রাঙামাটি কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বৃদ্ধি পেয়েছে উৎপাদন। চলতি মাসের শুরুতেই রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে বিদ্যুৎ। যা গেলো কয়েক বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বলছেন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটি কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। এ বিদ্যুৎ যেমন বিদ্যুতের ঘাটতি কমাবে, তেমনি লোডশেডিং থেকে রক্ষা পাবে দেশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বৃদ্ধি পেয়েছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। আর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বেড়েছে উৎপাদন। অর্থাৎ কাপ্তাই হ্রদের পানির উপর নির্ভর করে চালু করা হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন মেশিন। পানি পর্যাপ্ত থাকায় সচল হয়েছে ৫টি ইউনিট। এসব ইউনিট থেকে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২০ থেকে ২২৫ মেগাওয়াট। যা দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
অন্যদিকে, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর রয়েছে ১০৮ ফুট মিন সি লেভেল। যা স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি। তবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষও বলছে এ পানি উৎপাদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে সৃষ্টি করা হয় কৃত্রিম বৃহত্তম হ্রদ। যা সবার কাছে কাপ্তাই হ্রদ হিসেবে পরিচিত। এ হ্রদ থেকে ২৩০ মেগাওয়াট (৩১০,০০০ এইচপি) বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। যা যুক্ত হয় জাতীয় গ্রিডে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দীর্ঘ বছর ধরে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ থেকে এ বিদ্যুৎ দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হয়েছে। সচল আছে ৫টি ইউনিট। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আস্তে আস্তে এ উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। টানা ১৫ দিন পানি কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দেওয়ার পরও বর্তমানে রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে পানি আছে ১০৮ ফুট মিন সি লেভেল। কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১১০ মিন সি লেভেল (এমএসএল)। বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢল নামে। পানিও বৃদ্ধি পায়। তাই বিপৎসীমা অতিক্রম করার আগে ছেড়ে দেওয়া হয় পানি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই