বগুড়ায় বন্যায় যমুনা নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিসি ব্লক ও বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করায় ভাঙন আগের চেয়ে কমেছে। গত কয়েক দিনের উজানের ঢলে ও তীব্র স্রোতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
জানা যায়, এই উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষদের ঘরের আসবাবপত্র, গবাদিপশুও বিলিন হয়েছে নদীতে। এতে নি:স্ব হয়েছে অসহায় দরিদ্র মানুষরা। ভাঙ্গনের তীব্রতায় তীরবর্তী এলাকা থেকে বাড়ীঘরসহ আসবাবপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো। এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে বগুড়ার সারিয়াকান্দির কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের পুরাতন বাঁধের পাশে ধসে যায় বসতবাড়ী। তলিয়ে যাওয়া আসবাবপত্র উদ্ধারসহ ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
এসব এলাকায় ভাঙনের খবর পেয়ে সিসি ব্লক নিয়ে যমুনার তীরবর্তী মানুষের পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি তার নিজস্ব ২ কোটি টাকা মূল্যের সিসি ব্লক পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিনামূল্যে প্রদান করেন।
এসময় তিনি বলেন, ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা থেকেই ব্লক প্রদান করা হয়েছে। যমুনার ভাঙন দেখে বড় হয়েছি, তাই তীরবর্তী মানুষের দুঃখ কষ্ট হৃদয় দিয়ে অনুভব করি। এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ লাঘবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সাথে আমি সহযোগিতা করতে ৪০ হাজার সিসি ব্লক প্রদান করলাম। ভবিষ্যতে এই এলাকায় ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চয়ই গ্রহণ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির, সোনাতলা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল রহমান জাহিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় নেতা মেহেদী হাসান রবিন, কামাল পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাছেদুউজ্জামান রাসেল, সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক সোহান সাগর, ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিব এবং সাধারণ সম্পাদক পলাশ উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক জানান, ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম