কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রতিবেশীর বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকি থেকে নিখোঁজ আট বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় বিক্ষুব্দ জনতা অভিযুক্ত যুবক ও তার নানার বাড়িতে আগুন দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ছিট মালিয়ানি এলাকায়। নিহত শিশু মুরসালিন মিয়া (৮) ওই এলাকার মশিউর রহমান মুছা ও মনজু দম্পতির ছোট ছেলে। পরিবারের দাবী শিশুটিকে বলাৎকার পর হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করেছে প্রতিবেশী ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মমিনুল ইসলাম (২৩)। মমিনুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
মরদেহ পাওয়ার পরপরই অভিযুক্ত মমিনুল ও তার নানার বাড়ি ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী। পরে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মমিনুল ইসলামের মা মহসেনা বেগম ও বোন ফাহিমা খাতুন এবং মমিনুলের পরিবারকে প্রশ্রয় দিয়ে পালানোয় সহযোগীতা করার অভিযোগে প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জু বেগমকে আটক করে থানায় আনে পুলিশ। পরে নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৯ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। আটক ৪ জনকে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস এর টিম লিডার মোফাজ্জল হোসেন জানান, দুটি বাড়ির ৩টি শয়নক্ষসহ ৫টি ঘরে আগুন লাগে। আমরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে আমরা পৌছার আগেই এসব ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, এ বিষয়ে নিহত শিশুর বাবা মশিউর রহমান বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আটক ৪জনকে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম