ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলওয়ে স্টেশনে সামিউল আলম আপন (১৭) নামের এক পরীক্ষার্থী কিশোর গ্যাংদের হাতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। সেই কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রবিবার দুপুরে কসবা উপজেলা পরিষদের মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী ও কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্য কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তার করা না হলে হরতাল ও অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচীর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আহত সামিউল আলম আপন কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পরীক্ষার্থী। সে কসবা পৌর শহরের চড়নাল গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে।
আহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, কসবা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় গত ১৭ মার্চ রাতে সামিউল আলম আপনকে একদল কিশোর গ্যাং আক্রমণ করে তাকে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ও বতর্মান শিক্ষার্থীরা এবং চড়নাল ও আশে-পাশের লোকজন উপজেলা পরিষদের সামনে কিশোরগ্যাংদের গ্রেপ্তার করতে মানববন্ধন করেছেন।
এতে ছাত্র প্রতিনিধি মো. সাহাব এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. সফিকুর রহমান, বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র মো. সাহিদুল খা, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবুল খায়ের স্বপন, কসবা পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবদুল হান্নান, সাংবাদিক খ.ম. হারুনুর রশিদ ঢালী, মো. সবুজ খান জয়, মো. সাইদুল্লা প্রমুখ।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, আপন হত্যার চেষ্টার মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এএম