চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আলোচিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ মামলায় বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন চৌধুরী তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। একই দিন সকালে নোয়াখালী কারাগার থেকে আসাদুজ্জামানকে শিবগঞ্জ আমলী আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল আহম্মেদ আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বিকাল ৩টায় রিমান্ড শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। আসাদুজ্জামান সবশেষে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওদুদ বলেন, পুলিশ অফিসার ও পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মিলে যড়যন্ত্র করে শিবগঞ্জের একটি বাড়িতে জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করে। জঙ্গি নাটকের ঘটনার সৃষ্টি করে আবুল কালাম আবু নামে একজনকে হত্যা করে। পরে হেলিকপ্টারে আরও তিনটি বস্তাবন্দী লাশ বের করে ওই বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের পেটের মধ্যে বোমা বেঁধে রেখে রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা বিস্ফোরক ঘটায়। নৃশংস এ ঘটনার ৭ বছর পর ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত আবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল