বগুড়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ হেফাজত থেকে হাতকড়াসহ মো. কলম (৩৪) নামে এক ছিনতাইকারী পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া আসামি আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম চৌধুরীপাড়ার খোকা মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর হাইস্কুল পাড়ার এমরান হোসেনের তিলকপুর বটতলায় অটোব্যাটারি হাউস ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ এজেন্টের দোকান রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন এমরান হোসেন। বাড়ির কাছে পৌঁছামাত্র তিন ছিনতাইকারী তার হাতে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দেয়। এসময় তার চিৎকারে জনগণ এগিয়ে এসে বাঁধন নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পিটুনি দেয়।
এতে সে আহত হলে পুলিশ তাকে আটক করে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সময় অপর দুই ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে করে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি মোবাইল ফোনে আশপাশের লোকজনকে জানান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আদমদীঘির আমইল গ্রামের লোকজন বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ছিনতাইকারী রাজু পালোয়ান ও মো. কলমকে আটক করে দু’জনকে বেধড়ক মারপিট করে।
খবর পেয়ে আদমদীঘি থানা পুলিশ দুই ছিনতাইকারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ধারালো চাকু, ১৯ হাজার টাকা, বিকাশের জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, ট্রেড লাইসেন্স ও ব্যাংকের চেক উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আদমদীঘি থানার এসআই তারেক হোসাইন জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনাস্থল জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামে। আহত রাজু পালোয়ান ও মো. কলম বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিল। এদের পাহারায় দায়িত্বে ছিলেন বগুড়া পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ পুলিশের এএসআই মফিজুল ও কনস্টেবল জাকিরুল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হাতকড়া থাকা অবস্থায় আসামি মো. কলম হাসপাতালের বাথরুম যায়। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন জানান, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানা এলাকায় ছিনতাইয়ের আসামি আদমদীঘিতে আটক করার পর বিক্ষুব্ধরা তাদের পিটিয়ে আহত করেন। এদের একজন বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের বাথরুম থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
