শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

খালেদা জিয়াকে ভোটের লড়াইয়ে আসতে দেওয়া হবে?

পীর হাবিবুর রহমান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
খালেদা জিয়াকে ভোটের লড়াইয়ে আসতে দেওয়া হবে?

আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শীত না নামলেও বসন্তের আগমনী গান, কোকিলের প্রাণ আকুল করা ডাক প্রকৃতিতে বিরহ নিয়ে এলেও ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ গ্রহণ শেষে দায়িত্বও গ্রহণ করেছে। শপথ গ্রহণের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সব দলের আস্থা চাই। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলকে আমরা আস্থায় আনতে পারব, এই আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে।’  প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য সুন্দর, সহজ, সাবলীল ও প্রাণছোঁয়া। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতায় আস্থা অর্জন করতে কতটা পারবেন সেটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি মৃদুমন্দ বাতাসে দোল খাচ্ছে কিন্তু নির্দিষ্ট করে এখনো দৃশ্যমান হয়নি। সব দলের জন্য ভোটযুদ্ধে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসনসহ সর্বত্র নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার নির্বাচন কমিশনের জন্য কতটা বড় চ্যালেঞ্জ সেটি সিইসিকে খতিয়ে দেখতে হবে।

এদেশে বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যেসব সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল সেখানেও পরাজিত পক্ষ নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়তে ভোলেনি। সবচেয়ে বড় বিষয়, একটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কতটা পক্ষপাতমুক্ত, কতটা প্রভাবমুক্ত থেকে, মহলবিশেষের চোখ রাঙানো উপেক্ষা করে শক্তিশালী মেরুদণ্ডের ওপর একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারল কিনা সেই বিচারের ক্ষমতা দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং পর্যবেক্ষকদের রয়েছে। দেশের মানুষ চায় আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হোক। রাজপথ থেকে সহিংস সংঘাতের রাজনীতি নির্বাসিত হয়েছে। ক্ষমতায় যারাই আসুন, সংসদে জবাবদিহি করুন। সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের উপস্থিতি থাকুক। জাতীয় ইস্যুতে প্রাণবন্ত বিতর্ক হোক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত মহান সংসদ শাসকদলের বন্দনা আর সরকারবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে বিষোদগারের একঘেয়ে সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসুক। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেমন অব্যাহত থাকুক তেমনি সংসদ হয়ে উঠুক সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।

সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় বাস করব একটি শক্তিশালী-কার্যকর, প্রাণবন্ত, তুমুল বিতর্কের ঝড় তোলা সংসদ পাব না; তা হতে পারে না। অকার্যকর বা প্রহসনের সংসদ সংসদীয় শাসনব্যবস্থার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণই, যা গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেয়। গণতন্ত্র হয়ে পড়ে বিকলাঙ্গ, শাসককে করে স্বেচ্ছাচারী। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ হয়, জনগণ হয়ে পড়ে অসহায়। গৃহপালিত বিরোধী দল বা ঘরজামাই বিরোধী দলের উদাহরণ আমাদের সংসদীয় রাজনীতিতে সুখকর নয়। ’৮৮ সালে যেমন দেখা গেছে তেমনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে গঠিত চলমান সংসদে তা দেখা গেছে। যেখানে কার্যত সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও দুরবিন দিয়ে বিরোধী দলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।

সেনাশাসনকবলিত বাংলাদেশে প্রহসনের ভোট ডাকাতির নির্বাচনেও ৭৯ ও ৮৬ সালের সংসদ ছিল প্রাণবন্ত। শাসনব্যবস্থা যদিও ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা। সেনাশাসন-উত্তর গণতন্ত্রের নবযাত্রায় ৯১ সালের সংসদে আমরা সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করেছিলাম। সেই ৯১ ও ৯৬ সালের সংসদ বিরোধী দলের বর্জনের মুখে পড়লেও কার্যকর, প্রাণবন্ত ও শক্তিশালী ছিল। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থাও পেয়েছিলাম। আমাদের সব অর্জনই ছিল আন্দোলন, সংগ্রাম ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের আত্মদান বা রক্তের বিনিময়ে। কিন্তু আমরা আমাদের রক্তে অর্জিত অর্জনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। ব্যক্তির নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও ক্ষমতায় টিকে থাকার লোভ, গণতন্ত্রের সহনশীল পথ উপেক্ষা করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে উত্খাত করে দেওয়ার মতো শয়তানি প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের আস্ফাালন, একুশের গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ যত আক্রমণ, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, বোমা সন্ত্রাস, অন্ধকার শক্তির সঙ্গে আঁতাত আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আলোর পথে অগ্রসর হতে দেয়নি। যারা খেলেছেন, এর চড়া মাসুল তারাও দিচ্ছেন। লোকসান গুনেছে গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ ও দেশ; দুর্বল হয়েছে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা।

আগামী নির্বাচন সেই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। যেখান থেকে শক্তিশালী সরকার ও শক্তিশালী বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সংসদীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় শাসনব্যবস্থাকে নতুন করে মেরামত করা ও নতুন করে পথ চলার প্রয়াস চলবে। আমাদের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া প্রতিহিংসার ছোবলে তৈরি হওয়া অবিশ্বাসের দগদগে ক্ষতস্থান শুকিয়ে নেওয়ার স্বার্থে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে একটি রাজনৈতিক চুক্তিনামা তৈরি হওয়া উচিত। যেখানে সংসদকে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণই নয়; সংসদ বর্জন নিষিদ্ধ করে দিতে হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়াক আউট হবে কিন্তু সংসদ বর্জন চলবে না। সংসদ হবে সব বিতর্ক ও আলোচনার উন্মুক্ত প্লাটফর্ম। রাজনৈতিক দলগুলো সমাবেশ করবে কিন্তু হরতাল অবরোধের মতো অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিরোধী কর্মসূচিতে যাবে না। সংসদে বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ বেশি করে দিতে হবে।

বসন্তের বৃক্ষের পাতা ঝরছে, ঝরুক। মন উদাস করা মধ্যদুপুরে প্রাণ আকুল করা কোকিলের ডাক শোনা যাচ্ছে, শোনা যাক। ঋতুরাজ বসন্তের চেয়েও এদেশের মানুষের কাছে গণতন্ত্র অধিক প্রিয় ও উত্তম। মানুষের মন কোকিলের চেয়েও প্রাণ আকুল করে ডাকছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানুষের নিরাপদ ও উন্নত জীবনের গ্যারান্টির জন্য। আমাদের দেশ রক্তগঙ্গায় অর্জিত। আমাদের গণতন্ত্র শত শত শহীদের আত্মদানে অর্জিত। রক্তে কেনা দেশ, রক্তে কেনা গণতন্ত্র; পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশের গৌরবের মহিমাকে উজ্জ্বল করেছে।

আগামী নির্বাচন জাতীয় জীবনে অধিক মাত্রায় গুরুত্ব বহন করছে এই কারণে যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে, নির্বাচনী ঐতিহ্যকে, সব আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারা বিবেচনা করলে কার্যত আমরা একটি রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের মধ্যদিয়ে সময়কে অতিক্রম করছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার গৌরবের আন্দোলন সংগ্রামের, উত্থান-পতনের ৩৫ বছরের সংগ্রামমুখর রাজনীতিতে পুলসিরাতের রাস্তা অতিক্রম করে এসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজের ক্যারিশমায়, প্রজ্ঞায় নেতৃত্বকে সুসংহতই করেননি; উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করেছেন।

বিশ্ব পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশ যেমন তার অনুকূলে, তেমনি অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে সেক্যুলারিজমের তুরুপের তাস কিস্তিমাত করে তাকে অন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছে। তার সমালোচকরা তাকে একনায়ক বলুন আর যাই বলুন বিশ্বরাজনীতির প্রতাপশালী নেতৃত্বের পাশে যেমন নিজে জায়গা করে নিয়েছেন; তেমনি দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কেও উঠিয়েছেন।

নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন হাঁটছে মুজিবকন্যার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশে জায়গা নিতে। দেশের অর্থনৈতিক খাতে অনেক নৈরাজ্য ঘটে গেছে। ব্যাংকিং খাতে সীমাহীন লুটপাট হয়েছে। শেয়ারবাজারে লুটেরাদের বিচার হয়নি। তবুও শেয়ারবাজার ফের চাঙা হয়ে উঠছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে জুয়াড়িরা শেয়ারবাজারে খেলার চেষ্টা করছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন খারাপ কোম্পানির শেয়ারবাজারে আসা বন্ধ করতে পারছে না। এসব নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তবুও দল ও সরকারের মন্ত্রীরা, জোটের শরিকরা তাল মিলিয়ে চলতে পারুন আর নাই পারুন, একতরফা নির্বাচনে স্থানীয় সরকারগুলো দখলে নিলেও জনগণের হৃদয় জয় করতে পারুন আর নাই পারুন- অ্যারাবিয়ান ব্ল্যাক হর্সের মতোই শেখ হাসিনা ক্ষিপ্রগতিতে ছুটছেন।

জাতীয়ভাবে ক্ষমতার রাজনীতিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এখনো দৃশ্যমান নয়। শেখ হাসিনাই শেখ হাসিনার বিকল্প।

আগামী নির্বাচনের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলেও মানুষের প্রত্যাশা সংসদে একজন শক্তিশালী বিরোধী দলের নেতার সরব উপস্থিতি ঘটুক। বিএনপির বিভ্রান্ত রাজনীতির কারণে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যে প্রবল জনমত তৈরি হয়েছিল, তাতে ভাটা পড়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিরোধে ব্যর্থতা এবং পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালের লাগাতার হরতাল ও অবরোধের অকার্যকর কর্মসূচি দলটিকে দেউলিয়াত্বের চরমে নিয়ে যায়। রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার চড়া মূল্য দিতে গিয়ে সারা দেশের বিএনপি মামলার জালেই বন্দী হয়নি, সাংগঠনিকভাবেও হয়েছে দুর্বল।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনার সরকারকে ৫ জানুয়ারির মতো একটি অবিশ্বাস্য নির্বাচন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকাই শুধু নয়, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়েরও সুযোগ করে দিয়েছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রশ্নে, জামায়াত প্রশ্নে নিজেদের অবস্থা পরিষ্কার করতে না পারায় শাসকজোট খালেদা জিয়া ও তার বিএনপিকে বিভক্ত রাজনীতির সীমারেখায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শিবিরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শাসক জোটের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সামনে যে দুর্নীতি মামলা ঝুলছে, তাতে দণ্ডিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে ভোটের ময়দান থেকে তাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে সংসদে বিরোধী দলের জায়গাটিতেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিবিরের কাউকে নিয়ে আসতে হবে। রাজনীতির অন্দর মহলে এমন নানা কথা বইছে। কিন্তু বিএনপি আগামী নির্বাচনে যে অংশগ্রহণ করছে, সেটি প্রায় নিশ্চিত। বিএনপির নেতারাও বলছেন, সরকার যদিও চাইছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে, কিন্তু বাস্তবে সেটি সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই তারা নির্বাচনে আসবেন এবং গণরায় নিয়ে সরকার গঠন করবেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দণ্ডিত হলে আপিল বিভাগে মামলা ঝুলিয়ে রেখে নির্বাচনে লড়তে পারবেন। তবে সেটি নির্ভর করছে সরকার কি চায় তার ওপর।

আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিও প্রখর হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে। কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়ছে পর্দার অন্তরালে। এ নিয়ে সরকারি দলের নেতারা অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক না গলাতে সতর্ক করছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শুভাকাঙ্ক্ষীরাও বলছেন, আদালত কর্তৃক দণ্ডিত, লন্ডনে নির্বাসিত পুত্র তারেক রহমান দলের বা দেশের রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখবেন না, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আদর্শিক নয়; নির্বাচনী ঐক্য ছিল। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় সেই ঐক্য এখন আর নেই— এমন সব ঘোষণা দিয়ে সমমনা গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে নির্বাচনী জোট গঠন করে আগামী নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে।

এদিকে, সরকারি মহলে যারা মনে করেন খালেদা জিয়া নয়, জোটের সঙ্গে থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কেউ সংসদে বিরোধী দলের নেতা হবে, তারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে সবুজ সংকেত দিচ্ছেন। এরশাদ নিজেও জোট গঠনের কথা বলেছেন। রাজনীতির অন্দর মহলে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নানা স্রোত বইছে। মৃদুমন্দ ঢেউ উঠছে পর্দার আড়ালের রাজনীতিতে। ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক। কেউ কেউ শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিচ্ছেন বিএনপিকে অপ্রস্তুত রেখেই নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসা। সবকিছুই রাজনীতির অন্দরে আলাপ-আলোচনা, জল্পনা-কল্পনায় ঢালপালা মেলছে। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ তৈরি হয়নি। রাজনীতির অন্দরে ছোট দলের অনেক বড় নেতা এখনো ক্ষীণ আশা দেখছেন- আগামী নির্বাচন কীভাবে গ্রহণযোগ্য করা যায়। তাদের এক কথা, আর যাই হোক ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন নয়। রাজনৈতিক শক্তি ও সিভিল সোসাইটিকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের এক দফার আন্দোলনের সলাপরামর্শ বৈঠক রুম পর্যন্ত শুরু করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা শক্তির মনোভাব, ইচ্ছা তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিকে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শাসক জোটের অনেকে যদিও মনে করেন— বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদে এলে শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে রাজনীতিতে তিনিই থেকে যাবেন। তাই তাকে বাদ দিয়েই নির্বাচন জরুরি। কিন্তু এটাকে যারা গ্রহণ করছেন না, তারা মনে করেন— বিএনপিকে কোণঠাসা, দুর্বল করা সম্ভব হলেও শেষ করে দেওয়া সম্ভব নয়। বিএনপি এখনো একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তার শক্তির উৎস হতে পারে আওয়ামী লীগবিরোধী জনমত। কিন্তু নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে কার্যকর সংসদ গঠনের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই তার দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তারা মনে করেন— খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে বিএনপিকে ভেঙে নির্বাচন করার চিন্তা যদি কেউ করেন; তবে সেটি হবে দুঃস্বপ্ন। খালেদা জিয়াকে জেলে বা নির্বাচনের বাইরে রেখে ভোট হলে বিএনপি সেখানে অংশগ্রহণ করবে না। বিচ্ছিন্ন দুই-চারজন অংশ নিলেও তা হবে অর্থহীন। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন রক্ষার জন্যই হোক, রাজনৈতিক অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জের জন্যই হোক বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়। প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপিকে আসতে দিলেও তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে আসতে দেওয়া হবে কিনা?

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে ভোটের লড়াই যেমন উৎসবমুখর হবে না, প্রাণবন্ত হবে না, নিষ্প্রভ, আকর্ষণহীন হয়ে পড়বে; তেমনি আগামী দিনের সংসদও হবে একতরফা। যেখানে সংসদীয় রাজনীতির আলোর ছটা দেখা যাবে না।  রাজনীতির গতি-প্রকৃতির ওপর এখনো শেষ কথা বলার সময় আসেনি। পর্যবেক্ষণ দৃষ্টি রাখার সময় চলছে। আর নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জনে কতটুকু সফল হবে সেটি বলারও সময় এখনো আসেনি।  তাদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা। নিরপেক্ষ, শক্তিশালী অবস্থান দেখাতে পারলে প্রশংসিত হবেন না হয় অতীতের অনেকের মতো নিন্দিত হবেন।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
তাইওয়ানের কাছে জাপানের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন পরিকল্পনা নিয়ে যা বলল চীন
তাইওয়ানের কাছে জাপানের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন পরিকল্পনা নিয়ে যা বলল চীন

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

চলতি বছরে নভেম্বরেই এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে বেশি মৃত্যু
চলতি বছরে নভেম্বরেই এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে বেশি মৃত্যু

৯ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বরিশাল-ভোলা সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
বরিশাল-ভোলা সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোক্তা অধিদফতরের অভিযানে জরিমানা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোক্তা অধিদফতরের অভিযানে জরিমানা

১৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

গাইবান্ধায় রেলের জমি দখলমুক্ত করতে অভিযান
গাইবান্ধায় রেলের জমি দখলমুক্ত করতে অভিযান

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শীতে চুল পড়া রোধে যা করবেন
শীতে চুল পড়া রোধে যা করবেন

১৬ মিনিট আগে | জীবন ধারা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৬৬৫ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৬৬৫ মামলা

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থানে বেড়েছে লেনদেন
পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থানে বেড়েছে লেনদেন

১৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না কাল
সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না কাল

২৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

কুয়ালালামপুরে অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ১২৪ অভিবাসী
কুয়ালালামপুরে অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ১২৪ অভিবাসী

২৬ মিনিট আগে | পরবাস

সবুজে মোড়া বরজ, তবুও হতাশা কাটছে না পান চাষিদের
সবুজে মোড়া বরজ, তবুও হতাশা কাটছে না পান চাষিদের

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হত্যা মামলায় সাবেক এমপি ফজলে করিম ৩ দিনের রিমান্ডে
হত্যা মামলায় সাবেক এমপি ফজলে করিম ৩ দিনের রিমান্ডে

২৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনছে সরকার
সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনছে সরকার

২৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মির্জা ফখরুলকে নিয়ে মেয়ের আবেগঘন পোস্ট
মির্জা ফখরুলকে নিয়ে মেয়ের আবেগঘন পোস্ট

৩২ মিনিট আগে | ফেসবুক কর্নার

মান্দায় পাচারকালে ৬০ বস্তা সার জব্দ
মান্দায় পাচারকালে ৬০ বস্তা সার জব্দ

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু
গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতি সভা
বগুড়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতি সভা

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হাকিমপুরে বিএনপির মোটরসাইকেল শোডাউন
হাকিমপুরে বিএনপির মোটরসাইকেল শোডাউন

৪২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা
গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে উন্নত বীজ বিতরণ
মুন্সীগঞ্জে উন্নত বীজ বিতরণ

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কৃষক দলের সভাপতি অব্যাহতি
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কৃষক দলের সভাপতি অব্যাহতি

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফের কর্মবিরতির ডাক স্বাস্থ্য সহকারীদের
ফের কর্মবিরতির ডাক স্বাস্থ্য সহকারীদের

৪৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

শ্রম আইন সংশোধনকে স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র
শ্রম আইন সংশোধনকে স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

শত্রু নয়, দায়িত্বশীল বিরোধী দল দরকার : গয়েশ্বর
শত্রু নয়, দায়িত্বশীল বিরোধী দল দরকার : গয়েশ্বর

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

গোপালগঞ্জে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ
গোপালগঞ্জে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাবনায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাইনবোর্ডে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
পাবনায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাইনবোর্ডে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় বিয়ার-মদসহ আটক ২
মোংলায় বিয়ার-মদসহ আটক ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ শুরু বুধবার, পদক পাবেন ১৫ খামারি
প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ শুরু বুধবার, পদক পাবেন ১৫ খামারি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমান এফ রহমান ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ১২ একর জমি জব্দ
সালমান এফ রহমান ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ১২ একর জমি জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি
অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

১৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প
সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলেই খুশি হবো : সোহেল রানা
আমার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলেই খুশি হবো : সোহেল রানা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে মারা গেলেন চিকিৎসক
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে মারা গেলেন চিকিৎসক

পেছনের পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ