শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

খালেদা জিয়াকে ভোটের লড়াইয়ে আসতে দেওয়া হবে?

পীর হাবিবুর রহমান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
খালেদা জিয়াকে ভোটের লড়াইয়ে আসতে দেওয়া হবে?

আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শীত না নামলেও বসন্তের আগমনী গান, কোকিলের প্রাণ আকুল করা ডাক প্রকৃতিতে বিরহ নিয়ে এলেও ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ গ্রহণ শেষে দায়িত্বও গ্রহণ করেছে। শপথ গ্রহণের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সব দলের আস্থা চাই। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলকে আমরা আস্থায় আনতে পারব, এই আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে।’  প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য সুন্দর, সহজ, সাবলীল ও প্রাণছোঁয়া। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতায় আস্থা অর্জন করতে কতটা পারবেন সেটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি মৃদুমন্দ বাতাসে দোল খাচ্ছে কিন্তু নির্দিষ্ট করে এখনো দৃশ্যমান হয়নি। সব দলের জন্য ভোটযুদ্ধে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসনসহ সর্বত্র নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার নির্বাচন কমিশনের জন্য কতটা বড় চ্যালেঞ্জ সেটি সিইসিকে খতিয়ে দেখতে হবে।

এদেশে বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যেসব সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল সেখানেও পরাজিত পক্ষ নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়তে ভোলেনি। সবচেয়ে বড় বিষয়, একটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কতটা পক্ষপাতমুক্ত, কতটা প্রভাবমুক্ত থেকে, মহলবিশেষের চোখ রাঙানো উপেক্ষা করে শক্তিশালী মেরুদণ্ডের ওপর একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারল কিনা সেই বিচারের ক্ষমতা দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং পর্যবেক্ষকদের রয়েছে। দেশের মানুষ চায় আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হোক। রাজপথ থেকে সহিংস সংঘাতের রাজনীতি নির্বাসিত হয়েছে। ক্ষমতায় যারাই আসুন, সংসদে জবাবদিহি করুন। সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের উপস্থিতি থাকুক। জাতীয় ইস্যুতে প্রাণবন্ত বিতর্ক হোক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত মহান সংসদ শাসকদলের বন্দনা আর সরকারবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে বিষোদগারের একঘেয়ে সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসুক। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেমন অব্যাহত থাকুক তেমনি সংসদ হয়ে উঠুক সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।

সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় বাস করব একটি শক্তিশালী-কার্যকর, প্রাণবন্ত, তুমুল বিতর্কের ঝড় তোলা সংসদ পাব না; তা হতে পারে না। অকার্যকর বা প্রহসনের সংসদ সংসদীয় শাসনব্যবস্থার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণই, যা গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেয়। গণতন্ত্র হয়ে পড়ে বিকলাঙ্গ, শাসককে করে স্বেচ্ছাচারী। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ হয়, জনগণ হয়ে পড়ে অসহায়। গৃহপালিত বিরোধী দল বা ঘরজামাই বিরোধী দলের উদাহরণ আমাদের সংসদীয় রাজনীতিতে সুখকর নয়। ’৮৮ সালে যেমন দেখা গেছে তেমনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে গঠিত চলমান সংসদে তা দেখা গেছে। যেখানে কার্যত সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও দুরবিন দিয়ে বিরোধী দলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।

সেনাশাসনকবলিত বাংলাদেশে প্রহসনের ভোট ডাকাতির নির্বাচনেও ৭৯ ও ৮৬ সালের সংসদ ছিল প্রাণবন্ত। শাসনব্যবস্থা যদিও ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা। সেনাশাসন-উত্তর গণতন্ত্রের নবযাত্রায় ৯১ সালের সংসদে আমরা সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করেছিলাম। সেই ৯১ ও ৯৬ সালের সংসদ বিরোধী দলের বর্জনের মুখে পড়লেও কার্যকর, প্রাণবন্ত ও শক্তিশালী ছিল। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থাও পেয়েছিলাম। আমাদের সব অর্জনই ছিল আন্দোলন, সংগ্রাম ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের আত্মদান বা রক্তের বিনিময়ে। কিন্তু আমরা আমাদের রক্তে অর্জিত অর্জনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। ব্যক্তির নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও ক্ষমতায় টিকে থাকার লোভ, গণতন্ত্রের সহনশীল পথ উপেক্ষা করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে উত্খাত করে দেওয়ার মতো শয়তানি প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের আস্ফাালন, একুশের গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ যত আক্রমণ, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, বোমা সন্ত্রাস, অন্ধকার শক্তির সঙ্গে আঁতাত আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আলোর পথে অগ্রসর হতে দেয়নি। যারা খেলেছেন, এর চড়া মাসুল তারাও দিচ্ছেন। লোকসান গুনেছে গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ ও দেশ; দুর্বল হয়েছে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা।

আগামী নির্বাচন সেই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। যেখান থেকে শক্তিশালী সরকার ও শক্তিশালী বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সংসদীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় শাসনব্যবস্থাকে নতুন করে মেরামত করা ও নতুন করে পথ চলার প্রয়াস চলবে। আমাদের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া প্রতিহিংসার ছোবলে তৈরি হওয়া অবিশ্বাসের দগদগে ক্ষতস্থান শুকিয়ে নেওয়ার স্বার্থে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে একটি রাজনৈতিক চুক্তিনামা তৈরি হওয়া উচিত। যেখানে সংসদকে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণই নয়; সংসদ বর্জন নিষিদ্ধ করে দিতে হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়াক আউট হবে কিন্তু সংসদ বর্জন চলবে না। সংসদ হবে সব বিতর্ক ও আলোচনার উন্মুক্ত প্লাটফর্ম। রাজনৈতিক দলগুলো সমাবেশ করবে কিন্তু হরতাল অবরোধের মতো অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিরোধী কর্মসূচিতে যাবে না। সংসদে বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ বেশি করে দিতে হবে।

বসন্তের বৃক্ষের পাতা ঝরছে, ঝরুক। মন উদাস করা মধ্যদুপুরে প্রাণ আকুল করা কোকিলের ডাক শোনা যাচ্ছে, শোনা যাক। ঋতুরাজ বসন্তের চেয়েও এদেশের মানুষের কাছে গণতন্ত্র অধিক প্রিয় ও উত্তম। মানুষের মন কোকিলের চেয়েও প্রাণ আকুল করে ডাকছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানুষের নিরাপদ ও উন্নত জীবনের গ্যারান্টির জন্য। আমাদের দেশ রক্তগঙ্গায় অর্জিত। আমাদের গণতন্ত্র শত শত শহীদের আত্মদানে অর্জিত। রক্তে কেনা দেশ, রক্তে কেনা গণতন্ত্র; পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশের গৌরবের মহিমাকে উজ্জ্বল করেছে।

আগামী নির্বাচন জাতীয় জীবনে অধিক মাত্রায় গুরুত্ব বহন করছে এই কারণে যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে, নির্বাচনী ঐতিহ্যকে, সব আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারা বিবেচনা করলে কার্যত আমরা একটি রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের মধ্যদিয়ে সময়কে অতিক্রম করছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার গৌরবের আন্দোলন সংগ্রামের, উত্থান-পতনের ৩৫ বছরের সংগ্রামমুখর রাজনীতিতে পুলসিরাতের রাস্তা অতিক্রম করে এসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজের ক্যারিশমায়, প্রজ্ঞায় নেতৃত্বকে সুসংহতই করেননি; উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করেছেন।

বিশ্ব পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশ যেমন তার অনুকূলে, তেমনি অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে সেক্যুলারিজমের তুরুপের তাস কিস্তিমাত করে তাকে অন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছে। তার সমালোচকরা তাকে একনায়ক বলুন আর যাই বলুন বিশ্বরাজনীতির প্রতাপশালী নেতৃত্বের পাশে যেমন নিজে জায়গা করে নিয়েছেন; তেমনি দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কেও উঠিয়েছেন।

নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন হাঁটছে মুজিবকন্যার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশে জায়গা নিতে। দেশের অর্থনৈতিক খাতে অনেক নৈরাজ্য ঘটে গেছে। ব্যাংকিং খাতে সীমাহীন লুটপাট হয়েছে। শেয়ারবাজারে লুটেরাদের বিচার হয়নি। তবুও শেয়ারবাজার ফের চাঙা হয়ে উঠছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে জুয়াড়িরা শেয়ারবাজারে খেলার চেষ্টা করছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন খারাপ কোম্পানির শেয়ারবাজারে আসা বন্ধ করতে পারছে না। এসব নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তবুও দল ও সরকারের মন্ত্রীরা, জোটের শরিকরা তাল মিলিয়ে চলতে পারুন আর নাই পারুন, একতরফা নির্বাচনে স্থানীয় সরকারগুলো দখলে নিলেও জনগণের হৃদয় জয় করতে পারুন আর নাই পারুন- অ্যারাবিয়ান ব্ল্যাক হর্সের মতোই শেখ হাসিনা ক্ষিপ্রগতিতে ছুটছেন।

জাতীয়ভাবে ক্ষমতার রাজনীতিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এখনো দৃশ্যমান নয়। শেখ হাসিনাই শেখ হাসিনার বিকল্প।

আগামী নির্বাচনের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলেও মানুষের প্রত্যাশা সংসদে একজন শক্তিশালী বিরোধী দলের নেতার সরব উপস্থিতি ঘটুক। বিএনপির বিভ্রান্ত রাজনীতির কারণে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যে প্রবল জনমত তৈরি হয়েছিল, তাতে ভাটা পড়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিরোধে ব্যর্থতা এবং পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালের লাগাতার হরতাল ও অবরোধের অকার্যকর কর্মসূচি দলটিকে দেউলিয়াত্বের চরমে নিয়ে যায়। রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার চড়া মূল্য দিতে গিয়ে সারা দেশের বিএনপি মামলার জালেই বন্দী হয়নি, সাংগঠনিকভাবেও হয়েছে দুর্বল।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনার সরকারকে ৫ জানুয়ারির মতো একটি অবিশ্বাস্য নির্বাচন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকাই শুধু নয়, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়েরও সুযোগ করে দিয়েছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রশ্নে, জামায়াত প্রশ্নে নিজেদের অবস্থা পরিষ্কার করতে না পারায় শাসকজোট খালেদা জিয়া ও তার বিএনপিকে বিভক্ত রাজনীতির সীমারেখায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শিবিরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শাসক জোটের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সামনে যে দুর্নীতি মামলা ঝুলছে, তাতে দণ্ডিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে ভোটের ময়দান থেকে তাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে সংসদে বিরোধী দলের জায়গাটিতেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিবিরের কাউকে নিয়ে আসতে হবে। রাজনীতির অন্দর মহলে এমন নানা কথা বইছে। কিন্তু বিএনপি আগামী নির্বাচনে যে অংশগ্রহণ করছে, সেটি প্রায় নিশ্চিত। বিএনপির নেতারাও বলছেন, সরকার যদিও চাইছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে, কিন্তু বাস্তবে সেটি সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই তারা নির্বাচনে আসবেন এবং গণরায় নিয়ে সরকার গঠন করবেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দণ্ডিত হলে আপিল বিভাগে মামলা ঝুলিয়ে রেখে নির্বাচনে লড়তে পারবেন। তবে সেটি নির্ভর করছে সরকার কি চায় তার ওপর।

আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিও প্রখর হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে। কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়ছে পর্দার অন্তরালে। এ নিয়ে সরকারি দলের নেতারা অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক না গলাতে সতর্ক করছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শুভাকাঙ্ক্ষীরাও বলছেন, আদালত কর্তৃক দণ্ডিত, লন্ডনে নির্বাসিত পুত্র তারেক রহমান দলের বা দেশের রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখবেন না, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আদর্শিক নয়; নির্বাচনী ঐক্য ছিল। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় সেই ঐক্য এখন আর নেই— এমন সব ঘোষণা দিয়ে সমমনা গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে নির্বাচনী জোট গঠন করে আগামী নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে।

এদিকে, সরকারি মহলে যারা মনে করেন খালেদা জিয়া নয়, জোটের সঙ্গে থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কেউ সংসদে বিরোধী দলের নেতা হবে, তারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে সবুজ সংকেত দিচ্ছেন। এরশাদ নিজেও জোট গঠনের কথা বলেছেন। রাজনীতির অন্দর মহলে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নানা স্রোত বইছে। মৃদুমন্দ ঢেউ উঠছে পর্দার আড়ালের রাজনীতিতে। ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক। কেউ কেউ শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিচ্ছেন বিএনপিকে অপ্রস্তুত রেখেই নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসা। সবকিছুই রাজনীতির অন্দরে আলাপ-আলোচনা, জল্পনা-কল্পনায় ঢালপালা মেলছে। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ তৈরি হয়নি। রাজনীতির অন্দরে ছোট দলের অনেক বড় নেতা এখনো ক্ষীণ আশা দেখছেন- আগামী নির্বাচন কীভাবে গ্রহণযোগ্য করা যায়। তাদের এক কথা, আর যাই হোক ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন নয়। রাজনৈতিক শক্তি ও সিভিল সোসাইটিকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের এক দফার আন্দোলনের সলাপরামর্শ বৈঠক রুম পর্যন্ত শুরু করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা শক্তির মনোভাব, ইচ্ছা তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিকে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শাসক জোটের অনেকে যদিও মনে করেন— বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদে এলে শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে রাজনীতিতে তিনিই থেকে যাবেন। তাই তাকে বাদ দিয়েই নির্বাচন জরুরি। কিন্তু এটাকে যারা গ্রহণ করছেন না, তারা মনে করেন— বিএনপিকে কোণঠাসা, দুর্বল করা সম্ভব হলেও শেষ করে দেওয়া সম্ভব নয়। বিএনপি এখনো একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তার শক্তির উৎস হতে পারে আওয়ামী লীগবিরোধী জনমত। কিন্তু নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে কার্যকর সংসদ গঠনের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই তার দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তারা মনে করেন— খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে বিএনপিকে ভেঙে নির্বাচন করার চিন্তা যদি কেউ করেন; তবে সেটি হবে দুঃস্বপ্ন। খালেদা জিয়াকে জেলে বা নির্বাচনের বাইরে রেখে ভোট হলে বিএনপি সেখানে অংশগ্রহণ করবে না। বিচ্ছিন্ন দুই-চারজন অংশ নিলেও তা হবে অর্থহীন। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন রক্ষার জন্যই হোক, রাজনৈতিক অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জের জন্যই হোক বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়। প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপিকে আসতে দিলেও তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে আসতে দেওয়া হবে কিনা?

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে ভোটের লড়াই যেমন উৎসবমুখর হবে না, প্রাণবন্ত হবে না, নিষ্প্রভ, আকর্ষণহীন হয়ে পড়বে; তেমনি আগামী দিনের সংসদও হবে একতরফা। যেখানে সংসদীয় রাজনীতির আলোর ছটা দেখা যাবে না।  রাজনীতির গতি-প্রকৃতির ওপর এখনো শেষ কথা বলার সময় আসেনি। পর্যবেক্ষণ দৃষ্টি রাখার সময় চলছে। আর নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জনে কতটুকু সফল হবে সেটি বলারও সময় এখনো আসেনি।  তাদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা। নিরপেক্ষ, শক্তিশালী অবস্থান দেখাতে পারলে প্রশংসিত হবেন না হয় অতীতের অনেকের মতো নিন্দিত হবেন।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

২ সেকেন্ড আগে | বিজ্ঞান

সংসদ নির্বাচন: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর
সংসদ নির্বাচন: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর

৪৪ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদপুরে হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু
চাঁদপুরে হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যশোরে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
যশোরে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টরেন্টোতে ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু
টরেন্টোতে ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু

১৮ মিনিট আগে | পরবাস

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৩১৩ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৩১৩ মামলা

১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

শাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প
শাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প

২২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

৫ দিনের রিমান্ডে স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মিঠু
৫ দিনের রিমান্ডে স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মিঠু

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বাজারে এলো সাশ্রয়ী মূল্যের ‘আকিজ ড্রিংকিং ওয়াটার’
বাজারে এলো সাশ্রয়ী মূল্যের ‘আকিজ ড্রিংকিং ওয়াটার’

৩২ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

৪ বিভাগে ভারি বৃষ্টির শঙ্কা
৪ বিভাগে ভারি বৃষ্টির শঙ্কা

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের মানবাধিকার চর্চার প্রচেষ্টায় ইইউয়ের প্রতিনিধি দলের প্রশংসা
বাংলাদেশের মানবাধিকার চর্চার প্রচেষ্টায় ইইউয়ের প্রতিনিধি দলের প্রশংসা

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তায় সুদের হার অপরিবর্তিত ব্রাজিলের
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তায় সুদের হার অপরিবর্তিত ব্রাজিলের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়া হালাল শোকেসের ২১তম আসরে বাংলাদেশ
মালয়েশিয়া হালাল শোকেসের ২১তম আসরে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

উখিয়ায় বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু
উখিয়ায় বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিপাইনে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা
ফিলিপাইনে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুবাইয়ে আবাসিক এলাকায় সাপ আতঙ্ক
দুবাইয়ে আবাসিক এলাকায় সাপ আতঙ্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা রিজেন্সি –তে ট্যুরিজম ফেস্ট ২০২৫ এর উদ্বোধন
ঢাকা রিজেন্সি –তে ট্যুরিজম ফেস্ট ২০২৫ এর উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গ্রাম, নিখোঁজ অন্তত ১০
উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গ্রাম, নিখোঁজ অন্তত ১০

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার ১১
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার ১১

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশি সমর্থকরা শ্রীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা
বাংলাদেশি সমর্থকরা শ্রীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু
সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভ্লগার সিরাজের আয়ে পাকিস্তানের দুর্গম গ্রামে আধুনিক স্কুল
ভ্লগার সিরাজের আয়ে পাকিস্তানের দুর্গম গ্রামে আধুনিক স্কুল

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন