শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

অর্থ পাচার ও লুটপাটের বরপুত্র কারা?

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
অর্থ পাচার ও লুটপাটের বরপুত্র কারা?

দেশের অর্থ বিদেশে কারা পাচার করছে? দেশের অর্থনীতির লুটপাটের বরপুত্র কারা? দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা কেন নাজুক? ব্যাংকের টাকা লুট করেছে কারা? কারা শেয়ারবাজারকে লুট করে নিয়ে কবরে শুইয়ে দিয়েছে? ঋণখেলাপিরা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে সহজলভ্য  কিস্তিতে ঋণ শোধ করে ব্যবসা করার সুযোগ পেলেও দেশের প্রকৃত ব্যবসায়ী যারা নিয়মিত ঋণের কিস্তি ও ঋণ শোধ করে চড়া সুদে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা ও কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলে রেখে প্রবৃদ্ধি অর্জনে শক্ত হাত হিসেবে ভূমিকা রাখছে তাদের জন্য কী সুবিধা দেওয়া হচ্ছে? বিগত নয়-দশ বছরে যে কটি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সেসব ব্যাংকের দু-একটি ছাড়া বাকিগুলোর অবস্থা যেখানে ভালো নয়, তারল্য সংকট বলে ব্যাংকিং খাতের হতাশার চিত্র দৃশ্যমান সেখানে কেন আরও নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে? এ রকম অসংখ্য প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে। ফরিদপুরের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যদি পর্দার দাম ৩৭ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায় তখন মানুষ এটি হীরকখচিত পর্দা মনে করে না, মনে করে চলমান হরিলুটের আরেক চিত্রপট। স্বাস্থ্য অধিদফতর যেখানে ৫ হাজার ৫০০ টাকার বই ৮৫ হাজার ৫০০ টাকায় কেনে তখন রূপপুরের বালিশ কেলেঙ্কারির ভয়াবহতাকে হারই মানায় না মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাঁর অগণিত লাখো কোটি নিঃস্বার্থ ভক্তের হৃদয় ক্রন্দন করে ওঠে। এই লুটেরা চক্র আসলে কারা? মানুষের মুখে মুখে একদল লুটেরার নাম উচ্চারিত হচ্ছে একে একে। তৃণমূল থেকে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অসহায় জনগণের চোখে দুর্নীতিবাজদের উল্লাসনৃত্য চোখে পড়লেও, তাদের নাম উচ্চারিত হলেও রাষ্ট্র কেন তাদের খবর জানে না? এসব প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসে। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সরকার, জনপ্রতিনিধি, এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশন একেকটি পুঁটিমাছ ধরলেও এখন পর্যন্ত আট-দশটি রুই-কাতলা ধরতে পারেনি। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের প্রতি মানুষের আশার আলো ডুবে যায়নি। আস্থা-বিশ্বাসের জায়গা নষ্ট হয়ে যায়নি। দুদক অফিসে দু-চারটা অসৎ কর্মকর্তা দুর্নীতির বাজিকরদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধরা পড়লেও অনেক সৎ দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন। তবু কেন দুদক বড় ডাকাত ধরতে পারে না, সেই প্রশ্ন মানুষের মনজুড়ে প্রবল ঝাঁকুনি দিচ্ছে।

আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছিলেন একজন মহান জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক গণমুখী নেতা হিসেবে। সেদিনও তিনি দাম্ভিক উন্নাসিক লুটেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিটি বক্তৃতায় সততার পথে ফিরে আসার জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন। ক্ষমতার দম্ভে উন্নাসিক সেই চক্র তাতে সাড়া দেয়নি। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসঘাতক একদল রাজনৈতিক ও সামরিক খুনিচক্র পরিবার-পরিজনসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যাই করেনি বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক জায়গা থেকে বিচ্যুত করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর চরম জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আওয়ামী লীগই নেতৃত্বশূন্য হয়নি সেদিন গোটা জাতি নেতৃত্বশূন্য হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর তার শাসনামলে যত অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তা মিথ্যায় পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে কোথাও কোনো অর্থসম্পদ পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের কারামুক্ত ও নির্যাতিত নেতাদের পরিবার-পরিজনকে খেয়ে না খেয়ে মহান নেতার আদর্শ নিয়ে নতুন যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছিল। লুটেরা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তখন পরবর্তী শাসকদের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেদিন দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা নির্বাসিত কষ্টের জীবনের অবসান ঘটিয়ে দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নির্বাচিত হয়ে এক ঘোর অন্ধকার সময়ে গণতন্ত্রের বাতিঘর হয়ে তাঁর দল ও জনগণকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শে গণতন্ত্রের সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। তাঁর ৩৯ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের বর্ণাঢ্য জীবন সবার চোখের সামনে। উত্থান-পতন ঘেরা ষড়যন্ত্রের নানা আঘাত আক্রমণ মোকাবিলা করে বার বার মৃত্যুর মুখে পতিত হয়ে অলৌকিকভাবে ফিরে এসে জনগণের নিরাপদ ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো সেনাশাসকও এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির কাছে এই সত্যের ওপর তিনি এখন টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। দলে এবং জাতীয় রাজনীতিতে সময়ের বিবর্তনে আজকের বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কেবল শেখ হাসিনাই। জনগণের অগাধ ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন তাঁর প্রতি থাকলেও তাঁর দলের একটি অংশ ও শাসকদের সঙ্গে সুবিধাভোগী শ্রেণি এতটাই এসে ভিড় করেছে যে দলের আদর্শবান দুঃসময়ের পথের সাথীরা তাদের কাছে কোণঠাসা হয়ে গেছে। একসময়ের বঙ্গবন্ধুবিদ্বেষী, এককালের চরম শেখ হাসিনাবিদ্বেষী ও সেদিনের চরম আওয়ামী লীগবিদ্বেষীরা ক্ষমতা ও অর্থবিত্তের লোভলালসা থেকে বেহায়ার মতো আজ রাতারাতি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। এসব নির্লজ্জ-বেহায়া কেবল আওয়ামী লীগেই ঠাঁই নেয়নি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সব পেশায় এদের কুৎসিত মুখ দেখা যায়। আওয়ামী লীগ সরকার এদের চিহ্নিত করে না দূরে সরাচ্ছে না নিজেদের আদর্শিক নেতা-কর্মীদের নিয়ে সরকার ও দলকে শক্তিশালী করছে। অনুপ্রবেশকারীরা, নব্য সুবিধাভোগী দলকানা দলদাস যারা আজ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা বন্দনায় পরীক্ষিত আদর্শিকদের পেছনে ফেলে দিয়েছে এরা বিষধর সাপের চেয়ে ভয়ঙ্কর। এদের ’৭৫-এর পরবর্তী দুঃসময়ে পাওয়া যায়নি। এদের ২০০১ সালের পর কঠিন বিপর্যয়ে পাশে দেখা যায়নি। এমনকি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়ও এরা ছিল দোদুল্যমান। এই সুবিধাভোগী লুটেরা শক্তি আজ এতটাই বেপরোয়া যে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার ভোগ নয় ত্যাগের রাজনীতির ডাক উপেক্ষা করে দম্ভ ও দাপটের সঙ্গে উন্নাসিক আচরণে জনগণের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। সিভিল প্রশাসন থেকে পুলিশ প্রশাসনে অসংখ্য সৎ অফিসারের চেহারা যেমন মানুষের চোখের সামনে শ্রদ্ধায় ভাসে তেমনি ক্ষমতার দাপটে অনেক লুটেরার কুৎসিত মুখ মানুষের নজর কাড়ছে। এদের দমাতে না পারলে দুঃসময় এলে পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হয়ে যাবে। অতীতের রাজনৈতিক শিক্ষা সেই অভিজ্ঞতার কথাই বলে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, তাঁর পরিবার বলতে তিনি ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানরা। অতীতের শাসকদের সন্তানদের ভয়াবহ বাড়াবাড়ির জন্য, অপকর্মের জন্য সেই দলের লাখো নেতা-কর্মী চরম মাশুল গুনছেন। এ দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে গণরায় নিয়ে বার বার ক্ষমতায় আসা বেগম খালেদা জিয়াও অসুস্থ শরীর নিয়ে কারাজীবন ভোগ করছেন। তাঁদের শাসনামলে দলের নেতারা বাদ দিলেও সেদিনের বিরোধী দলও এই করুণ পরিণতি চিন্তা করতে পারেনি। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা আটপৌরে সাদামাটা জীবনযাপনে যেমন অভ্যস্ত তেমনি তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা জাতির জনকের কন্যা হয়েও জীবন-জীবিকার সঙ্গে কঠিন যুদ্ধ করে সন্তানদের মানুষ করেছেন। শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় পাস একজন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা হয়ে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটিয়েছেন। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকার পূরণে তাঁর নেপথ্য পরামর্শ ও ভূমিকা অনন্যসাধারণ। কিন্তু বদনাম তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁকে ঘিরে কোনো সিন্ডিকেট দৃশ্যমান হয়নি। তাঁকে কোথাও যেমন যেতে দেখা যায় না তেমনি কোথাও টেলিফোন করেছেন এমন খবরও পাওয়া যায় না। পশ্চিমা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজের অবদান বহির্বিশ্বে সুনামের সঙ্গে ছড়িয়েছেন। দেশের অভ্যন্তরে তাঁকে ঘিরেও কোথাও কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যের নামনিশানা মেলে না। প্রভাব খাটাতে দেখা যায় না। মানবতার সেবায় নিবেদিত পুতুলকেও ক্লিন ইমেজ নিয়ে কাজ করার পথে রেখেছেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাকন্যা রেজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ উচ্চশিক্ষা নিয়ে ব্রিটেনের মূলধারার রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে জনরায় নিয়ে পার্লামেন্টে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখছেন। এটা শুধু বঙ্গবন্ধু পরিবার নয়, দেশের জন্যও গৌরবের। শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি সেই মেধাবী উচ্চশিক্ষিত সন্তান, বঙ্গবন্ধুর পর যার সাক্ষাৎকার প্রখ্যাত সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট আলজাজিরায় নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনিও দেশের জন্য এবং দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে নিভৃতে। কলঙ্ক তাঁকেও স্পর্শ করতে পারেনি। এমনকি ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসেরপুত্র শেখ হেলাল ও তাঁর পুত্র এবং আরেক ভাই জনপ্রিয়তা নিয়ে সংসদে এলেও বাজারে তাঁদের নিয়ে কোনো দুর্নাম নেই। তাঁদের ঘিরে নেই কোনো বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট। এমনকি ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নিহত যুবসমাজের নয়নের মণি ষাটের ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুজিব বাহিনীর অন্যতম প্রধান শেখ ফজলুল হক মণির সন্তান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সংসদে এলেও সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন পেশার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে। প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান শেখ ফজলুল করিম সেলিম যেমন ক্ষমতায় নেই তেমনি তাঁর পুত্র শেখ ফজলে নূর ফাহিম ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি হলেও কোথাও কোনো দুর্নাম নেই। প্রশ্ন এখানেই থেকে যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার সন্তানরা যেখানে মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য ক্লিন ইমেজ নিয়ে ভূমিকা রাখছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা যেখানে কোনো বিতর্কে নেই তাহলে দেশের এই চলমান উন্নয়নের স্বর্ণযুগে লুটেরা নির্লজ্জ বেহায়াদের নাম মানুষের মুখে মুখে থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না? এটি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন।

মাদারীপুরের ফেরি বিলম্বে ছাড়ার কারণে তিতাস নামের যে শিশুটি অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে পার হতে পারেনি, সময়মতো চিকিৎসা নিতে না পারায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে তার মায়ের ক্রন্দন এখনো থামেনি। যে তদন্ত কমিটি হয়েছে সেখানে যে যুগ্মসচিবের জন্য ফেরি বিলম্বে ছাড়া হলো আমলাদের কমিটি তাকে মুক্তি দিয়ে নিরীহ গরিব কর্মচারীদের অভিযুক্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা দরকার। মানুষ জনপ্রতিনিধিদের বিপদে-আপদে পাশে যেমন পায় তেমনি সেসব রাজনীতিবিদের সমালোচনায় সহজে মুখর থাকে। তাদের পাওয়া সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রশ্নও তোলে। কিন্তু আমলারা বা পুলিশের কর্মকর্তা থেকে সরকারি কর্মচারীরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন অতীতে কোনো সরকারের আমলে এমনটি তাদের ভাগ্যে জোটেনি। কিন্তু যতগুলো বড় বড় প্রকল্প বা বিভিন্ন ঘটনায় দুর্নীতির বীভৎস চিত্র বেরিয়ে আসছে সেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের নীতি থেকে চোখ বন্ধ করে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় চলে যাচ্ছে।

বার বার শেয়ারবাজার লুট হয়েছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে এসেছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তেমনি পাহারাদারদেরও স্পর্শ করা যায়নি। সর্বশেষ শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা কারা লুট করে নিয়ে গেল সে হিসাব মানুষ জানলই না। বিদেশে টাকা পাচার এ পর্যন্ত ১০ বছরে বিভিন্ন রিপোর্টে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রতি বছর ৭০ থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। যার বেশির ভাগ অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ যা দেশে রাখা নিরাপদ নয় ভেবে এই পাচার ঘটে। আরেকটি অংশ বিনিয়োগে নিরাপত্তাহীনতার কারণে পাচার হচ্ছে। শেষ দুই অর্থবছরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের যদি সর্বাত্মক সরকারি সহযোগিতা ও প্রণোদনা দেওয়া না যায় তাহলে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার যেমন ঘটবে না তেমনি বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রটা সংকুচিত হয়ে যাবে। দেশের বড় বড় বিনিয়োগকারী যখন সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন তখন তাদের হাত ধরে দেশি বিনিয়োগই নয়, বিদেশি বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে। যতই বলা হোক, গ্যাস-বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নেই কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় আদৌ কি শিল্পকারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে? কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুমতির জন্য ভারতে যেখানে ৭ থেকে ১৪ কর্মদিবসে অনুমতি মেলে, আবেদন করার পর কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীকে টেলিফোন করে অনুমতি দান করে সেখানে জাতিসংঘের শিল্প-বাণিজ্য সংস্থার রিপোর্টে আমাদের দেশের ৩৩ কর্মদিবসেও হয় না। ’৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েই শেখ হাসিনা বলেছিলেন তার সরকারের কূটনীতি হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি। তিনি যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে বিস্ময়কর জায়গায় নিয়ে এসেছেন তখন প্রশ্ন থেকে যায় অর্থনৈতিক কূটনীতিতে আমাদের বিদেশের মিশনগুলো কী করছে?

দেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ চলছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে, একের পর এক মেগা প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে শেষ হচ্ছে সেখানে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে পারলে বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় প্রবৃদ্ধি এখনই আরও ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই তাঁর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে হলেও অর্থ পাচারকারী ও লুটেরাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। দুর্নীতি ও অর্থ পাচার এ দুটো রুখতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্নের বাংলাদেশ শেখ হাসিনা উপহার দিতে চান তা যেমন দিতে পারবেন তেমনি প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের দিয়ে দলকে শক্তিশালী করলে তার রাজনৈতিক অর্জনও সুসংহত হবে। একই সঙ্গে সুশাসন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পরিবেশ নিশ্চিত এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি এক কথায় বললেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংকিং খাত ও কাস্টমসের গোয়েন্দা বিভাগ সমন্বিত উদ্যোগ নিলেই বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করা যাবে। দুর্নীতির লাগাম টেনে বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধে সফল হলে দেশ-উন্নয়নের স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। আমাদের সবিনয় নিবেদন, দলের নেতা-কর্মী, এমপি-মন্ত্রী এমনকি সুবিধাভোগী লুটেরাদের অর্থসম্পদ যা গত ১০ বছরে ব্যাপকভাবে অবৈধভাবে বেড়েছে তার তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এলে সুফল পাওয়া যাবে। দুর্নীতি রোধ ও বিদেশে অর্থ পাচার রুখতে এবং ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা, শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে পারলে দেশকে উন্নয়নের যে মহাসড়কে তুলেছেন তা-ই তাঁকে ইতিহাসে অমরত্ব দেবে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
দেশজুড়ে তাপমাত্রা কমছে, বাড়ছে শীতের আমেজ
দেশজুড়ে তাপমাত্রা কমছে, বাড়ছে শীতের আমেজ

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

পার্শ্ববর্তী দেশে বসে ফ্যাসিবাদরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে
পার্শ্ববর্তী দেশে বসে ফ্যাসিবাদরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তিন মামলা, আসামি আ.লীগ নেতাসহ ১৪৭
ভাঙ্গায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তিন মামলা, আসামি আ.লীগ নেতাসহ ১৪৭

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চেক প্রজাতন্ত্রে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
চেক প্রজাতন্ত্রে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রূপগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রূপগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

১৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

যাত্রাবাড়ীতে ধানের শীষের গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে ধানের শীষের গণসংযোগ

১৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ
তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ

২০ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অর্থ বাঁচাতে গোল না করার অনুরোধ বার্সার, হতভম্ব হয়ে যান লেভানডস্কি
অর্থ বাঁচাতে গোল না করার অনুরোধ বার্সার, হতভম্ব হয়ে যান লেভানডস্কি

২২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ
সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১
রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত
লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিল!
দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিল!

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা
মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার
সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ
শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি
টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি

২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে
অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা