বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে বঙ্গোপসাগর পাড়ে দুবলার চরের আলোরকেলে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্য স্নান। রবিবার সন্ধ্যায় আলোরকোলে অস্থায়ি মন্দিরে রাস পূর্ণিমা পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে সুন্দরবনের সাগর পাড়ে ২০০ বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানের প্রাথমিক পর্ব। সোমবার ভোরে দিনের প্রথম জোয়ারে সমুদ্রের লোনা পানিতে সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের পুণ্যস্নানের মধ্যদিয়ে শেষ হবে রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান।
সকাল থেকে বাগেরহাট. খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার পাঁচটি নৌরুট দিয়ে রাস পুণ্যস্নানে যোগ দিতে নৌপথে সুন্দরবনের আলোরকেলে যেতে শুরু করেছে পূর্নার্থীরা। বিগত দিনে রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে সব ধর্মবর্ণের মানুষদের মিলনমেলা বা উৎসব এবার হবে না। এবার রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে পারছেন শুধুমাত্র সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। এজন্য তাদের সুন্দরবন বিভাগ থেকে পাশ-পারমিট নিতে হয়েছে। সাথে রাখতে বলা হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া নাগরিকত্বের সনদপত্র। সাগর পাড়ে রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে যাওয়া-আসা নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয়েছে চারস্তরের কঠোর নিরাপত্তা।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম জানান, সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে আগে প্রতি বছর লক্ষাধিক লোক অংশ নিলেও এবার কোন মেলা হবে না। এবার সুন্দরবন বিভাগের অনুমতিপত্র নিয়ে শুধুমাত্র সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীরা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানের অংশ নিতে পারবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম