শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

খালেদা জিয়াকে ভোটের লড়াইয়ে আসতে দেওয়া হবে?

পীর হাবিবুর রহমান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
খালেদা জিয়াকে ভোটের লড়াইয়ে আসতে দেওয়া হবে?

আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শীত না নামলেও বসন্তের আগমনী গান, কোকিলের প্রাণ আকুল করা ডাক প্রকৃতিতে বিরহ নিয়ে এলেও ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ গ্রহণ শেষে দায়িত্বও গ্রহণ করেছে। শপথ গ্রহণের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সব দলের আস্থা চাই। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলকে আমরা আস্থায় আনতে পারব, এই আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে।’  প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য সুন্দর, সহজ, সাবলীল ও প্রাণছোঁয়া। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতায় আস্থা অর্জন করতে কতটা পারবেন সেটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি মৃদুমন্দ বাতাসে দোল খাচ্ছে কিন্তু নির্দিষ্ট করে এখনো দৃশ্যমান হয়নি। সব দলের জন্য ভোটযুদ্ধে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসনসহ সর্বত্র নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার নির্বাচন কমিশনের জন্য কতটা বড় চ্যালেঞ্জ সেটি সিইসিকে খতিয়ে দেখতে হবে।

এদেশে বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যেসব সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল সেখানেও পরাজিত পক্ষ নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়তে ভোলেনি। সবচেয়ে বড় বিষয়, একটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কতটা পক্ষপাতমুক্ত, কতটা প্রভাবমুক্ত থেকে, মহলবিশেষের চোখ রাঙানো উপেক্ষা করে শক্তিশালী মেরুদণ্ডের ওপর একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারল কিনা সেই বিচারের ক্ষমতা দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং পর্যবেক্ষকদের রয়েছে। দেশের মানুষ চায় আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হোক। রাজপথ থেকে সহিংস সংঘাতের রাজনীতি নির্বাসিত হয়েছে। ক্ষমতায় যারাই আসুন, সংসদে জবাবদিহি করুন। সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের উপস্থিতি থাকুক। জাতীয় ইস্যুতে প্রাণবন্ত বিতর্ক হোক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত মহান সংসদ শাসকদলের বন্দনা আর সরকারবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে বিষোদগারের একঘেয়ে সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসুক। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেমন অব্যাহত থাকুক তেমনি সংসদ হয়ে উঠুক সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।

সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় বাস করব একটি শক্তিশালী-কার্যকর, প্রাণবন্ত, তুমুল বিতর্কের ঝড় তোলা সংসদ পাব না; তা হতে পারে না। অকার্যকর বা প্রহসনের সংসদ সংসদীয় শাসনব্যবস্থার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণই, যা গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেয়। গণতন্ত্র হয়ে পড়ে বিকলাঙ্গ, শাসককে করে স্বেচ্ছাচারী। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ হয়, জনগণ হয়ে পড়ে অসহায়। গৃহপালিত বিরোধী দল বা ঘরজামাই বিরোধী দলের উদাহরণ আমাদের সংসদীয় রাজনীতিতে সুখকর নয়। ’৮৮ সালে যেমন দেখা গেছে তেমনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে গঠিত চলমান সংসদে তা দেখা গেছে। যেখানে কার্যত সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও দুরবিন দিয়ে বিরোধী দলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।

সেনাশাসনকবলিত বাংলাদেশে প্রহসনের ভোট ডাকাতির নির্বাচনেও ৭৯ ও ৮৬ সালের সংসদ ছিল প্রাণবন্ত। শাসনব্যবস্থা যদিও ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা। সেনাশাসন-উত্তর গণতন্ত্রের নবযাত্রায় ৯১ সালের সংসদে আমরা সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করেছিলাম। সেই ৯১ ও ৯৬ সালের সংসদ বিরোধী দলের বর্জনের মুখে পড়লেও কার্যকর, প্রাণবন্ত ও শক্তিশালী ছিল। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থাও পেয়েছিলাম। আমাদের সব অর্জনই ছিল আন্দোলন, সংগ্রাম ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের আত্মদান বা রক্তের বিনিময়ে। কিন্তু আমরা আমাদের রক্তে অর্জিত অর্জনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। ব্যক্তির নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও ক্ষমতায় টিকে থাকার লোভ, গণতন্ত্রের সহনশীল পথ উপেক্ষা করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে উত্খাত করে দেওয়ার মতো শয়তানি প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের আস্ফাালন, একুশের গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ যত আক্রমণ, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, বোমা সন্ত্রাস, অন্ধকার শক্তির সঙ্গে আঁতাত আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আলোর পথে অগ্রসর হতে দেয়নি। যারা খেলেছেন, এর চড়া মাসুল তারাও দিচ্ছেন। লোকসান গুনেছে গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ ও দেশ; দুর্বল হয়েছে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা।

আগামী নির্বাচন সেই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। যেখান থেকে শক্তিশালী সরকার ও শক্তিশালী বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সংসদীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় শাসনব্যবস্থাকে নতুন করে মেরামত করা ও নতুন করে পথ চলার প্রয়াস চলবে। আমাদের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া প্রতিহিংসার ছোবলে তৈরি হওয়া অবিশ্বাসের দগদগে ক্ষতস্থান শুকিয়ে নেওয়ার স্বার্থে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে একটি রাজনৈতিক চুক্তিনামা তৈরি হওয়া উচিত। যেখানে সংসদকে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণই নয়; সংসদ বর্জন নিষিদ্ধ করে দিতে হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়াক আউট হবে কিন্তু সংসদ বর্জন চলবে না। সংসদ হবে সব বিতর্ক ও আলোচনার উন্মুক্ত প্লাটফর্ম। রাজনৈতিক দলগুলো সমাবেশ করবে কিন্তু হরতাল অবরোধের মতো অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিরোধী কর্মসূচিতে যাবে না। সংসদে বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ বেশি করে দিতে হবে।

বসন্তের বৃক্ষের পাতা ঝরছে, ঝরুক। মন উদাস করা মধ্যদুপুরে প্রাণ আকুল করা কোকিলের ডাক শোনা যাচ্ছে, শোনা যাক। ঋতুরাজ বসন্তের চেয়েও এদেশের মানুষের কাছে গণতন্ত্র অধিক প্রিয় ও উত্তম। মানুষের মন কোকিলের চেয়েও প্রাণ আকুল করে ডাকছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানুষের নিরাপদ ও উন্নত জীবনের গ্যারান্টির জন্য। আমাদের দেশ রক্তগঙ্গায় অর্জিত। আমাদের গণতন্ত্র শত শত শহীদের আত্মদানে অর্জিত। রক্তে কেনা দেশ, রক্তে কেনা গণতন্ত্র; পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশের গৌরবের মহিমাকে উজ্জ্বল করেছে।

আগামী নির্বাচন জাতীয় জীবনে অধিক মাত্রায় গুরুত্ব বহন করছে এই কারণে যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে, নির্বাচনী ঐতিহ্যকে, সব আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারা বিবেচনা করলে কার্যত আমরা একটি রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের মধ্যদিয়ে সময়কে অতিক্রম করছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার গৌরবের আন্দোলন সংগ্রামের, উত্থান-পতনের ৩৫ বছরের সংগ্রামমুখর রাজনীতিতে পুলসিরাতের রাস্তা অতিক্রম করে এসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজের ক্যারিশমায়, প্রজ্ঞায় নেতৃত্বকে সুসংহতই করেননি; উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করেছেন।

বিশ্ব পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশ যেমন তার অনুকূলে, তেমনি অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে সেক্যুলারিজমের তুরুপের তাস কিস্তিমাত করে তাকে অন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছে। তার সমালোচকরা তাকে একনায়ক বলুন আর যাই বলুন বিশ্বরাজনীতির প্রতাপশালী নেতৃত্বের পাশে যেমন নিজে জায়গা করে নিয়েছেন; তেমনি দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কেও উঠিয়েছেন।

নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন হাঁটছে মুজিবকন্যার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশে জায়গা নিতে। দেশের অর্থনৈতিক খাতে অনেক নৈরাজ্য ঘটে গেছে। ব্যাংকিং খাতে সীমাহীন লুটপাট হয়েছে। শেয়ারবাজারে লুটেরাদের বিচার হয়নি। তবুও শেয়ারবাজার ফের চাঙা হয়ে উঠছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে জুয়াড়িরা শেয়ারবাজারে খেলার চেষ্টা করছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন খারাপ কোম্পানির শেয়ারবাজারে আসা বন্ধ করতে পারছে না। এসব নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তবুও দল ও সরকারের মন্ত্রীরা, জোটের শরিকরা তাল মিলিয়ে চলতে পারুন আর নাই পারুন, একতরফা নির্বাচনে স্থানীয় সরকারগুলো দখলে নিলেও জনগণের হৃদয় জয় করতে পারুন আর নাই পারুন- অ্যারাবিয়ান ব্ল্যাক হর্সের মতোই শেখ হাসিনা ক্ষিপ্রগতিতে ছুটছেন।

জাতীয়ভাবে ক্ষমতার রাজনীতিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এখনো দৃশ্যমান নয়। শেখ হাসিনাই শেখ হাসিনার বিকল্প।

আগামী নির্বাচনের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলেও মানুষের প্রত্যাশা সংসদে একজন শক্তিশালী বিরোধী দলের নেতার সরব উপস্থিতি ঘটুক। বিএনপির বিভ্রান্ত রাজনীতির কারণে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যে প্রবল জনমত তৈরি হয়েছিল, তাতে ভাটা পড়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিরোধে ব্যর্থতা এবং পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালের লাগাতার হরতাল ও অবরোধের অকার্যকর কর্মসূচি দলটিকে দেউলিয়াত্বের চরমে নিয়ে যায়। রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার চড়া মূল্য দিতে গিয়ে সারা দেশের বিএনপি মামলার জালেই বন্দী হয়নি, সাংগঠনিকভাবেও হয়েছে দুর্বল।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনার সরকারকে ৫ জানুয়ারির মতো একটি অবিশ্বাস্য নির্বাচন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকাই শুধু নয়, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়েরও সুযোগ করে দিয়েছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রশ্নে, জামায়াত প্রশ্নে নিজেদের অবস্থা পরিষ্কার করতে না পারায় শাসকজোট খালেদা জিয়া ও তার বিএনপিকে বিভক্ত রাজনীতির সীমারেখায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শিবিরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শাসক জোটের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সামনে যে দুর্নীতি মামলা ঝুলছে, তাতে দণ্ডিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে ভোটের ময়দান থেকে তাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে সংসদে বিরোধী দলের জায়গাটিতেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিবিরের কাউকে নিয়ে আসতে হবে। রাজনীতির অন্দর মহলে এমন নানা কথা বইছে। কিন্তু বিএনপি আগামী নির্বাচনে যে অংশগ্রহণ করছে, সেটি প্রায় নিশ্চিত। বিএনপির নেতারাও বলছেন, সরকার যদিও চাইছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে, কিন্তু বাস্তবে সেটি সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই তারা নির্বাচনে আসবেন এবং গণরায় নিয়ে সরকার গঠন করবেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দণ্ডিত হলে আপিল বিভাগে মামলা ঝুলিয়ে রেখে নির্বাচনে লড়তে পারবেন। তবে সেটি নির্ভর করছে সরকার কি চায় তার ওপর।

আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিও প্রখর হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে। কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়ছে পর্দার অন্তরালে। এ নিয়ে সরকারি দলের নেতারা অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক না গলাতে সতর্ক করছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শুভাকাঙ্ক্ষীরাও বলছেন, আদালত কর্তৃক দণ্ডিত, লন্ডনে নির্বাসিত পুত্র তারেক রহমান দলের বা দেশের রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখবেন না, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আদর্শিক নয়; নির্বাচনী ঐক্য ছিল। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় সেই ঐক্য এখন আর নেই— এমন সব ঘোষণা দিয়ে সমমনা গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে নির্বাচনী জোট গঠন করে আগামী নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে।

এদিকে, সরকারি মহলে যারা মনে করেন খালেদা জিয়া নয়, জোটের সঙ্গে থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কেউ সংসদে বিরোধী দলের নেতা হবে, তারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে সবুজ সংকেত দিচ্ছেন। এরশাদ নিজেও জোট গঠনের কথা বলেছেন। রাজনীতির অন্দর মহলে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নানা স্রোত বইছে। মৃদুমন্দ ঢেউ উঠছে পর্দার আড়ালের রাজনীতিতে। ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক। কেউ কেউ শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিচ্ছেন বিএনপিকে অপ্রস্তুত রেখেই নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসা। সবকিছুই রাজনীতির অন্দরে আলাপ-আলোচনা, জল্পনা-কল্পনায় ঢালপালা মেলছে। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ তৈরি হয়নি। রাজনীতির অন্দরে ছোট দলের অনেক বড় নেতা এখনো ক্ষীণ আশা দেখছেন- আগামী নির্বাচন কীভাবে গ্রহণযোগ্য করা যায়। তাদের এক কথা, আর যাই হোক ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন নয়। রাজনৈতিক শক্তি ও সিভিল সোসাইটিকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের এক দফার আন্দোলনের সলাপরামর্শ বৈঠক রুম পর্যন্ত শুরু করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা শক্তির মনোভাব, ইচ্ছা তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিকে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শাসক জোটের অনেকে যদিও মনে করেন— বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদে এলে শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে রাজনীতিতে তিনিই থেকে যাবেন। তাই তাকে বাদ দিয়েই নির্বাচন জরুরি। কিন্তু এটাকে যারা গ্রহণ করছেন না, তারা মনে করেন— বিএনপিকে কোণঠাসা, দুর্বল করা সম্ভব হলেও শেষ করে দেওয়া সম্ভব নয়। বিএনপি এখনো একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তার শক্তির উৎস হতে পারে আওয়ামী লীগবিরোধী জনমত। কিন্তু নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে কার্যকর সংসদ গঠনের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই তার দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তারা মনে করেন— খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে বিএনপিকে ভেঙে নির্বাচন করার চিন্তা যদি কেউ করেন; তবে সেটি হবে দুঃস্বপ্ন। খালেদা জিয়াকে জেলে বা নির্বাচনের বাইরে রেখে ভোট হলে বিএনপি সেখানে অংশগ্রহণ করবে না। বিচ্ছিন্ন দুই-চারজন অংশ নিলেও তা হবে অর্থহীন। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন রক্ষার জন্যই হোক, রাজনৈতিক অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জের জন্যই হোক বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়। প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপিকে আসতে দিলেও তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে আসতে দেওয়া হবে কিনা?

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে ভোটের লড়াই যেমন উৎসবমুখর হবে না, প্রাণবন্ত হবে না, নিষ্প্রভ, আকর্ষণহীন হয়ে পড়বে; তেমনি আগামী দিনের সংসদও হবে একতরফা। যেখানে সংসদীয় রাজনীতির আলোর ছটা দেখা যাবে না।  রাজনীতির গতি-প্রকৃতির ওপর এখনো শেষ কথা বলার সময় আসেনি। পর্যবেক্ষণ দৃষ্টি রাখার সময় চলছে। আর নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জনে কতটুকু সফল হবে সেটি বলারও সময় এখনো আসেনি।  তাদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা। নিরপেক্ষ, শক্তিশালী অবস্থান দেখাতে পারলে প্রশংসিত হবেন না হয় অতীতের অনেকের মতো নিন্দিত হবেন।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে
খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে

৪১ মিনিট আগে | জীবন ধারা

আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা