শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

খালেদা জিয়াকে ভোটের লড়াইয়ে আসতে দেওয়া হবে?

পীর হাবিবুর রহমান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
খালেদা জিয়াকে ভোটের লড়াইয়ে আসতে দেওয়া হবে?

আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শীত না নামলেও বসন্তের আগমনী গান, কোকিলের প্রাণ আকুল করা ডাক প্রকৃতিতে বিরহ নিয়ে এলেও ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ গ্রহণ শেষে দায়িত্বও গ্রহণ করেছে। শপথ গ্রহণের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সব দলের আস্থা চাই। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলকে আমরা আস্থায় আনতে পারব, এই আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে।’  প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য সুন্দর, সহজ, সাবলীল ও প্রাণছোঁয়া। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতায় আস্থা অর্জন করতে কতটা পারবেন সেটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি মৃদুমন্দ বাতাসে দোল খাচ্ছে কিন্তু নির্দিষ্ট করে এখনো দৃশ্যমান হয়নি। সব দলের জন্য ভোটযুদ্ধে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসনসহ সর্বত্র নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার নির্বাচন কমিশনের জন্য কতটা বড় চ্যালেঞ্জ সেটি সিইসিকে খতিয়ে দেখতে হবে।

এদেশে বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যেসব সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল সেখানেও পরাজিত পক্ষ নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়তে ভোলেনি। সবচেয়ে বড় বিষয়, একটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কতটা পক্ষপাতমুক্ত, কতটা প্রভাবমুক্ত থেকে, মহলবিশেষের চোখ রাঙানো উপেক্ষা করে শক্তিশালী মেরুদণ্ডের ওপর একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারল কিনা সেই বিচারের ক্ষমতা দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং পর্যবেক্ষকদের রয়েছে। দেশের মানুষ চায় আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হোক। রাজপথ থেকে সহিংস সংঘাতের রাজনীতি নির্বাসিত হয়েছে। ক্ষমতায় যারাই আসুন, সংসদে জবাবদিহি করুন। সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের উপস্থিতি থাকুক। জাতীয় ইস্যুতে প্রাণবন্ত বিতর্ক হোক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত মহান সংসদ শাসকদলের বন্দনা আর সরকারবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে বিষোদগারের একঘেয়ে সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসুক। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেমন অব্যাহত থাকুক তেমনি সংসদ হয়ে উঠুক সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।

সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় বাস করব একটি শক্তিশালী-কার্যকর, প্রাণবন্ত, তুমুল বিতর্কের ঝড় তোলা সংসদ পাব না; তা হতে পারে না। অকার্যকর বা প্রহসনের সংসদ সংসদীয় শাসনব্যবস্থার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণই, যা গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেয়। গণতন্ত্র হয়ে পড়ে বিকলাঙ্গ, শাসককে করে স্বেচ্ছাচারী। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ হয়, জনগণ হয়ে পড়ে অসহায়। গৃহপালিত বিরোধী দল বা ঘরজামাই বিরোধী দলের উদাহরণ আমাদের সংসদীয় রাজনীতিতে সুখকর নয়। ’৮৮ সালে যেমন দেখা গেছে তেমনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে গঠিত চলমান সংসদে তা দেখা গেছে। যেখানে কার্যত সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও দুরবিন দিয়ে বিরোধী দলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।

সেনাশাসনকবলিত বাংলাদেশে প্রহসনের ভোট ডাকাতির নির্বাচনেও ৭৯ ও ৮৬ সালের সংসদ ছিল প্রাণবন্ত। শাসনব্যবস্থা যদিও ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা। সেনাশাসন-উত্তর গণতন্ত্রের নবযাত্রায় ৯১ সালের সংসদে আমরা সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করেছিলাম। সেই ৯১ ও ৯৬ সালের সংসদ বিরোধী দলের বর্জনের মুখে পড়লেও কার্যকর, প্রাণবন্ত ও শক্তিশালী ছিল। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থাও পেয়েছিলাম। আমাদের সব অর্জনই ছিল আন্দোলন, সংগ্রাম ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের আত্মদান বা রক্তের বিনিময়ে। কিন্তু আমরা আমাদের রক্তে অর্জিত অর্জনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। ব্যক্তির নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও ক্ষমতায় টিকে থাকার লোভ, গণতন্ত্রের সহনশীল পথ উপেক্ষা করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে উত্খাত করে দেওয়ার মতো শয়তানি প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের আস্ফাালন, একুশের গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ যত আক্রমণ, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, বোমা সন্ত্রাস, অন্ধকার শক্তির সঙ্গে আঁতাত আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আলোর পথে অগ্রসর হতে দেয়নি। যারা খেলেছেন, এর চড়া মাসুল তারাও দিচ্ছেন। লোকসান গুনেছে গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ ও দেশ; দুর্বল হয়েছে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা।

আগামী নির্বাচন সেই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। যেখান থেকে শক্তিশালী সরকার ও শক্তিশালী বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সংসদীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় শাসনব্যবস্থাকে নতুন করে মেরামত করা ও নতুন করে পথ চলার প্রয়াস চলবে। আমাদের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া প্রতিহিংসার ছোবলে তৈরি হওয়া অবিশ্বাসের দগদগে ক্ষতস্থান শুকিয়ে নেওয়ার স্বার্থে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে একটি রাজনৈতিক চুক্তিনামা তৈরি হওয়া উচিত। যেখানে সংসদকে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণই নয়; সংসদ বর্জন নিষিদ্ধ করে দিতে হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়াক আউট হবে কিন্তু সংসদ বর্জন চলবে না। সংসদ হবে সব বিতর্ক ও আলোচনার উন্মুক্ত প্লাটফর্ম। রাজনৈতিক দলগুলো সমাবেশ করবে কিন্তু হরতাল অবরোধের মতো অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিরোধী কর্মসূচিতে যাবে না। সংসদে বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ বেশি করে দিতে হবে।

বসন্তের বৃক্ষের পাতা ঝরছে, ঝরুক। মন উদাস করা মধ্যদুপুরে প্রাণ আকুল করা কোকিলের ডাক শোনা যাচ্ছে, শোনা যাক। ঋতুরাজ বসন্তের চেয়েও এদেশের মানুষের কাছে গণতন্ত্র অধিক প্রিয় ও উত্তম। মানুষের মন কোকিলের চেয়েও প্রাণ আকুল করে ডাকছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানুষের নিরাপদ ও উন্নত জীবনের গ্যারান্টির জন্য। আমাদের দেশ রক্তগঙ্গায় অর্জিত। আমাদের গণতন্ত্র শত শত শহীদের আত্মদানে অর্জিত। রক্তে কেনা দেশ, রক্তে কেনা গণতন্ত্র; পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশের গৌরবের মহিমাকে উজ্জ্বল করেছে।

আগামী নির্বাচন জাতীয় জীবনে অধিক মাত্রায় গুরুত্ব বহন করছে এই কারণে যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে, নির্বাচনী ঐতিহ্যকে, সব আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারা বিবেচনা করলে কার্যত আমরা একটি রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের মধ্যদিয়ে সময়কে অতিক্রম করছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার গৌরবের আন্দোলন সংগ্রামের, উত্থান-পতনের ৩৫ বছরের সংগ্রামমুখর রাজনীতিতে পুলসিরাতের রাস্তা অতিক্রম করে এসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজের ক্যারিশমায়, প্রজ্ঞায় নেতৃত্বকে সুসংহতই করেননি; উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করেছেন।

বিশ্ব পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশ যেমন তার অনুকূলে, তেমনি অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে সেক্যুলারিজমের তুরুপের তাস কিস্তিমাত করে তাকে অন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছে। তার সমালোচকরা তাকে একনায়ক বলুন আর যাই বলুন বিশ্বরাজনীতির প্রতাপশালী নেতৃত্বের পাশে যেমন নিজে জায়গা করে নিয়েছেন; তেমনি দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কেও উঠিয়েছেন।

নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন হাঁটছে মুজিবকন্যার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশে জায়গা নিতে। দেশের অর্থনৈতিক খাতে অনেক নৈরাজ্য ঘটে গেছে। ব্যাংকিং খাতে সীমাহীন লুটপাট হয়েছে। শেয়ারবাজারে লুটেরাদের বিচার হয়নি। তবুও শেয়ারবাজার ফের চাঙা হয়ে উঠছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে জুয়াড়িরা শেয়ারবাজারে খেলার চেষ্টা করছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন খারাপ কোম্পানির শেয়ারবাজারে আসা বন্ধ করতে পারছে না। এসব নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তবুও দল ও সরকারের মন্ত্রীরা, জোটের শরিকরা তাল মিলিয়ে চলতে পারুন আর নাই পারুন, একতরফা নির্বাচনে স্থানীয় সরকারগুলো দখলে নিলেও জনগণের হৃদয় জয় করতে পারুন আর নাই পারুন- অ্যারাবিয়ান ব্ল্যাক হর্সের মতোই শেখ হাসিনা ক্ষিপ্রগতিতে ছুটছেন।

জাতীয়ভাবে ক্ষমতার রাজনীতিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এখনো দৃশ্যমান নয়। শেখ হাসিনাই শেখ হাসিনার বিকল্প।

আগামী নির্বাচনের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলেও মানুষের প্রত্যাশা সংসদে একজন শক্তিশালী বিরোধী দলের নেতার সরব উপস্থিতি ঘটুক। বিএনপির বিভ্রান্ত রাজনীতির কারণে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যে প্রবল জনমত তৈরি হয়েছিল, তাতে ভাটা পড়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিরোধে ব্যর্থতা এবং পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালের লাগাতার হরতাল ও অবরোধের অকার্যকর কর্মসূচি দলটিকে দেউলিয়াত্বের চরমে নিয়ে যায়। রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার চড়া মূল্য দিতে গিয়ে সারা দেশের বিএনপি মামলার জালেই বন্দী হয়নি, সাংগঠনিকভাবেও হয়েছে দুর্বল।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনার সরকারকে ৫ জানুয়ারির মতো একটি অবিশ্বাস্য নির্বাচন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকাই শুধু নয়, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়েরও সুযোগ করে দিয়েছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রশ্নে, জামায়াত প্রশ্নে নিজেদের অবস্থা পরিষ্কার করতে না পারায় শাসকজোট খালেদা জিয়া ও তার বিএনপিকে বিভক্ত রাজনীতির সীমারেখায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শিবিরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শাসক জোটের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সামনে যে দুর্নীতি মামলা ঝুলছে, তাতে দণ্ডিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে ভোটের ময়দান থেকে তাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে সংসদে বিরোধী দলের জায়গাটিতেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিবিরের কাউকে নিয়ে আসতে হবে। রাজনীতির অন্দর মহলে এমন নানা কথা বইছে। কিন্তু বিএনপি আগামী নির্বাচনে যে অংশগ্রহণ করছে, সেটি প্রায় নিশ্চিত। বিএনপির নেতারাও বলছেন, সরকার যদিও চাইছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে, কিন্তু বাস্তবে সেটি সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই তারা নির্বাচনে আসবেন এবং গণরায় নিয়ে সরকার গঠন করবেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দণ্ডিত হলে আপিল বিভাগে মামলা ঝুলিয়ে রেখে নির্বাচনে লড়তে পারবেন। তবে সেটি নির্ভর করছে সরকার কি চায় তার ওপর।

আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিও প্রখর হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে। কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়ছে পর্দার অন্তরালে। এ নিয়ে সরকারি দলের নেতারা অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক না গলাতে সতর্ক করছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শুভাকাঙ্ক্ষীরাও বলছেন, আদালত কর্তৃক দণ্ডিত, লন্ডনে নির্বাসিত পুত্র তারেক রহমান দলের বা দেশের রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখবেন না, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আদর্শিক নয়; নির্বাচনী ঐক্য ছিল। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় সেই ঐক্য এখন আর নেই— এমন সব ঘোষণা দিয়ে সমমনা গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে নির্বাচনী জোট গঠন করে আগামী নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে।

এদিকে, সরকারি মহলে যারা মনে করেন খালেদা জিয়া নয়, জোটের সঙ্গে থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কেউ সংসদে বিরোধী দলের নেতা হবে, তারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে সবুজ সংকেত দিচ্ছেন। এরশাদ নিজেও জোট গঠনের কথা বলেছেন। রাজনীতির অন্দর মহলে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নানা স্রোত বইছে। মৃদুমন্দ ঢেউ উঠছে পর্দার আড়ালের রাজনীতিতে। ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক। কেউ কেউ শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিচ্ছেন বিএনপিকে অপ্রস্তুত রেখেই নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসা। সবকিছুই রাজনীতির অন্দরে আলাপ-আলোচনা, জল্পনা-কল্পনায় ঢালপালা মেলছে। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ তৈরি হয়নি। রাজনীতির অন্দরে ছোট দলের অনেক বড় নেতা এখনো ক্ষীণ আশা দেখছেন- আগামী নির্বাচন কীভাবে গ্রহণযোগ্য করা যায়। তাদের এক কথা, আর যাই হোক ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন নয়। রাজনৈতিক শক্তি ও সিভিল সোসাইটিকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের এক দফার আন্দোলনের সলাপরামর্শ বৈঠক রুম পর্যন্ত শুরু করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা শক্তির মনোভাব, ইচ্ছা তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিকে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শাসক জোটের অনেকে যদিও মনে করেন— বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদে এলে শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে রাজনীতিতে তিনিই থেকে যাবেন। তাই তাকে বাদ দিয়েই নির্বাচন জরুরি। কিন্তু এটাকে যারা গ্রহণ করছেন না, তারা মনে করেন— বিএনপিকে কোণঠাসা, দুর্বল করা সম্ভব হলেও শেষ করে দেওয়া সম্ভব নয়। বিএনপি এখনো একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তার শক্তির উৎস হতে পারে আওয়ামী লীগবিরোধী জনমত। কিন্তু নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে কার্যকর সংসদ গঠনের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই তার দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তারা মনে করেন— খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে বিএনপিকে ভেঙে নির্বাচন করার চিন্তা যদি কেউ করেন; তবে সেটি হবে দুঃস্বপ্ন। খালেদা জিয়াকে জেলে বা নির্বাচনের বাইরে রেখে ভোট হলে বিএনপি সেখানে অংশগ্রহণ করবে না। বিচ্ছিন্ন দুই-চারজন অংশ নিলেও তা হবে অর্থহীন। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন রক্ষার জন্যই হোক, রাজনৈতিক অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জের জন্যই হোক বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়। প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপিকে আসতে দিলেও তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে আসতে দেওয়া হবে কিনা?

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে ভোটের লড়াই যেমন উৎসবমুখর হবে না, প্রাণবন্ত হবে না, নিষ্প্রভ, আকর্ষণহীন হয়ে পড়বে; তেমনি আগামী দিনের সংসদও হবে একতরফা। যেখানে সংসদীয় রাজনীতির আলোর ছটা দেখা যাবে না।  রাজনীতির গতি-প্রকৃতির ওপর এখনো শেষ কথা বলার সময় আসেনি। পর্যবেক্ষণ দৃষ্টি রাখার সময় চলছে। আর নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জনে কতটুকু সফল হবে সেটি বলারও সময় এখনো আসেনি।  তাদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা। নিরপেক্ষ, শক্তিশালী অবস্থান দেখাতে পারলে প্রশংসিত হবেন না হয় অতীতের অনেকের মতো নিন্দিত হবেন।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় ইসলাম
সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় ইসলাম
গ্যাস অনুসন্ধান
গ্যাস অনুসন্ধান
শিল্পে স্থবিরতা
শিল্পে স্থবিরতা
প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন
প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা
সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা
বিছনাকান্দির দুঃখ
বিছনাকান্দির দুঃখ
গণপরিবহনে নৈরাজ্য
গণপরিবহনে নৈরাজ্য
বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন
বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড স্মৃতি ও শিক্ষা
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড স্মৃতি ও শিক্ষা
এনজিও-সহায়ক নীতিমালা দরকার
এনজিও-সহায়ক নীতিমালা দরকার
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
সর্বশেষ খবর
আরও অর্ধশত অবৈধ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র
আরও অর্ধশত অবৈধ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

৪২ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতি ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ: ইসি সচিব
নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতি ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ: ইসি সচিব

৫৩ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

পিরোজপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
পিরোজপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে নেই কামিন্স, নেতৃত্ব দেবেন স্মিথ
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে নেই কামিন্স, নেতৃত্ব দেবেন স্মিথ

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

এক লাখ দক্ষকর্মী নিয়োগ, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
এক লাখ দক্ষকর্মী নিয়োগ, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

এশিয়ান গেমসের স্বর্ণজয়ী খেলোয়াড়ের মরদেহ উদ্ধার
এশিয়ান গেমসের স্বর্ণজয়ী খেলোয়াড়ের মরদেহ উদ্ধার

১৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ক্যারিবীয় সিরিজ দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করছে টাইগাররা
ক্যারিবীয় সিরিজ দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করছে টাইগাররা

২১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮৩
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮৩

২৩ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

জুলাই বিপ্লবের ভুয়া মামলা থেকে ৩৭২ জনের অব্যাহতি
জুলাই বিপ্লবের ভুয়া মামলা থেকে ৩৭২ জনের অব্যাহতি

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বোয়ালমারীতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
বোয়ালমারীতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এমআরআই পরীক্ষা করিয়েছেন ট্রাম্প
এমআরআই পরীক্ষা করিয়েছেন ট্রাম্প

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে নোয়াখালীতে বিএনপির উঠান বৈঠক
নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে নোয়াখালীতে বিএনপির উঠান বৈঠক

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হেঁটে ১৫০ কিমি পরিভ্রমণে গোবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থীসহ চারজন
হেঁটে ১৫০ কিমি পরিভ্রমণে গোবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থীসহ চারজন

৩৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

এনসিএল চলাকালে স্ট্রোকে বরিশালের ফিজিওর মৃত্যু
এনসিএল চলাকালে স্ট্রোকে বরিশালের ফিজিওর মৃত্যু

৩৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাজ্যে গবেষক ভিসার খরচ আন্তর্জাতিক গড়ের তুলনায় ২২ গুণ বেশি
যুক্তরাজ্যে গবেষক ভিসার খরচ আন্তর্জাতিক গড়ের তুলনায় ২২ গুণ বেশি

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নওগাঁয় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
নওগাঁয় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২০ বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জকসু সংবিধি পাস
২০ বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জকসু সংবিধি পাস

৩৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

গাইবান্ধায় কৃষক মাঠ দিবস
গাইবান্ধায় কৃষক মাঠ দিবস

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষ উন্নয়নের প্রতীক : কাদের গনি চৌধুরী
ধানের শীষ উন্নয়নের প্রতীক : কাদের গনি চৌধুরী

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

নিজের সিনেমা বেশিবার দেখি না: কোয়েল
নিজের সিনেমা বেশিবার দেখি না: কোয়েল

৪২ মিনিট আগে | শোবিজ

দুই বছর পর আবারও জাতীয় দলে তানভীর
দুই বছর পর আবারও জাতীয় দলে তানভীর

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

প্রেসেনজা ইন্টারন্যাশনাল প্রেসের ঢাকা ব্যুরো অফিস উদ্বোধন
প্রেসেনজা ইন্টারন্যাশনাল প্রেসের ঢাকা ব্যুরো অফিস উদ্বোধন

৫০ মিনিট আগে | নগর জীবন

কুমিল্লায় সড়কে বিশৃঙ্খলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
কুমিল্লায় সড়কে বিশৃঙ্খলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
মাদারীপুরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষকে বিজয়ী করতে মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে যুবদলকে: খায়ের ভূঁইয়া
ধানের শীষকে বিজয়ী করতে মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে যুবদলকে: খায়ের ভূঁইয়া

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ দালাল গ্রেফতার
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ দালাল গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইবিতে শুভসংঘের আয়োজনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক আলোচনা
ইবিতে শুভসংঘের আয়োজনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক আলোচনা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বগুড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
বগুড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য ফিডিং কার্যক্রম নভেম্বরে শুরু
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য ফিডিং কার্যক্রম নভেম্বরে শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
স্বর্ণের দাম আরও কমল
স্বর্ণের দাম আরও কমল

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সীমাহীন পাল্লার পরমাণু মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি রাশিয়ার
সীমাহীন পাল্লার পরমাণু মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি রাশিয়ার

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি বিয়ে করেছেন জায়েদ খান?
সত্যিই কি বিয়ে করেছেন জায়েদ খান?

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ে প্রস্তুতি জোরদার: তারেক রহমানের অফিস কার্যক্রমের জন্য সাজছে পল্টন অফিস
বিএনপি কার্যালয়ে প্রস্তুতি জোরদার: তারেক রহমানের অফিস কার্যক্রমের জন্য সাজছে পল্টন অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার জামিন নামঞ্জুর
ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার জামিন নামঞ্জুর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তিনদিন পরই বাতিল হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম
তিনদিন পরই বাতিল হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টরন্টো নয়, কমান্ডার সোহায়েল কারাগারে বন্দি: কারা অধিদপ্তর
টরন্টো নয়, কমান্ডার সোহায়েল কারাগারে বন্দি: কারা অধিদপ্তর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজার শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছে কোন দেশের সেনারা?
গাজার শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছে কোন দেশের সেনারা?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থায়’ পরিণত, কখন-কোথায় আঘাত হানতে পারে
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থায়’ পরিণত, কখন-কোথায় আঘাত হানতে পারে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালামের দাফন সম্পন্ন
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালামের দাফন সম্পন্ন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন
ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার
ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় পার্টির মতো ‘পোষা’ দল হতে আসেনি এনসিপি: সারজিস
জাতীয় পার্টির মতো ‘পোষা’ দল হতে আসেনি এনসিপি: সারজিস

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কার দুই বিমানবালাকে মারধরের অভিযোগে সৌদি যুবক গ্রেফতার
শ্রীলঙ্কার দুই বিমানবালাকে মারধরের অভিযোগে সৌদি যুবক গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩০ মিনিটের ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
৩০ মিনিটের ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর নয় গোপনে, প্রকাশ্যেই প্রেম করে বেড়াচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি
আর নয় গোপনে, প্রকাশ্যেই প্রেম করে বেড়াচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে সাত দিনে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে সাত দিনে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী-সেনাপ্রধানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ট্রাম্প
আবারও পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী-সেনাপ্রধানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিউশনি-বাড়ির সিঁড়িতেই জবির নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা-শ্লীলতাহানি!
টিউশনি-বাড়ির সিঁড়িতেই জবির নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা-শ্লীলতাহানি!

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মৃত্যুর আগে পরিবারের সঙ্গে শেষ কী কথা হয়েছিল ফার্মগেটে নিহত যুবকের
মৃত্যুর আগে পরিবারের সঙ্গে শেষ কী কথা হয়েছিল ফার্মগেটে নিহত যুবকের

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হঠাৎ আকাশ শক্তি বাড়াতে তুরস্কের তোড়জোড়
হঠাৎ আকাশ শক্তি বাড়াতে তুরস্কের তোড়জোড়

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলবেনিয়ার এআই মন্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা, জন্ম দেবে ৮৩টি সন্তান!
আলবেনিয়ার এআই মন্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা, জন্ম দেবে ৮৩টি সন্তান!

১৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মেট্রোরেল পুরোদমে চলাচল শুরু
মেট্রোরেল পুরোদমে চলাচল শুরু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মঙ্গলবার থেকে হতে পারে টানা বৃষ্টি
মঙ্গলবার থেকে হতে পারে টানা বৃষ্টি

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওপেনিংয়ে আগুন, চার দিনেই ঠান্ডা ‘থামা’
ওপেনিংয়ে আগুন, চার দিনেই ঠান্ডা ‘থামা’

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নিজের নামে কয়টা সিম আছে জানেন? এখনই চেক করুন!
নিজের নামে কয়টা সিম আছে জানেন? এখনই চেক করুন!

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ইস্তাম্বুলে আলোচনার মধ্যেই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন সংঘর্ষ, নিহত ৩০
ইস্তাম্বুলে আলোচনার মধ্যেই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন সংঘর্ষ, নিহত ৩০

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই : ইসি সচিব
বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই : ইসি সচিব

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের আগে চ্যালেঞ্জিং ক্রিকেট খেলতে চান টাইগার অধিনায়ক
বিশ্বকাপের আগে চ্যালেঞ্জিং ক্রিকেট খেলতে চান টাইগার অধিনায়ক

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘টার্মিনালের মালিকানা বিদেশীদের কাছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই’
‘টার্মিনালের মালিকানা বিদেশীদের কাছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই’

১৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রিন্ট সর্বাধিক
জীবন-মৃত্যুর জুয়ায় বাংলাদেশিরা
জীবন-মৃত্যুর জুয়ায় বাংলাদেশিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন আমার বাচ্চাদের কী হবে
এখন আমার বাচ্চাদের কী হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তুত বাড়ি আসছে গাড়ি
প্রস্তুত বাড়ি আসছে গাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা
সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা

সম্পাদকীয়

ওষুধ কাজ করছে না শরীরে
ওষুধ কাজ করছে না শরীরে

পেছনের পৃষ্ঠা

তারকাদের রহস্যজনক মৃত্যু
তারকাদের রহস্যজনক মৃত্যু

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সাধু বেশে শয়তান
সাধু বেশে শয়তান

প্রথম পৃষ্ঠা

মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির চার নেতা, একক প্রচারে জামায়াত
মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির চার নেতা, একক প্রচারে জামায়াত

নগর জীবন

‘সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ফোরাম জাতীয় সংসদ’
‘সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ফোরাম জাতীয় সংসদ’

নগর জীবন

দেশ জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধের বিকল্প নেই
দেশ জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধের বিকল্প নেই

নগর জীবন

ভোটে অংশ নিতে পারবে না জাপা
ভোটে অংশ নিতে পারবে না জাপা

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক এমপি নূর মোহাম্মদের মেয়ের সম্পদ জব্দের নির্দেশ
সাবেক এমপি নূর মোহাম্মদের মেয়ের সম্পদ জব্দের নির্দেশ

নগর জীবন

দেশ গঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে
দেশ গঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে স্থবিরতা
শিল্পে স্থবিরতা

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য রোনালদোর ৯৫০!
অপ্রতিরোধ্য রোনালদোর ৯৫০!

মাঠে ময়দানে

হাশেমের গানে পুতুলের অ্যালবাম
হাশেমের গানে পুতুলের অ্যালবাম

শোবিজ

তরুণী গৃহবধূকে ধর্ষণ, চারজনের ফাঁসি
তরুণী গৃহবধূকে ধর্ষণ, চারজনের ফাঁসি

নগর জীবন

হাতি প্রতীকে নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি
হাতি প্রতীকে নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি

পেছনের পৃষ্ঠা

সার্ক শীর্ষ মানবাধিকার সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত
সার্ক শীর্ষ মানবাধিকার সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

নগর জীবন

রংপুরে বাজুস নেতাদের সঙ্গে পুলিশের নিরাপত্তাবিষয়ক সভা
রংপুরে বাজুস নেতাদের সঙ্গে পুলিশের নিরাপত্তাবিষয়ক সভা

নগর জীবন

৩৬ বছরেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ
৩৬ বছরেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ

নগর জীবন

মেধা আর শক্তি দিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করার আপ্রাণ চেষ্টা
মেধা আর শক্তি দিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করার আপ্রাণ চেষ্টা

নগর জীবন

প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন
প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন

সম্পাদকীয়

পুলিশের ১১ কর্মকর্তাকে বদলি
পুলিশের ১১ কর্মকর্তাকে বদলি

নগর জীবন

গ্যাস অনুসন্ধান
গ্যাস অনুসন্ধান

সম্পাদকীয়

সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে হবে
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে হবে

নগর জীবন

নৈশপ্রহরীর রহস্যজনক মৃত্যু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
নৈশপ্রহরীর রহস্যজনক মৃত্যু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

বেহাল সড়কে কষ্টে চলাচল
বেহাল সড়কে কষ্টে চলাচল

দেশগ্রাম

দুই সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
দুই সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

শনিবারের সকাল