বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে দেশের বিভিন্ন থানায় ও পুলিশের ওপর হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আর এতে থমকে যায় থানা পুলিশের কার্যক্রম। আতঙ্কে গা-ঢাকা দেন অনেক পুলিশ সদস্য। এমন চিত্র গাজীপুরের কয়েকটি থানাতেও দেখা গেছে।
গত ৭ দিন যাবত থানা পুলিশের কার্যক্রম না থাকায় বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ বেড়েছে আশংকাজনকভাবে। জনমনে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও অজানা আতঙ্ক বিরাজ ররতে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহায়তায় বন্ধ থাকা থানার মধ্যে সোমবার পর্যন্ত প্রায় সব থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এখনও থানার নিরাপত্তায় সেনাসদস্য ও ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িতরা পাহাড়া দিচ্ছেন।
সোমবার কাপাসিয়া থানায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থানা পুলিশ কার্যক্রম শুরু করেছে। এদিন বেলা দেড়টার দিকে থানা ফটকে প্রবেশ করতেই কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় থানার এসআই মো. সালাউদ্দিন বলেন, আমরা কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় নানা অভিযোগের তদন্তও শুরু করেছি।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুবকর মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ৪ ও ৫ আগষ্ট দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা ঘটলেও কাপাসিয়া থানা পুলিশের ওপর কোনো ধরনের হামলা হয়নি। তারপরও আমরা অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের ন্যায় কর্মবিরতীতে ছিলাম। তবে এখন আবার আমরা পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা কাপাসিয়া থানার কোনো পুলিশ সদস্য থানা থেকে কোথাও যাইনি। এখানেই ছিলাম।
এদিকে বেলা সোয়া ২টার দিকে কাপাসিয়া থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য কাপাসিয়া শহরের মেইনরোড, কাপাসিয়া বাজারে সরজমিনে গিয়ে নানা বিষয়ে খোঁজ নিতে দেখা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল