২৬ জুন, ২০২৩ ১৮:৪২

গণপিটুনিতে আহত হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

গণপিটুনিতে আহত হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মৎস্য খামারী ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস (৫৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বাদশা (২৮) গণপিটুনির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছে। রবিবার রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

এর আগে, শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে এসে মায়ের সাথে দেখা করে বের হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মোঃ বাদশা মারা যান।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষুদ্ধ স্থানীয়দের গণপিটুনিতে মারা যায় সে। এ ঘটনায় আবদুর রব আবুল (৪০) নামের আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেফতার গণপিটুনিতে মৃত বাদশা রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পর পলাতক বাদশা শনিবার ভোরে তার বাড়িতে আসেন। পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে তাকে ধরে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। 
ওসি আরও বলেন, মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।     

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বেগমগঞ্জ রাজগঞ্জ ইউনিয়নের বানাবাড়িয়া টঙ্গীর পাড় গ্রাম থেকে মৎস্য খামারী ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দুলাল চন্দ্র দাস একই গ্রামের পরেশ চন্দ্রা দাসের ছেলে। এর আগের দিন রাতের কোনো এক সময় ওই গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় দুলালকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর