লালমনিরহাটের তিন উপজেলার পাঁচ সীমান্ত দিয়ে অন্তত ৩৯ নারী, পুরুষ ও শিশুকে পুশইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
আজ বুধবার (২৮ মে) ভোরের দিকে একযোগে এসব মানুষকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। তবে বিজিবি ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের বাধায় তারা এখন অবস্থান করছে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারের ভারতীয় অংশে। এ ঘটনায় সীমান্তগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিজিবি জানায়, বুধবার ভোরের দিকে আদিতমারীর দূর্গাপুরের চওড়াটারি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জন, হাতীবান্ধার বনচৌকি দিয়ে ৬ জন এবং পাটগ্রামের আমবাড়ি, পঁচা ভান্ডার ও ধবলগুড়ি সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে প্রায় একযোগে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। তবে বিজিবির বাঁধায় তা ব্যর্থ হয়। এ ঘটনার পর থেকে সীমান্তগুলোতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে উভয় বাহিনী। ফলে পুশইনের শিকার লোকজন ভোর থেকে অবস্থান করছে ভারতীয় অংশের খোলা আকাশের নিচে। বিভিন্ন সীমান্তে পুশইন ঠেকাতে বিজিবির পাশাপাশি স্থানীয় গ্রামবাসীরাও অবস্থান নিয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে এপারে পাঠানো লোকজন ভারতের আসামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
৬১ বিজিবি শমশেরনগর বিওপি ক্যাম্পের সুবেদার হাফিজুল ইসলাম বলেন, গত রাত ভোর থেকে বিএসএফ অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করছে। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বিজেপি তা বাধা প্রদান করেন।
এ বিষয়ের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন, ‘কিছু ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে—এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়েছি। বিজিবি ও গ্রামবাসী সীমান্তে লাঠি নিয়ে পাহারা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে ৬১ বিজিবি তিস্তা ব্যাটালিয়নের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুসাহিদ মাসুমকে কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ