ভাঙ্গায় জামিয়া আক্তার (২৫) নামক এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। শনিবার দুপুর একটার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের তার বাবার বাড়ির বসতঘর থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ঐ গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে এবং ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের পল্লীবেড়া গ্রামের মুরাদ কারিকরের প্রথম স্ত্রী। রাইসা মনি( ৮) নামে তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার স্বামী মুরাদ কারিকরের দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে দু'জনের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবত মনোমালিন্য চলছিল। শনিবার সকালে এ বিষয় নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকাকালীন উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর তিনি রাগ করে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে আসেন। পরে দুপুর ১২ টার দিকে বাবার বাড়ির বসত ঘরের একটি কক্ষের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন । পরিবারের লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। পরে দুপুর একটার দিকে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক রিফাত হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে শনিবার বেলা ১২টার দিকে জামিয়া আক্তার নামক এক গৃহবধূ তার বাবার বাড়ির বসত ঘরে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে মর্মে খবর পাই। শনিবার দুপুর একটার দিকে আমরা তার লাশ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের তদন্তের জন্য জামিয়ার মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। নিহতের পরিবার জানিয়েছেন, জামিয়ার স্বামী মুরাদ দ্বিতীয় বিবাহ করায় দীর্ঘদিন যাবত তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
বিডি প্রতিদিন/এএম