নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জের এক মা তার ১৪ বছরের অপহৃত মেয়েকে ফেরত নিতে রংপুরে এসে সাজানো মামলায় কারাগারে যান। এ ঘটনায় পুলিশ মাস্টার মাইন্ডসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, ওই কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে প্রতিবেশী এক যুবক। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেন কিশোরীর মা। একপর্যায়ে গত ২৮ মার্চ মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে তাকে রংপুরে ডেকে নেয় তারা। পরে একটি শপিং ব্যাগে জাল টাকা ও গাঁজা ভরে হাতে দিয়ে মেয়ের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়। এরপরই পুলিশে খবর দিয়ে ওই নারীকে গ্রেফতার করে মাদক মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় অপহৃত কিশোরীর বাবা তার মেয়েকে উদ্ধারসহ নির্দোষ স্ত্রীর কারামুক্তির দাবিতে গত ১৬ এপ্রিল রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর আসল রহস্য উদঘাটনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জাল টাকা ও গাঁজা দিয়ে অসহায় সেলিনা বেগমকে ফাঁসানোর প্রমাণ পায় পুলিশ।
মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকালে চক্রের দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নীফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও ছবির হোসেন। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে জাল টাকার বাক্স, দুটি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড জব্দ করে পুলিশ।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ২৮ মার্চ একজন নারীকে ২৫ গ্রাম গাঁজা ও ১০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়। পরে জানতে পারি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই নারীকে ফাঁসানো হয়েছে। যারা সম্পৃক্ত আছে তাদেরকেও শনাক্ত করছি। এর মধ্যে মাস্টারমাইন্ড দেলোয়ার মাস্টার ও ছবির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে ওই নারীকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ফাঁসানো হয়েছে। আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করে ওই নারীকে মামলা হতে অব্যাহতি চাইব। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল