পবিত্র ঈদুল ফিতরে জামাতের স্থান নিয়ে দ্বন্ধের জেরে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের কেরাদীঘি গ্রামের দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে।
আহতদের মধ্যে কেরাদীঘি গ্রামের সরবুল মিয়া (৪৩), বাবু (২০), বাদল (৩৫), খায়রুল (২৪), সোহাগ (২০), আবেদ আলী (৩০), শহীদুল্লাহ (৩৫), সোহেল রানা (২৪) আসাদ (৩৫) ও চেংজানা গ্রামের কামরুল (৪০)কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অরূপ সরকার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ঠিকভাবে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেননি বলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূরে আলম কাজল জানান।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক পিপিএম, কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার, রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান আকন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মারামারি থামাতে ছুটে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কেন্দুয়া থানার পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে বলে ওসি এনামুল হক জানান।
ওসি এনামুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান আকন্দ,৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূরে আলাম কাজল ও গ্রামবাসীর মাধ্যমে জানা যায়, কেরাদীঘি গ্রামের পুরাতন ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ পড়তে চান গ্রামের সরবুল, খায়রুল, বাদল গংসহ একটি পক্ষ। অপরদিকে যাতায়াতের রাস্তার সমস্যার কথা বলে গ্রামের মসজিদের মাঠে নামাজ পড়তে চান ছাদেক, সিদ্দিক, হেলাল গংসহ অপর একটি পক্ষ। এ নিয়ে কিছুদিন আগে গ্রামে শালিসও হয়ে ছিল। কিন্তু ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামাতের স্থান নিয়ে কেরাদীঘি গ্রামবাসীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। এ সময় দুই পক্ষের লোকেরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ৩০ জনের মত লোক আহত হন।
ওসি এনামুল হক পিপিএম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম