ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। সোমবার ভোর থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এদিকে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে টাঙ্গাইলের অংশে ৭ শতাধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। অপরদিকে মহাসড়কে ২টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দূরপাল্লার যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও এখনো পর্যন্ত কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। উত্তরবঙ্গগামী লেনে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। অপরদিকে ঢাকাগামী লেনে পশুবাহি ট্রাক ও আসন খালি নিয়ে যাত্রীবাহি বাস চলাচল করছে। তবে বঙ্গবন্ধুসেতু পাড় হয়ে গোবিন্দাসী ও ভুঞাপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে ভুঞাপুর লিংক রোড দিয়ে ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল করছে। সোমবার বিকেলের পর থেকে যানবাহনের চাপ আরো বাড়তে পারে বলে ধারনা করছে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। ঈদে মহাসড়কে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার উত্তরবঙ্গগামী একমুখী যান চলাচল করছে।
এদিকে যানজট নিরসনে সার্বক্ষণিক মহাসড়কে খোঁজ খবর রাখছেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার এবং পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। তাদের তৎপরতায় মহাসড়কের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে ২৯ হাজার ৮৫৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর ফলে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকা। সেতুর উপর দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী ১৪ হাজার ৮৮১টি যানবাহন যানবাহন পারাপার হয়। আর এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার ১৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৪ হাজার ৯৭৬টি যানবাহন যানবাহন পারাপার হয়। আর এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ২৬ লাখ ৪১ হাজার ১৫০ টাকা।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও কোথাও কোন যানজটের সৃষ্টি হয়নি। গতরাতে ঢাকাগামী যানবাহনের ব্যাপক চাপ ছিল। মহাসড়কে যানজট নিরসনে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মহাসড়ককে ২টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। ২৭টি মোটরসাইকেল টিম এবং ৪৩টি পিকেট টিম দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ৭টি রেকার প্রস্তত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম