বগুড়ার মণ্ডপগুলোতে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। আর সনাতন ধর্মের মানুষের মাঝে সাজসাজ রব পড়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে।
বগুড়ায় এবার ৭০৭টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয়া দুর্গাপূজা। পূজা উদযাপনকে ঘিরে বগুড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
জানা যায়, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় বরাবরের মতো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজটমুক্ত, মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং দুর্গাপূজাকে সার্বজনীন করে তুলতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হচ্ছে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, এবছর বগুড়া জেলায় ৭০৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলায় ১২২টি মণ্ডপে। এছাড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার ২৩টি মণ্ডপে, সোনাতলায় ৫৫টি, শিবগঞ্জে ৬১টি, আদমদীঘিতে ৬৬টি, দুপচাঁচিয়ায় ৪২টি, কাহালুতে ৩৭টি, নন্দীগ্রামে ৪৬টি, শেরপুরে ৯৪টি, ধুনটে ৩৮টি, গাবতলীতে ৭৩টি ও শাজাহানপুরে ৫০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নির্বিঘ্নে উৎসবমূখর পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ। পূজা মণ্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকবে তিনস্তরের নিরাপত্তা বলয়। কেউ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দম করা হবে। বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। নিরাপত্তার জন্য মণ্ডপে মণ্ডপে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও প্রতিটা মন্দিরে আনসার বাহিনীর সদস্য সার্বক্ষণিক থাকবেন।
তিনি আরও জানান, পূজার আগে, পূজা চলাকালিন ও প্রতিমা বিসর্জনের সময় তিনভাগে ভাগ হয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। পূজায় মাদকের অবাধ বিস্তাররোধে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, বগুড়ার সবকটি উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। প্রতিমা তৈরির সময়ে যাতে প্রতিমার কোনো প্রকার ক্ষতি না হয়, সেজন্য আয়োজক কমিটিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন