ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী শান্ত দশানী। দশানীর আগ্রাসনে শেরপুর সদর উপজেলার ৭নং কামারেরচর এলাকা অংশে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বাড়ি-ঘর ও গাছপালা। হুমকির মুখে পড়েছে ৭নং চরসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজার ও মসজিদ।
এমন অবস্থায় চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এই জনপথের মানুষ। এই নদীটিতে বছরের অধিকাংশ সময়ে পানিই থাকে না আর কয়েক বছর ধরে বর্ষায় নদীতে যৌবন এলেই শুরু হয় এই তাণ্ডব। শেরপুরের জনসচেনতামূলক সংগঠন জনউদ্যোগ বলছে, নদী দখল, নদীর গতি পথে বাধাসহ নানা কারণে নদী বিদ্রোহী হয়ে উঠছে।
জানা গেছে, শেরপুর সদরের কামারেরচরের ৭ নং চর এলাকায় গত বছরও কয়েক দফায় ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী দশানী নদীর ভাঙনে অনেক পরিবারের বসতভিটা, কবরস্থানসহ আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।এ বছরও দশানির ভাঙন আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত এক সপ্তাহেই অন্তত অর্ধশত একর আবাদী জমি, ৮-১০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীতে হারিয়ে গেছে গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক। দশানির ভাঙণের ঝুঁকিতে আছে ৭ নং চর বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সদ্য ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মসজিদ। এসব স্থাপনার কাছে চলে এসেছে নদী ভাঙন। দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে নদীগর্ভে চলে যাবে এসব প্রতিষ্ঠান।
জনউদ্যোগ এর আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ছোট ছোট জলধারা গুলো শেষ হয়ে গেছে। মানুষের নিষ্ঠুরতায় অনেক নদী মরে গেছে। বেঁচে থাকা নদী দখল দূষণে বিপর্যস্ত হয়ে ভারসাম্যতা রক্ষা করতে পাচ্ছে না। ফলে জনপথে আঘাত হানছে। শুধু কোটি কোটি টাকা খরচ করলেই নদী বাঁচানো যাবে না। দখল দূষণ বন্ধ করতে হবে। নদীকে তার গতিতে চলতে দিতে হবে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, দশানি নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙনরোধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত