চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা ও বিনা তদন্তে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে হবিগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা প্রাইভেট চিকিৎসা সেবা ২য় দিনের মতো বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। আর চিকিৎসকদের সাথে একাত্মতা পোষন করেছেন হবিগঞ্জ ক্লিনিক মালিক অনার্স এসোসিয়েশন। তাদের দাবি জামিন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
রবিবার সকাল থেকেই হবিগঞ্জ শহরের সবক’টি প্রাইভেট ক্লিনিক হসপিটালে চিকিৎসা সেবা কার্যাক্রম বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীসহ স্বজনদের। যে কারণে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ।
জানা যায়, সম্প্রতি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের নূর আলীর স্ত্রী রহিমা আক্তার (৫৫) শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত দ্যা জাপান বাংলাদেশ হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে টিউমার অপসারণের সময় এক নারীর খাদ্যনালি, জরায়ু ও কিডনি কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে গাইনি চিকিৎসক ডা. এস কে ঘোষের বিরুদ্ধে। পরে ওই নারী মারা যান।এ ঘটনার পর নিহতের চাচাতো ভাই রহমত আলী বাদি হয়ে চিকিৎসক ডা. এস কে ঘোষ, হাসপাতালটির পরিচালক এ কে আরিফুল ইসলাম, স্টাফ জনি আহমেদ ও তাবির হোসাইনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে সদর থানার ওসি এফআইআর করার নির্দেশ দেন। গত ১৪ নভেম্বর ডা. এসকে ঘোষসহ আসামিরা উচ্চ আদালতে জামিন চাইলে বিচারক তা না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, বিনা তদন্তে স্বনামধন্য চিকিৎসককে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে শনিবার এক জরুরি সভা করে হবিগঞ্জ শহরে কর্মরত সকল চিকিৎসক সমাজ। সভা শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য শহরে কর্মবিরতীর ঘোষণা দেয়া হয়। হবিগঞ্জ প্রাইভেট ক্লিনিক মালিক অনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল বারী আওয়াল জানান, এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্ত ছাড়াই কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমরা দ্রুত ডা. এসকে ঘোষের মুক্তির দাবি জানাই। অন্যথায় আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।
হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের আরএমও ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকলেও সদর হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আগামী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল