শরীয়তপুরে বুড়িরহাট আঞ্চলিক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার বুড়িরহাট বাজার এলাকার শরীয়তপুর চাঁদপুর মহাসড়ক এলাকায় বুড়িরহাট আঞ্চলিক ছাত্রলীগের সভাপতি জুম্মান বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক তাওসিফ আহম্মেদের অনুসারীদের মধ্যে এঘটনা ঘটে।
আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা ও দুই ইউপি সদস্যসহ ছয়জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর, ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ও ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে বুড়িরহাট আঞ্চলিক ছাত্রলীগের একটি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটির সভাপতি ইসলামপুরের বাসিন্দা জুম্মান বেপারী। আর সাধারণ সম্পাদক রূদ্রকরের দেওভোগ এলাকার তাওসিফ সরদার। বুড়িরহাট বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতার অভিভাবকদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
গত শুক্রবার ঢাকায় ছাত্রলীগের মহাসমাবেশে ওই দুই নেতা আলাদাভাবে তাদের সমর্থকদের নিয়ে যোগ দেন। ঢাকা যাওয়ার পথে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে শনিবার জুম্মানের চাচা বুড়িরহাট বাজারের ব্যবসায়ী সামাদ বেপারীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বুড়িরহাট বাজারে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ছাত্রলালীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক