বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তরণ প্রক্রিয়ায় সারা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এদিন তিনি দেশে ফেরেন।
বিমানবন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের বার্তা একটাই, আমাদের এখন গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেইভাবে আমরা আমাদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেব। গণতন্ত্র উত্তরণের এই বিষয়টাতে গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থনটা এখানে সম্পূর্ণভাবেই রয়েছে।’
জাতিসংঘের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সবার সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। আর যাঁরা গেছেন, তাঁদের সঙ্গে তো অবশ্যই আলাপ হবে, এটাই তো স্বাভাবিক।’
জাতিসংঘের সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁর সফরসঙ্গী হয়েছিলাম। সেখানে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল, সেই দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের এই সফর সফল হয়েছে। বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি যেসব সভা হয়েছে, এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভালো হয়েছে। সর্বোপরি গণতন্ত্রের জন্য ভালো হয়েছে।’
নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে অবতরণের পরে হেনস্তা হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমরা এগুলোকে খুব বড় মনে করি না। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের একটা কালচার, এই সব ঘটনা তৈরি করা।’
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক যান মির্জা ফখরুল। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন। বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় একটি অনুষ্ঠান শেষে এক দিন পর দেশে ফিরলেন।
প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।