শিরোনাম
- শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
- প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
- ভারতকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে
- ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
- চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
- তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
- গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
বাবার দেওয়া আগুনে ছেলে-মেয়ের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
অনলাইন ভার্সন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুরে স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে বসতঘরে রেখে দরজা বন্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেয় কামাল হোসেন (৪০) নামে এক যুবক। এসময় আগুনে পুড়ে মারা যায় তার সাত বছর বয়সী শিশু কন্যা আয়েশা আক্তার। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তিন বছর বয়সী শিশুপুত্র আবদুর রহমান।
এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (৩৫)। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোরে বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কামাল ওই বাড়ির মৃত আমিন উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক। বর্তমানে কামাল পুলিশের হেফাজতে আছে। মাদকাসক্ত হয়ে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান জানান, কামাল হোসেনের সঙ্গে তার স্ত্রীর পারিবারিক কলহ চলছিল। স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে একটি সেমিপাকা টিনশেড ঘরে থাকতেন তিনি। গভীর রাতে স্ত্রী এবং দুই সন্তান ঘুমিয়ে গেলে কামাল ঘরের বাইরে এসে দরজা বন্ধ করে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মেয়ে আয়েশা আক্তার মারা যায়। স্ত্রী সুমাইয়া এবং শিশুপুত্র আবদুর রহমানকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয় তাদের। দুপুরের দিকে শিশু আবদুল রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর কামাল নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দেয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকা সুমাইয়ার চাচাতো ভাই মো. শাহ আলম মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানায়, মঙ্গলবার দুপুর দেড় টার দিকে চিকিৎসাধীন আবদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। তার মা সুমাইয়া আক্তারকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ঘটনাস্থলে নিহত কামালের মেয়ে আয়েশা আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। দুপুরে দিকে তার ময়নাতদন্ত করা হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, ভোররাতের দিকে আহত মা ও ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। শিশু আয়েশার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে কামাল তার বসতঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় কামাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম
এই বিভাগের আরও খবর