চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার চেষ্টাকালে এক নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা রয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে আনোয়ারা উপজেলার নির্বাচন অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন-রোহিঙ্গা সুমি আক্তার ও মো. তৈয়ব এবং স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইসমাঈল। নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নির্বাচন অফিসে আসেন সুমি আক্তার (১৭) নামের এক রোহিঙ্গা নারী। এ সময় উপজেলার জুঁইদণ্ডি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইসমাঈল নামের একজনকে নকল পিতা সাজিয়ে আনা হয়। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যান।
মেয়েটির প্রকৃত নাম সুমি হলেও সুমাইয়া আক্তার মুন্নী নামে তার অন্য একটা জন্মসনদ দিয়েছেন। সেই জন্মসনদে মো. ইসমাঈলকে পিতা এবং ইসমাঈলের স্ত্রী মোহসেনা খাতুনকে মাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন অফিসে সেই নারীর ভাই হিসেবে ইসমাঈলের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মো. ইউনুসের এনআইডি দেওয়া হয়। সব ধরনের কাগজপত্র প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে সত্যায়িত করেন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর সালেহ বলেন, দুপুরে তারা কাগজপত্র নিয়ে আসেন। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের আমার কাছে নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাদের আনোয়ারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, আটক তিনজনের মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়। রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন বাদি হয়ে মামলা করবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম