নানা অভিযোগে অধ্যক্ষ পদ হারালেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি কলেজের মুনজুর মোরশেদ। তার বিরুদ্ধে নাশকতা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এপিএস সাইফুজ্জামান শিখরের ঘনিষ্টজন ছিলেন।
ক্ষমতার দাপটে সারিয়াকান্দি এলাকায় চষে বেড়িয়েছেন তিনি। গত ৮ মে সারিয়াকান্দি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূর এ আজম বাবু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে অপসারণ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সারিয়াকান্দি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাদেক মোহাম্মদ আজিজ লাবলুর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মার্চ ২০২৩ তারিখে বেলা ১১টায় সারিয়াকান্দি কলেজ মাঠ মঞ্চে অধ্যক্ষ সাইদুজ্জামানের সভাপতিত্বে কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আলোচনায় কলেজের উপাধ্যক্ষ মুনজুর মোর্শেদ তার বক্তব্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা বগুড়ার গর্বিত সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম তুচ্ছ তাচ্ছিল্যভাবে উচ্চারণ করে তাকে খুনি, পাকিস্তানের দালাল ও রাজাকার আখ্যা দিয়ে তার মরোণোত্তর বিচার দাবি করেন। একই সাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়াপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া মুনজুর মোর্শেদ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার এপিএস সাইফুজ্জামান শিখরের ঘনিষ্টজন ছিলেন। তার ক্ষমতায় সারিয়াকান্দি কলেজে অবৈধ পন্থায় উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। ৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনার পতনের সঙ্গে মুনজুর মোরশেদও পালিয়ে যান। তিনি নাশকতা মামলার আসামি।
সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সহাকারী অধ্যাপক কৃষিবিদ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার দাপটে মুনজুর মোরশেদ অধ্যক্ষ পদ বাগিয়ে নেন তিনি। কাগজে-কলমে তিনি কোন অধ্যক্ষ পদে ছিলেন না। তিনি সাইফুজ্জামান শিখরের ঘনিষ্টজন ছিলেন। শিখরের ক্ষমতায় তিনি ১৬ বছর দাপটের সঙ্গে সারিয়াকান্দি এলাকায় চষে বেড়িয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত