কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। ভোরে মহাসড়কে ঢাকা-কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। অফিস-আদালত খোলা থাকায় ভোর থেকে যাতায়াত করতে দেখা যায় চাকরিজীবীদের। দূরপাল্লার গাড়ি তেমন দেখা না গেলেও কোস্টার ও মাইক্রোবাসে করে যাত্রীদের যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌরশহরের দোকানপাট, ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠান খোলা দেখা যায়। কার্যক্রম ও যথানিয়মে চলছিল
স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করেছে নির্বিগ্নে। চট্টগ্রামের যাত্রী আবদুল হক বলেন, বড়গাড়ী না পেলেও ছোট যান মাইক্রোবাসে করে যেতে হচ্ছে।
চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গার ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, হরতালের কোন প্রভাব নেই। অনেক বছর ধরে দেশে হরতাল নেই। তাই মানুষ এখন হরতালকে আমলে নেয় না।
অন্যদিকে উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কসমুহে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকার লোকজন শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন করছে। এদিকে সকাল থেকে মহাসড়কের কোথাও বিএনপি-জামায়াতের কোন নেতাকর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। এমনকি মিছিলও করেনি তারা।
অপরদিকে সকাল থেকে পৌরসভা ও ইউনিয়ন থেকে খন্ডখন্ড মিছিল সহকারে থানা রান্তার মাথায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মীরা ।
চকরিয়া পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুস শফি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবসময় মাঠে রয়েছে। এদের দেশ বিরোধী কর্মকান্ডগুলো শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, হরতালকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও যানমালের কোন ক্ষতি করতে না পরে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে। এ ধরনের কর্মকান্ড প্রতিহত করতে পুলিশ সব সময় সজাগ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম