সানলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. সিরাজগঞ্জের কো-অর্ডিনেটর ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এবং অবশেষে সানলাইফ ইন্সুরেন্সে জমা করা টাকার চেক পেলেন গ্রাহকেরা।
গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দিয়ার পাচিল এলাকায় প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা শেষে ১১ জন গ্রাহকের হাতে বীমার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় কবি মোহন রায়হান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো. আলাউদ্দিন, সিরাজগঞ্জ জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড আবু বকর ভূঁইয়া, সরকারি রাশিদাজ্জোহা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহম্মেদ, খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ মুকুল এবং সানলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির কো-অর্ডিনেটর ফরিদা ইয়াসমিনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সম্প্রতি পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খোকশাবাড়ী এলাকার বেশ কিছু গ্রাহককে দিয়ে কো-অর্ডিনেটর ফরিদা ইয়াসমিনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তাদের টাকা আত্মসাত করার মিথ্যা অভিযোগ এনে জনতা ব্যাংক এস.বি ফজলুল হক রোড শাখার ম্যানেজার আরাফাত শাকিল ও তার স্ত্রী ইসলামিয়া কলেজ শিক্ষিকা তানজুম আরা রুকুর যোগসাজসে এ হামলা চালানো হয়।
সানলাইফ ইন্সুরেন্সের সিরাজগঞ্জের কো অর্ডিনেটর ফরিদা ইয়াসমিন জানান, বীমা গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ তুলে আরাফাত শাকিল কতিপয় গ্রাহক ও সাংবাদিকদের নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করিয়ে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। তারা আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও দায়ের করেন। আমি কোন প্রকার টাকা আত্মসাত না করলেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে ফেসবুক ও গণমাধ্যমে বানোয়া সংবাদ প্রচার করে। করোনা মহামারির কারণে দেশের নামকরা এই বীমা কোম্পানি অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়ায় জমাকৃত টাকা ফেরত দিতে দেরি হয়। এ সুযোগেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। তবে ওই ঘটনার মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেখানকার ১১ জন গ্রাহককে টাকা ফিরিয়ে দেয়া হলো। পর্যায়ক্রমে বাকী গ্রাহকদের চেকও হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন