২৬ মে, ২০২৪ ২২:১৬

গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে স্কুল শিক্ষিকা খুন

গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে স্কুল শিক্ষিকা খুন

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকায় ধারালো ছুরিকাঘাতে এক স্কুল শিক্ষিকা খুন হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন সাবিনা (২২) নামে আরও এক নারী। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। রবিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরিটি উদ্ধার করেছে। 

নিহত রোমানা আক্তার (২৮), বরিশাল সদর থানার নয়ানী চরকাওয়া এলাকার আব্দুল মনসুরের মেয়ে ও একই জেলার বন্দর থানার রায়পুরা গ্রামের হাসান হাওলাদারের স্ত্রী। নিহত রোমানা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকার হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন, আর তার স্বামী হলেন একই এলাকার এক পোশাক কারখানার চাকুরে। আহত সাবিনা হলেন-শেরপুর সদরের ধুপেরচর এলাকার হামিদুল ইসলামের মেয়ে ও আয়নাল হকের স্ত্রী। 

আটক কায়েস রানা (২৭) হলেন- সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। কায়েস স্থানীয় পোশাক কারখানায় কর্মী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকায় গোলাম মোস্তফার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন হাসান হাওলাদার দম্পতি। পূর্ব শত্রুতার জেরে রবিবার বিকালে পাশের ভাড়াটিয়া হামিদুলের মেয়ে সাবিনার সঙ্গে ঝগড়া হয় অপর ভাড়াটিয়া কায়েস রানার। তাদের ঝগড়া ও ধস্তাধস্তি দেখে তা থামাতে যান রোমানা আক্তার নামের অপর ভাড়াটিয়া। এক পর্যায়ে কায়েস রানা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত শুরু করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই রোমানা আক্তার মারা যান। এসময় রোমানাকে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন সাবিনা নামের এক ভাড়াটিয়া। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ সময় কায়েস রানাকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো: শাহ আলম জানান, নিহত রোমানা তিন মাসের গর্ভবতী ছিলেন। দক্ষিণ সালনা এলাকার হাই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। একই বাড়ির ভাড়াটে অবিবাহিত কায়েসের সঙ্গে ময়লা ফেলানো নিয়ে সাবিনার পূর্ব শত্রুতা সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়াও এ খুনে অন্য কোন কারণ ছিল কি-না সে ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

গাজীপুর সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, কী কারণে ঝগড়া বা রোমানার মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় কায়েস রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরিটি উদ্ধার করেছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহের ময়নাতদন্তসহ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।  

বিডি প্রতিদিন/এএম

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর