দিনাজপুরের বিভিন্ন গ্রামীণ জনপদের বাড়ি, সড়কের ধারে, পুকুর পাড়ে ও বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে জাতীয় ফল রসালো কাঁঠাল। শুধু গ্রামে নয়; শহরেও বিভিন্ন এলাকার গাছগুলোতে ধরেছে কাঁঠাল। প্রতিটি কাঁঠাল গাছের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত এখন শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলটি।
দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল ও তরকারি হিসেবে কাঁঠাল যুগ যুগ ধরে কদর পেয়ে আসছে। রসালো ফল কাঁঠালের বিচি কাহারোল উপজেলার মানুষের একটি ঐতিহ্যবাহী তরকারি। বিশেষ করে কাঁঠালের বিচি দিয়ে ভর্তা তৈরি করে খাওয়া যায়। যা সকলেই পছন্দ করে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শাক ও কাঁঠালের বিচির সমন্বয়ে রান্না করা তরকারি এখানকার মানুষ তৃপ্তির সাথে ভাতের সাথে খায়। এছাড়া গবাদি পশুর জন্যও কাঁঠালের ছাল উন্নত মানের গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি, সড়কের দু’ধারে, জঙ্গলের ভিতরেও ভাল ফলন হয়েছে কাঁঠালের। পুকুর বা দিঘীর পাড়ে কাঁঠাল গাছে থোকায় থোকায় ধরেছে প্রচুর পরিমাণে জাতীয় ফল কাঁঠাল।
কাহারোল উপজেলার ডাবোর ইউপির চামদুয়ারি গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন জানান, এখানে প্রায় সবার বাড়িতেই কাঁঠাল গাছ রয়েছে। কাঁঠাল গাছে সমানতালে ফল ধরেছে এবং আগামী কিছুদিনের মধ্যে কাঁঠালগুলো পাকতে শুরু হলে হাট-বাজারে বিক্রি করতে পারবে।
এসব কাঁঠাল গাছের মালিকেরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর কাহারোলে কাঁঠালের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ