১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:০৬

কনকনে শীতে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কনকনে শীতে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন

আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ

দিনাজপুরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান শৈত্যপ্রবাহে নাকাল দিনাজপুর অঞ্চলের মানুষ। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। দিনব্যাপী কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারপাশ। সেই সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। প্রায় সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, রবিবার দিনাজপুরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বছরে এটি ছিল দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ আবহাওয়া আরও দুই-তিন দিন থাকতে পারে।

এদিকে, কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। কুয়াশায় দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। রাস্তাঘাটে কমে গেছে সাধারণ মানুষের চলাচল। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও বয়স্ক মানুষ।

কাজের সন্ধানে দিনাজপুর শহরের ষষ্ঠীতলা মোড়ে এসেছেন দিনমজুর আব্দুর রহিম। তিনি জানান, শীতের সকালে গত দুই দিন ধরে এখানে বসে থেকে চলে যাচ্ছি, কাজ পাচ্ছি না। কনকনে ঠাণ্ডায় কাজ না পেয়ে তাই আজকেও ফিরে যাচ্ছি বাড়িতে। ঠাণ্ডার কারণে অনেকে কাজও করাতে চায় না।

অটোচালক ফারুক জানান, কনকনে শীতের কারণে মানুষ বেশির ভাগ কাজ বন্ধ রেখেছে। বাড়ির বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের হয় না। তাই ভাড়া পাওয়া যায় না।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, শনিবার থেকে জেলায় চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রবিবার দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এজন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আরও দুই-তিন দিন এ ধরনের আবহাওয়া চলমান থাকতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষে ১৮-১৯ জানুয়ারি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর