বাগরেহাটের মোংলায় একটি সরকারি পুকুরকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৬ নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের মাকড়ঢোন-নারকেলতলা এলাকার ৫০ ব্রাকের পদ্মা আবাসন প্রকল্পের সমবায় পুকুরটি জবরদখল করে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী জনি ও এখলাছের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। দেড় মাস আগে এ বিরোধ মীমাংসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন আবাসনের ভুক্তভোগীরা। কিন্তু তাতেও কোনো প্রতিকার পাননি তারা।
আগের সেই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সরকারি পুকুর জবরদখলে রাখা জনি (৩৫), এখলাছ (৪০), হৃদয় (২৮) ও রুমি (৩০) আবাসনের লোকজনের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আবাসনের বাসিন্দা নুরনাহার (৩৭), সুনীতি রায় (৩৮), রেনু বেগম (৪০), আফরোজা বেগম (২৮), মিতু (২) ও সাদ্দাম (২৮) আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা বলেন, বিগত ৫ আগস্টের পর থেকে আবাসনের সমবায়ের সরকারি পুকুরটি জনি ও তার লোকজন জবরদখল করে মাছ চাষ করে আসছেন। এর আগে, তিন বছর জবরদখল করে খেয়েছেন স্থানীয় ইউপি মেম্বর হারুন।
তারা বলেন, আমাদের ৫০ ব্রাকের ৫০ জনই এই পুকুরের মালিক। আমরা সবাই মিলে মাছ ছেড়ে তা ভাগ-বাটোয়ারা করে খাব, এটাই নিয়ম। কিন্তু আমাদের বঞ্চিত করে জনি ও তার লোকজন এখন পুকুরে মাছ চাষ করে খাচ্ছে। এতে বাধা দিলেই তারা আমাদের উপর হামলা করে। এর আগেও কয়েক দফায় আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা যাতে সবাই মিলে সরকারি এই পুকুর ব্যবহার করতে পারি, তার সুরাহার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জনি বলেন, আমি আর এখলাছ পুকুরটিতে মাছ চাষ করছি। পুকুর থেকে সেই মাছ ধরে নিচ্ছিল তারা। এজন্য তাদের সাথে আমাদের গ্যাঞ্জাম হয়েছে।
এ বিষয়ে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিবেশ শান্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার সুমি বলেন, এ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই