১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৯:৫৫

পাবনায় জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় হামলা, ভাঙচুর

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনায় জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় হামলা, ভাঙচুর

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য মুস্তাকিম মুহিব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শীষ হাসানের নেতৃত্বে একদল যুবক এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগ নেতারা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কর্মীদের নির্দেশনা দিতে বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা আহবান করে জেলা ছাত্রলীগ। সভার শুরুতেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে নিরবতা পালনের সময় হঠাৎ করেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিব ও শীষ হাসানের নেতৃত্বে একদল যুবক এসে, সভা আয়োজনে তাদের পরামর্শ নেয়া হয়নি অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্তকে ধমকাতে শুরু করে। এ সময় তারা আগতদের বসতে বললে, তারা ভাঙচুর শুরু করে এবং ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। আকস্মিক হামলায় নেতাকর্মীরা ছুটাছুটি শুরু করলে সভাপতি সবুজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ সাবেক নেতারা চেয়ার তুলে আঘাত করলে আহত হন সবুজ। পরে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে সভাস্থল ত্যাগ করে ভাঙচুরকারীরা। পরে, জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আবারো সভা শুরু করেন।

পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত বলেন, কতিপয় চিহ্নিত যুবক প্রকাশ্যে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা ছাত্রলীগের কেউ না। পরিকল্পিতভাবে তারা আক্রমণ ও সভা পন্ডের চেষ্টা করেছে। আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব।
পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে মুুহিব ছাত্রলীগে সক্রিয় নয়। তারা কোন কারণ ছাড়াই সন্ত্রাসী হামলা করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

তবে, অপ্রীতিকর ঘটনার কথা স্বীকার করলেও হামলার ঘটনায় জড়িত নন বলে দাবি মুস্তাকিম মুহিবের। তিনি বলেন, আমরা ছাত্রলীগের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত। এই সভাপতি সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার বছর পেরিয়ে গেলেও তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেনি। নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমও তারা স্বৈরাচারী প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করে। নির্বাচনী কমিটিগুলোতে কেন আমাদের রাখা হচ্ছে না জানতে আমরা গিয়েছিলাম। এ সময় তারা আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে বঞ্চিত কর্মীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টিকে হামলা বলে ঘটনা ভিন্ন দিকে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলীয় কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর