বগুড়ার শেরপুরে লাবনী আক্তার নামের এক নারী একসঙ্গে তিনটি কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং খুশিতে ভাসছে ওই পরিবার।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রসূতির স্বামী শাকিল খান এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, গত বুধবার আলট্রাসনোগ্রাম করে দেখা যায়- তার স্ত্রীর পেটে তিনটি সন্তান রয়েছে। প্রথমে ভয় পেলেও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে সেখানেই ভর্তি করা হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনিটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী। বর্তমানে মা ও সন্তান সবাই সুস্থ আছেন। সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া সন্তানদের নাম রেখেছেন হুমায়রা খাতুন, লাবীবা আক্তার ও আফিফা খাতুন। শাকিল খান ও লাবনী আক্তার দম্পতির বাড়ি শেরপুর পৌরশহরের গোসাইপাড়া এলাকায়। বিগত ২০২২ সালের মে মাসে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এরপর দুই বছরের সংসার জীবনে স্বাভাবিকভাবেই গর্ভধারণ করেন তার স্ত্রী।
জানা গেছে, প্রসব বেদনা শুরু হলে গৃহবধূ লাবনী আক্তারকে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুত আল্ট্রাসানোগ্রাম করেন। রিপোর্টে দেখা যায় তার গর্ভে তিনটি বাচ্চা রয়েছে। পরে দ্রুত ওই গৃহবধূকে অপারেশন করা হয়। অপরেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। সেইসঙ্গে সুস্থ শরীরে তিনটি ফুটফুটে নবজাতক প্রসব করেন লাবনী আক্তার।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তিনটিই কন্যা সন্তান। পরিবারের লোকজন তাদের নামও রেখেছেন। বর্তমানে তিন সন্তান ও তাদের মা সুস্থ আছেন।
নবজাতকদের বাবা শাকিল আরও বলেন, সংসারে মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ উপহারের নাম হলো কন্যা সন্তান। তাই একসঙ্গে তিনটি কন্যা সন্তানের বাবা হতে পেরে আমি খুবই খুশি।
তিন সন্তান ও তাদের মা সবাই সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/একেএ