পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১০) ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার। প্রধান আসামি আক্তার হোসেন বাঙ্গরা গ্রামের মৃত শেখ রমিজ উদ্দিনের ছেলে।
কুমিল্লা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন তিন নং ট্রাইব্যুনালে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিকুল ইসলাম শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামি আক্তার হোসেন মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেনের ছোট ভাই। আক্তারসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা সদর এলাকার বাঙ্গরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে আসামি আক্তার প্রায় সময়ই তাকে উত্যক্ত করতো। সোমবার সাড়ে ১১টায় ভুক্তভোগী বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে পাশের বাড়িতে যায়। এসময় পাশের বাড়ির গৌর মনি বিশ্বাস তাকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান করছিল আসামি শেখ আক্তার এবং তার সহযোগী শামু চন্দ্র নট্ট। গৌর মনি বিশ্বাস ভুক্তভোগীকে নিয়ে শেখ আক্তারের হাতে তুলে দেন। শামু চন্দ্রকে পাহারায় রেখে আক্তার হোসেন স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। বাসায় গিয়ে ঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানালে তারা মেয়েকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে কুমেকের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় তার বাবা বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী বলেন, আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত। আমি চরম আতঙ্কে দিন পার করছি। তাদের অনেক ক্ষমতা। আমি নিরীহ মানুষ, আমি আমার মেয়ের সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার চাই।
এই বিষয়ে জানতে আসামি শেখ আক্তার হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/একেএ