বরিশালের গৌরনদীতে শিশু সাফওয়ান হত্যায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ইউপি সদস্যসহ দুইজনের ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে শিশুর জানাজা নামাজের পূর্বে দুইটি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয় বলে গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন। এদিকে শিশু হত্যার ঘটনায় তার বাবা নামধারী ৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওই মামলার আসামী হিসেবে ইউপি সদস্য ও দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের লোকমান চৌধুরীর ছেলে রোমান চৌধুরী, তার স্ত্রী আখি বেগম, বোন রাবিনা আক্তার ও শরিকল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত মালেক চৌধুরীর ছেলে মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে মধ্য হোসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ইমরান সিকদারের শিশু সন্তান এসএম সাফওয়ান আহমেদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা থেকে দাদা বাড়িতে আসা ওই শিশু বুধবার দুপুরের পর নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষে স্থানীয় মুসল্লিরা মান্না বেপরীর ঘরের পাশে ডোবায় শিশু সাফওয়ানের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
শিশুর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসার পর প্রতিবেশি রোমান চৌধুরী ও ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে মারধর করে। তখন পুলিশ ও র্যাব তাকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এছাড়াও পুলিশ হত্যায় জড়িত সন্দেহে রোমানের স্ত্রী ও বোনকে গ্রেফতার করেছে।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুর বাবা ইমরান চৌধুরী বাদী হয়ে করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার গ্রেফতারকৃত চার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ধারে চার আসামীকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ