যথাযোগ্য মর্যাদায় নেত্রকোনায় পালিত হলো ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস। শনিবার (২৬ জুলাই) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়ায় সমাহিত সাত শহীদের স্মরণে আয়োজিত হয় এ দিবস।
সকালে ফুলবাড়িয়ায় শহীদদের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের জনতা। এক মিনিট নীরবতা পালন এবং মোনাজাতের মাধ্যমে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। একইসঙ্গে যুদ্ধস্থল নাজিরপুর স্মৃতিস্তম্ভেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুখময় সরকার, কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত, উপজেলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ খায়ের, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ভুইয়া, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল হাশেম, লেঙ্গুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফেজ মোহাম্মদ আলী, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইশতিয়াক হাসান সৌরভ, এনসিপি নেতা আবু কাওসারসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয়সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই নাজিরপুর সীমান্ত এলাকায় সম্মুখযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন নেত্রকোনার ডা. আবদুল আজিজ, ফজলুল হক, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ইয়ার মাহমুদ, ভবতোষ চন্দ্র দাস, নুরুজ্জামান, দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস এবং জামালপুরের জামাল উদ্দিন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর এ দিনে সীমান্ত পিলার ১১৭২–তে অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা।
বিডি প্রতিদিন/আশিক