খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সহ্স্রাধিক পরিবারের বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। সড়কের উপর বন্যার পানি ওঠায় খাগড়াছড়ির সাথে সাজেকের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে থেকে খাগড়াছড়ি সদরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, গঞ্জপাড়া, ঠাকুরছড়া, শব্দমিয়া পাড়া, শান্তি নগর, পুরাতন জীপ স্টেশন এলাকা ও দীঘিনালা মেরুং এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে ডুবে যায়। জেলার একমাত্র বাস টার্মিনাল এখন পানির নিচে। একইভাবে ফায়ার সার্ভিস অফিসটিও পানিতে ডুবে আছে।
পৌর শহরের সবজি বাজার ও সড়কটি এখন পানির নিচে। ডুবে যাওয়া গ্রামগুলোর লোকজন হঠাৎ করে পানি উঠায় চরম দুর্ভোগে পরেছে। এসব পরিবার আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসন হতে জানা যায়, প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্গত মানুষদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যে কোনও ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। পৌরসভা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের মাঝে ২৫০০প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করছে।
পৌর পেনেলমেয়র শাহ আলম জানান, আশ্রিত পরিবারদের মাঝে পৌরসভার পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ চলছে। এসব খাবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও রেড ক্রিসেন্ট এর যুবসদস্যরা পরিবার গুলোর মাঝে বিতরণ করছে। ভারী বর্ষণে অব্যাহত থাকায় পানি বাড়ছে। পর পর তিনবার পানিতে ডুবলো চেংগী ও মাইনি নদীর নদী তীরবর্তী এলাকার পরিবারগুলো।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ