শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জের মন্দিরগুলোতে শিল্পীরা রং তুলির শেষ আঁচড়ে প্রতিমার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল নির্মাণ ও সজ্জিত হয়েছে মণ্ডপ। ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুক্রবার শুরু হচ্ছে গোপালগঞ্জে ৫ দিন ব্যাপী দুর্গাপূজা।
জেলায় এ বছর গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় ১ হাজার ২ শত ৯২টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের নিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা শেষ হয়েছে। এতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদ থেকে জানা গেছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় ১২৯২টি মন্দিরে দুর্গাপূজা হবে। যা গত বছরের তুলনায় ১৫টি বেশি। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৪০টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩২৫টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ২৯৯টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ২৩৪টি ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৯৪টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দূর্গা পূজা ।
প্রতিমা শিল্পী শ্রীবাস বিশ্বাস বলেন, এ বছর আমরা ১২টি প্রতিমা তৈরির কাজ করি। প্রতি প্রতিমা তৈরিতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মজুরি নেই। তবে এখন দ্রব্যমূল্য ও প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম ঊর্ধ্বগতির কারণে আমাদের কিছুই থাকে না। তারপরেও বাপ-দাদার আদি পেশা টিকিয়ে রাখছি।
গোপালগঞ্জ সার্বজনীন কেন্দ্রিয় কালীবাড়ীর আহবায়ক সরোজ কান্তি বিশ্বাস (খোকন) বলেন, এ বছর মহা ধুমধামে হবে দুর্গাপূজা।
জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মধন্য গর্বিত জেলা গোপালগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা শেষ হবে বলে আশা করা যায়।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, আশা করছি গোপালগঞ্জে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ