শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

খালেদা জিয়াকে ভোটের লড়াইয়ে আসতে দেওয়া হবে?

পীর হাবিবুর রহমান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
খালেদা জিয়াকে ভোটের লড়াইয়ে আসতে দেওয়া হবে?

আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শীত না নামলেও বসন্তের আগমনী গান, কোকিলের প্রাণ আকুল করা ডাক প্রকৃতিতে বিরহ নিয়ে এলেও ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ গ্রহণ শেষে দায়িত্বও গ্রহণ করেছে। শপথ গ্রহণের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সব দলের আস্থা চাই। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলকে আমরা আস্থায় আনতে পারব, এই আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে।’  প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য সুন্দর, সহজ, সাবলীল ও প্রাণছোঁয়া। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতায় আস্থা অর্জন করতে কতটা পারবেন সেটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি মৃদুমন্দ বাতাসে দোল খাচ্ছে কিন্তু নির্দিষ্ট করে এখনো দৃশ্যমান হয়নি। সব দলের জন্য ভোটযুদ্ধে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসনসহ সর্বত্র নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার নির্বাচন কমিশনের জন্য কতটা বড় চ্যালেঞ্জ সেটি সিইসিকে খতিয়ে দেখতে হবে।

এদেশে বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যেসব সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল সেখানেও পরাজিত পক্ষ নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়তে ভোলেনি। সবচেয়ে বড় বিষয়, একটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কতটা পক্ষপাতমুক্ত, কতটা প্রভাবমুক্ত থেকে, মহলবিশেষের চোখ রাঙানো উপেক্ষা করে শক্তিশালী মেরুদণ্ডের ওপর একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারল কিনা সেই বিচারের ক্ষমতা দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং পর্যবেক্ষকদের রয়েছে। দেশের মানুষ চায় আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হোক। রাজপথ থেকে সহিংস সংঘাতের রাজনীতি নির্বাসিত হয়েছে। ক্ষমতায় যারাই আসুন, সংসদে জবাবদিহি করুন। সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের উপস্থিতি থাকুক। জাতীয় ইস্যুতে প্রাণবন্ত বিতর্ক হোক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত মহান সংসদ শাসকদলের বন্দনা আর সরকারবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে বিষোদগারের একঘেয়ে সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসুক। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেমন অব্যাহত থাকুক তেমনি সংসদ হয়ে উঠুক সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।

সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় বাস করব একটি শক্তিশালী-কার্যকর, প্রাণবন্ত, তুমুল বিতর্কের ঝড় তোলা সংসদ পাব না; তা হতে পারে না। অকার্যকর বা প্রহসনের সংসদ সংসদীয় শাসনব্যবস্থার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণই, যা গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেয়। গণতন্ত্র হয়ে পড়ে বিকলাঙ্গ, শাসককে করে স্বেচ্ছাচারী। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ হয়, জনগণ হয়ে পড়ে অসহায়। গৃহপালিত বিরোধী দল বা ঘরজামাই বিরোধী দলের উদাহরণ আমাদের সংসদীয় রাজনীতিতে সুখকর নয়। ’৮৮ সালে যেমন দেখা গেছে তেমনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে গঠিত চলমান সংসদে তা দেখা গেছে। যেখানে কার্যত সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও দুরবিন দিয়ে বিরোধী দলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।

সেনাশাসনকবলিত বাংলাদেশে প্রহসনের ভোট ডাকাতির নির্বাচনেও ৭৯ ও ৮৬ সালের সংসদ ছিল প্রাণবন্ত। শাসনব্যবস্থা যদিও ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা। সেনাশাসন-উত্তর গণতন্ত্রের নবযাত্রায় ৯১ সালের সংসদে আমরা সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করেছিলাম। সেই ৯১ ও ৯৬ সালের সংসদ বিরোধী দলের বর্জনের মুখে পড়লেও কার্যকর, প্রাণবন্ত ও শক্তিশালী ছিল। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থাও পেয়েছিলাম। আমাদের সব অর্জনই ছিল আন্দোলন, সংগ্রাম ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের আত্মদান বা রক্তের বিনিময়ে। কিন্তু আমরা আমাদের রক্তে অর্জিত অর্জনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। ব্যক্তির নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও ক্ষমতায় টিকে থাকার লোভ, গণতন্ত্রের সহনশীল পথ উপেক্ষা করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে উত্খাত করে দেওয়ার মতো শয়তানি প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের আস্ফাালন, একুশের গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ যত আক্রমণ, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, বোমা সন্ত্রাস, অন্ধকার শক্তির সঙ্গে আঁতাত আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আলোর পথে অগ্রসর হতে দেয়নি। যারা খেলেছেন, এর চড়া মাসুল তারাও দিচ্ছেন। লোকসান গুনেছে গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ ও দেশ; দুর্বল হয়েছে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা।

আগামী নির্বাচন সেই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। যেখান থেকে শক্তিশালী সরকার ও শক্তিশালী বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সংসদীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় শাসনব্যবস্থাকে নতুন করে মেরামত করা ও নতুন করে পথ চলার প্রয়াস চলবে। আমাদের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া প্রতিহিংসার ছোবলে তৈরি হওয়া অবিশ্বাসের দগদগে ক্ষতস্থান শুকিয়ে নেওয়ার স্বার্থে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে একটি রাজনৈতিক চুক্তিনামা তৈরি হওয়া উচিত। যেখানে সংসদকে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণই নয়; সংসদ বর্জন নিষিদ্ধ করে দিতে হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়াক আউট হবে কিন্তু সংসদ বর্জন চলবে না। সংসদ হবে সব বিতর্ক ও আলোচনার উন্মুক্ত প্লাটফর্ম। রাজনৈতিক দলগুলো সমাবেশ করবে কিন্তু হরতাল অবরোধের মতো অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিরোধী কর্মসূচিতে যাবে না। সংসদে বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ বেশি করে দিতে হবে।

বসন্তের বৃক্ষের পাতা ঝরছে, ঝরুক। মন উদাস করা মধ্যদুপুরে প্রাণ আকুল করা কোকিলের ডাক শোনা যাচ্ছে, শোনা যাক। ঋতুরাজ বসন্তের চেয়েও এদেশের মানুষের কাছে গণতন্ত্র অধিক প্রিয় ও উত্তম। মানুষের মন কোকিলের চেয়েও প্রাণ আকুল করে ডাকছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানুষের নিরাপদ ও উন্নত জীবনের গ্যারান্টির জন্য। আমাদের দেশ রক্তগঙ্গায় অর্জিত। আমাদের গণতন্ত্র শত শত শহীদের আত্মদানে অর্জিত। রক্তে কেনা দেশ, রক্তে কেনা গণতন্ত্র; পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশের গৌরবের মহিমাকে উজ্জ্বল করেছে।

আগামী নির্বাচন জাতীয় জীবনে অধিক মাত্রায় গুরুত্ব বহন করছে এই কারণে যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে, নির্বাচনী ঐতিহ্যকে, সব আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারা বিবেচনা করলে কার্যত আমরা একটি রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের মধ্যদিয়ে সময়কে অতিক্রম করছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার গৌরবের আন্দোলন সংগ্রামের, উত্থান-পতনের ৩৫ বছরের সংগ্রামমুখর রাজনীতিতে পুলসিরাতের রাস্তা অতিক্রম করে এসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজের ক্যারিশমায়, প্রজ্ঞায় নেতৃত্বকে সুসংহতই করেননি; উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করেছেন।

বিশ্ব পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশ যেমন তার অনুকূলে, তেমনি অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে সেক্যুলারিজমের তুরুপের তাস কিস্তিমাত করে তাকে অন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছে। তার সমালোচকরা তাকে একনায়ক বলুন আর যাই বলুন বিশ্বরাজনীতির প্রতাপশালী নেতৃত্বের পাশে যেমন নিজে জায়গা করে নিয়েছেন; তেমনি দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কেও উঠিয়েছেন।

নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন হাঁটছে মুজিবকন্যার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশে জায়গা নিতে। দেশের অর্থনৈতিক খাতে অনেক নৈরাজ্য ঘটে গেছে। ব্যাংকিং খাতে সীমাহীন লুটপাট হয়েছে। শেয়ারবাজারে লুটেরাদের বিচার হয়নি। তবুও শেয়ারবাজার ফের চাঙা হয়ে উঠছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে জুয়াড়িরা শেয়ারবাজারে খেলার চেষ্টা করছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন খারাপ কোম্পানির শেয়ারবাজারে আসা বন্ধ করতে পারছে না। এসব নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তবুও দল ও সরকারের মন্ত্রীরা, জোটের শরিকরা তাল মিলিয়ে চলতে পারুন আর নাই পারুন, একতরফা নির্বাচনে স্থানীয় সরকারগুলো দখলে নিলেও জনগণের হৃদয় জয় করতে পারুন আর নাই পারুন- অ্যারাবিয়ান ব্ল্যাক হর্সের মতোই শেখ হাসিনা ক্ষিপ্রগতিতে ছুটছেন।

জাতীয়ভাবে ক্ষমতার রাজনীতিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এখনো দৃশ্যমান নয়। শেখ হাসিনাই শেখ হাসিনার বিকল্প।

আগামী নির্বাচনের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলেও মানুষের প্রত্যাশা সংসদে একজন শক্তিশালী বিরোধী দলের নেতার সরব উপস্থিতি ঘটুক। বিএনপির বিভ্রান্ত রাজনীতির কারণে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যে প্রবল জনমত তৈরি হয়েছিল, তাতে ভাটা পড়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিরোধে ব্যর্থতা এবং পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালের লাগাতার হরতাল ও অবরোধের অকার্যকর কর্মসূচি দলটিকে দেউলিয়াত্বের চরমে নিয়ে যায়। রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার চড়া মূল্য দিতে গিয়ে সারা দেশের বিএনপি মামলার জালেই বন্দী হয়নি, সাংগঠনিকভাবেও হয়েছে দুর্বল।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনার সরকারকে ৫ জানুয়ারির মতো একটি অবিশ্বাস্য নির্বাচন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকাই শুধু নয়, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়েরও সুযোগ করে দিয়েছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রশ্নে, জামায়াত প্রশ্নে নিজেদের অবস্থা পরিষ্কার করতে না পারায় শাসকজোট খালেদা জিয়া ও তার বিএনপিকে বিভক্ত রাজনীতির সীমারেখায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শিবিরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শাসক জোটের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সামনে যে দুর্নীতি মামলা ঝুলছে, তাতে দণ্ডিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে ভোটের ময়দান থেকে তাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে সংসদে বিরোধী দলের জায়গাটিতেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিবিরের কাউকে নিয়ে আসতে হবে। রাজনীতির অন্দর মহলে এমন নানা কথা বইছে। কিন্তু বিএনপি আগামী নির্বাচনে যে অংশগ্রহণ করছে, সেটি প্রায় নিশ্চিত। বিএনপির নেতারাও বলছেন, সরকার যদিও চাইছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে, কিন্তু বাস্তবে সেটি সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই তারা নির্বাচনে আসবেন এবং গণরায় নিয়ে সরকার গঠন করবেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দণ্ডিত হলে আপিল বিভাগে মামলা ঝুলিয়ে রেখে নির্বাচনে লড়তে পারবেন। তবে সেটি নির্ভর করছে সরকার কি চায় তার ওপর।

আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিও প্রখর হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে। কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়ছে পর্দার অন্তরালে। এ নিয়ে সরকারি দলের নেতারা অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক না গলাতে সতর্ক করছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শুভাকাঙ্ক্ষীরাও বলছেন, আদালত কর্তৃক দণ্ডিত, লন্ডনে নির্বাসিত পুত্র তারেক রহমান দলের বা দেশের রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখবেন না, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আদর্শিক নয়; নির্বাচনী ঐক্য ছিল। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় সেই ঐক্য এখন আর নেই— এমন সব ঘোষণা দিয়ে সমমনা গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে নির্বাচনী জোট গঠন করে আগামী নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে।

এদিকে, সরকারি মহলে যারা মনে করেন খালেদা জিয়া নয়, জোটের সঙ্গে থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কেউ সংসদে বিরোধী দলের নেতা হবে, তারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে সবুজ সংকেত দিচ্ছেন। এরশাদ নিজেও জোট গঠনের কথা বলেছেন। রাজনীতির অন্দর মহলে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নানা স্রোত বইছে। মৃদুমন্দ ঢেউ উঠছে পর্দার আড়ালের রাজনীতিতে। ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক। কেউ কেউ শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিচ্ছেন বিএনপিকে অপ্রস্তুত রেখেই নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসা। সবকিছুই রাজনীতির অন্দরে আলাপ-আলোচনা, জল্পনা-কল্পনায় ঢালপালা মেলছে। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ তৈরি হয়নি। রাজনীতির অন্দরে ছোট দলের অনেক বড় নেতা এখনো ক্ষীণ আশা দেখছেন- আগামী নির্বাচন কীভাবে গ্রহণযোগ্য করা যায়। তাদের এক কথা, আর যাই হোক ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন নয়। রাজনৈতিক শক্তি ও সিভিল সোসাইটিকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের এক দফার আন্দোলনের সলাপরামর্শ বৈঠক রুম পর্যন্ত শুরু করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা শক্তির মনোভাব, ইচ্ছা তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিকে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শাসক জোটের অনেকে যদিও মনে করেন— বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদে এলে শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে রাজনীতিতে তিনিই থেকে যাবেন। তাই তাকে বাদ দিয়েই নির্বাচন জরুরি। কিন্তু এটাকে যারা গ্রহণ করছেন না, তারা মনে করেন— বিএনপিকে কোণঠাসা, দুর্বল করা সম্ভব হলেও শেষ করে দেওয়া সম্ভব নয়। বিএনপি এখনো একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তার শক্তির উৎস হতে পারে আওয়ামী লীগবিরোধী জনমত। কিন্তু নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে কার্যকর সংসদ গঠনের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই তার দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তারা মনে করেন— খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে বিএনপিকে ভেঙে নির্বাচন করার চিন্তা যদি কেউ করেন; তবে সেটি হবে দুঃস্বপ্ন। খালেদা জিয়াকে জেলে বা নির্বাচনের বাইরে রেখে ভোট হলে বিএনপি সেখানে অংশগ্রহণ করবে না। বিচ্ছিন্ন দুই-চারজন অংশ নিলেও তা হবে অর্থহীন। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন রক্ষার জন্যই হোক, রাজনৈতিক অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জের জন্যই হোক বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়। প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপিকে আসতে দিলেও তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে আসতে দেওয়া হবে কিনা?

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে ভোটের লড়াই যেমন উৎসবমুখর হবে না, প্রাণবন্ত হবে না, নিষ্প্রভ, আকর্ষণহীন হয়ে পড়বে; তেমনি আগামী দিনের সংসদও হবে একতরফা। যেখানে সংসদীয় রাজনীতির আলোর ছটা দেখা যাবে না।  রাজনীতির গতি-প্রকৃতির ওপর এখনো শেষ কথা বলার সময় আসেনি। পর্যবেক্ষণ দৃষ্টি রাখার সময় চলছে। আর নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জনে কতটুকু সফল হবে সেটি বলারও সময় এখনো আসেনি।  তাদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা। নিরপেক্ষ, শক্তিশালী অবস্থান দেখাতে পারলে প্রশংসিত হবেন না হয় অতীতের অনেকের মতো নিন্দিত হবেন।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
শাবিপ্রবিতে স্টুডেন্ট রাইটস ফোরামের ফ্রি হেল্থ ক্যাম্প
শাবিপ্রবিতে স্টুডেন্ট রাইটস ফোরামের ফ্রি হেল্থ ক্যাম্প

এই মাত্র | ক্যাম্পাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আজ বাংলাদেশের মাটিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ ঘটনা ঘটেছে : আইন উপদেষ্টা
আজ বাংলাদেশের মাটিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ ঘটনা ঘটেছে : আইন উপদেষ্টা

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

শহীদরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল
শহীদরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তুষ্ট আবু সাঈদের পরিবার
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তুষ্ট আবু সাঈদের পরিবার

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

মেধাবী শিক্ষার্থী শান্তা হালদারের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
মেধাবী শিক্ষার্থী শান্তা হালদারের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

১৪ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, এ রায় মাইলফলক : সালাহউদ্দিন
ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, এ রায় মাইলফলক : সালাহউদ্দিন

১৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত
নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

চীনের সঙ্গে বিরোধ মেটাতে বৈঠকে বসছে জাপান
চীনের সঙ্গে বিরোধ মেটাতে বৈঠকে বসছে জাপান

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মানিকগঞ্জে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই চালকের মৃত্যু
মানিকগঞ্জে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই চালকের মৃত্যু

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কাল ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছে সৌদি যুবরাজ
কাল ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছে সৌদি যুবরাজ

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

অস্কার গ্রহণ করলেন টম ক্রুজ
অস্কার গ্রহণ করলেন টম ক্রুজ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজস্থানের কোচ হিসেবে ফিরলেন কিংবদন্তি সাঙ্গাকারা
রাজস্থানের কোচ হিসেবে ফিরলেন কিংবদন্তি সাঙ্গাকারা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৬ জুলাই যোদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড পাঠাচ্ছে সরকার
৬ জুলাই যোদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড পাঠাচ্ছে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় জামায়াত নেতার পিকআপে আগুন
কুমিল্লায় জামায়াত নেতার পিকআপে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জবি ছাত্রদল-ছাত্র অধিকারের সমন্বিত 'ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান' প্যানেল ঘোষণা
জবি ছাত্রদল-ছাত্র অধিকারের সমন্বিত 'ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান' প্যানেল ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুগঞ্জে দেড় কোটি টাকার প্রসাধনী জব্দ, গ্রেফতার ১
আশুগঞ্জে দেড় কোটি টাকার প্রসাধনী জব্দ, গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

১৯ নভেম্বর বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে ইসির সংলাপ
১৯ নভেম্বর বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে ইসির সংলাপ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২৭
রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২৭

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত
গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় নিজ ঘরে মসজিদের ইমামের স্ত্রীকে হত্যা
কলাপাড়ায় নিজ ঘরে মসজিদের ইমামের স্ত্রীকে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘পরিবেশ রক্ষায় পাট কেন্দ্রিক শিল্প-সংস্কৃতির প্রসার ও উদ্ভাবন জরুরি’
‘পরিবেশ রক্ষায় পাট কেন্দ্রিক শিল্প-সংস্কৃতির প্রসার ও উদ্ভাবন জরুরি’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

২৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি
গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের সহজ জয়
ভারতকে লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের সহজ জয়

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!
শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রিন্ট সর্বাধিক
শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ
লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি
রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি

শোবিজ

কার অপেক্ষায় মাহি?
কার অপেক্ষায় মাহি?

শোবিজ

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের
ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী
নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

৯৩ রানে অলআউট ভারত
৯৩ রানে অলআউট ভারত

মাঠে ময়দানে

১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট
১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট

মাঠে ময়দানে

দর্শক মাতালেন কনা
দর্শক মাতালেন কনা

শোবিজ

নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে
নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল
সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল

মাঠে ময়দানে

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

শোবিজ

বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন
বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে