বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস ব্যাহত হয়েছে। তবে জেটিতে কনটেইনার খালাস স্বাভাবিক ছিল।
সকাল থেকে দিনভর চট্টগ্রামে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেইসঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বাড়তে দেখা যায়। বিকাল নাগাদ সাগর বেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় লাইটার জাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়। এ কারণে বহির্নোঙরে অবস্থানরত মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) থেকে পণ্য খালাসও স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়েছে।
মাদার ভেসেলগুলো সাধারণত বহির্নোঙরে অবস্থান করে। এগুলো থেকে লাইটার জাহাজে পণ্যবোঝাই করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিন নম্বর সতর্কতা সংকেতে জারি হলে ঝুঁকি এড়াতে বহির্নোঙরে লাইটার পাঠানো হয় না।
লাইটার চলাচল তদারককারী প্রতিষ্ঠান ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় আগে থেকে বুকিং দেওয়া কয়েকটি লাইটার সাগরে যেতে পারেনি। আবার কয়েকটি লাইটার পণ্যবোঝাই করতে গেছে। আগের দিন বুধবার ২৬২টি লাইটারের বুকিং থাকলেও ওইদিন বহির্নোঙরে যায় ৪৬টি। কিছু লাইটার ঝুঁকি নিয়েও চলাচল করছে। তাই বহির্নোঙরে কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, স্বাভাবিকের চেয়ে কমেছে।
সূত্র জানায়, খোলা পণ্য (বাল্ক কার্গো) ভিজে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলে বহির্নোঙরে পণ্য খালাসে সমস্যা হয়। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল