বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পুরোদমে শুরু হয়েছে আমন চাষাবাদ। এরআগে ব্যপক বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় আমনের চারা নষ্ট হয়ে থমকে গিয়েছিলে চাষাবাদ। এ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৮০ ভাগ জমিতে আমনের চারা রোপন করা হয়েছে বলে জানয়েছে কৃষি বিভাগ।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর শরণখোলা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নয় হাজার দুইশত পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক অতি বর্ষণে ফসলের মাঠ ডুবে ব্যপক বীজতলা বিনষ্ট হয়। কৃষকরা আমন চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের তৎপরতায় তড়িৎ গতিতে উপজেলার ধানসাগর, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা ও সাউথখালী ইউনিয়নে তের হাজার নয়শত হেক্টর জমিতে নতুন করে উন্নত জাতের আমনের চারাবীজ উৎপন্ন করা সম্ভব হয়েছে। উপজেলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান মুন্সি, চাল রায়েন্দা গ্রামের কৃষক সাইদ আহমেদ, রাজাপুর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, বৃষ্টিপাতে আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবারের আমন চাষাবাদ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছিলাম। কৃষি বিভাগের তৎপরতায় আমনের চারা সংকট কেটে যাওয়ায় আমরা পুরোদমে আমন চাষাবদে নিয়োজিত হয়েছি। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ জমিতে আমনের চারা রোপন করা হয়েছে বলে জানালেন ঐ কৃষকরা।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, শরণখোলায় এ বছর নয় হাজার দুইশত পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জলাবদ্ধতায় আমনের বীজতলা বিনষ্ট হওয়ায় নতুন করে উন্নত জাতের আমনের চারা উৎপন্ন করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮০ ভাগ জমিতে চারা বীজ রোপন সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম