে স্বামী বাড়িতে না থাকায় ইয়াকুব আলী ঘরে ঢুকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। সহযোগিতা করে শহিদ ও ফরিদ মিয়া। ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় ধনবাড়ী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেন অভিযোগকারী।গৃহবধূর স্বামী বলেন, মামলা করার পর থেকে ইয়াকুব আলী ও তার সহযোগিরা বাড়িতে এসে প্রতিনিয়ত আমার স্ত্রীসহ পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করি।
অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছে। আমি তার শ্বশুর ও চাচা শ্বশুরদের কাছে দশ লাখ টাকা পাই। সেই টাকা নিয়ে কথা বলতে গেলে আমার ভাগিনা তারা মারধর করে। আমার ভাগিনাকে নিয়ে আমরা যখন ময়মনসিং হাসপাতালে ভর্তি সেই সময় এই মিথ্যা মামলা করেছে। হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা আছে। আপনারা চেক করে দেখেন। আমরা তখন কোথায় ছিলাম।
স্থানীয় কাউন্সিলর মওলা পাঠান বলেন, পারিবারিক বিরোধে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি মীমাংসা করতে চেয়েছিলাম। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হওয়া দরকার।
ধনবাড়ী থানার ওসি এইচএম জসিম উদ্দিন বলেন, মামলার কপি পেলে ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ