৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১৯:৩৫

কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি


কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি

কুড়িগ্রামে আবারো তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের উজানের পানি প্রবলবেগে ধেয়ে আসছে বলে তিস্তার পানিও বাড়তে শুরু করেছে। ভারতের সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্রবল বেগে পানি আসায় কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর পানি বেড়ে এর অববাহিকায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর এ কারণে তিস্তা নদীর রাজারহাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার সতর্কতা নিয়ে মাইকিংসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চরবাসীদের আসন্ন সম্ভাব্য বন্যা থেকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় নৌকা প্রস্তুত ও ৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ বন্যার আশঙ্কায় তিস্তার চর ও তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে এখন বিরাজ করছে ফের বন্যা আতংক।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভারতের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাম ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযাযী গজলডোবা পয়েন্টে পানি সমতল বিগত মধ্যরাত হতে সকাল পর্যন্ত ২৮৫ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। তবে তিস্তা নদীর পানি সমতল ডালিয়া পয়েন্টে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি জানান, বুধবার বিকেল ৪টার তথ্য অনুযায়ী ডালিয়া পয়েন্টে পানি সমতল বিপৎসীমার ৫ সে.মি উপরে অবস্থান করছে এবং তা রাতে আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫০ সে.মি ওপরে উঠতে পারে। ফলে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলসমুহ প্লাবিত হয়ে কুড়িগ্রামেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির আশংকা করা হচ্ছে। এদিকে, রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালে তিস্তায় ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তাই এবার জানমালের ক্ষতি এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংসহ নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। চরের মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসছেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, সম্ভাব্য বন্যার ক্ষতি এড়াতে জেলা, উপজেলা প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মাঠে কাজ করছেন।উদ্ধার অভিযানের জন্য রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলায় বেশ কিছু নৌকা ও ৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর