শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

অর্থ পাচার ও লুটপাটের বরপুত্র কারা?

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
অর্থ পাচার ও লুটপাটের বরপুত্র কারা?

দেশের অর্থ বিদেশে কারা পাচার করছে? দেশের অর্থনীতির লুটপাটের বরপুত্র কারা? দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা কেন নাজুক? ব্যাংকের টাকা লুট করেছে কারা? কারা শেয়ারবাজারকে লুট করে নিয়ে কবরে শুইয়ে দিয়েছে? ঋণখেলাপিরা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে সহজলভ্য  কিস্তিতে ঋণ শোধ করে ব্যবসা করার সুযোগ পেলেও দেশের প্রকৃত ব্যবসায়ী যারা নিয়মিত ঋণের কিস্তি ও ঋণ শোধ করে চড়া সুদে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা ও কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলে রেখে প্রবৃদ্ধি অর্জনে শক্ত হাত হিসেবে ভূমিকা রাখছে তাদের জন্য কী সুবিধা দেওয়া হচ্ছে? বিগত নয়-দশ বছরে যে কটি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সেসব ব্যাংকের দু-একটি ছাড়া বাকিগুলোর অবস্থা যেখানে ভালো নয়, তারল্য সংকট বলে ব্যাংকিং খাতের হতাশার চিত্র দৃশ্যমান সেখানে কেন আরও নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে? এ রকম অসংখ্য প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে। ফরিদপুরের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যদি পর্দার দাম ৩৭ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায় তখন মানুষ এটি হীরকখচিত পর্দা মনে করে না, মনে করে চলমান হরিলুটের আরেক চিত্রপট। স্বাস্থ্য অধিদফতর যেখানে ৫ হাজার ৫০০ টাকার বই ৮৫ হাজার ৫০০ টাকায় কেনে তখন রূপপুরের বালিশ কেলেঙ্কারির ভয়াবহতাকে হারই মানায় না মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাঁর অগণিত লাখো কোটি নিঃস্বার্থ ভক্তের হৃদয় ক্রন্দন করে ওঠে। এই লুটেরা চক্র আসলে কারা? মানুষের মুখে মুখে একদল লুটেরার নাম উচ্চারিত হচ্ছে একে একে। তৃণমূল থেকে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অসহায় জনগণের চোখে দুর্নীতিবাজদের উল্লাসনৃত্য চোখে পড়লেও, তাদের নাম উচ্চারিত হলেও রাষ্ট্র কেন তাদের খবর জানে না? এসব প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসে। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সরকার, জনপ্রতিনিধি, এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশন একেকটি পুঁটিমাছ ধরলেও এখন পর্যন্ত আট-দশটি রুই-কাতলা ধরতে পারেনি। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের প্রতি মানুষের আশার আলো ডুবে যায়নি। আস্থা-বিশ্বাসের জায়গা নষ্ট হয়ে যায়নি। দুদক অফিসে দু-চারটা অসৎ কর্মকর্তা দুর্নীতির বাজিকরদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধরা পড়লেও অনেক সৎ দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন। তবু কেন দুদক বড় ডাকাত ধরতে পারে না, সেই প্রশ্ন মানুষের মনজুড়ে প্রবল ঝাঁকুনি দিচ্ছে।

আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছিলেন একজন মহান জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক গণমুখী নেতা হিসেবে। সেদিনও তিনি দাম্ভিক উন্নাসিক লুটেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিটি বক্তৃতায় সততার পথে ফিরে আসার জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন। ক্ষমতার দম্ভে উন্নাসিক সেই চক্র তাতে সাড়া দেয়নি। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসঘাতক একদল রাজনৈতিক ও সামরিক খুনিচক্র পরিবার-পরিজনসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যাই করেনি বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক জায়গা থেকে বিচ্যুত করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর চরম জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আওয়ামী লীগই নেতৃত্বশূন্য হয়নি সেদিন গোটা জাতি নেতৃত্বশূন্য হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর তার শাসনামলে যত অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তা মিথ্যায় পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে কোথাও কোনো অর্থসম্পদ পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের কারামুক্ত ও নির্যাতিত নেতাদের পরিবার-পরিজনকে খেয়ে না খেয়ে মহান নেতার আদর্শ নিয়ে নতুন যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছিল। লুটেরা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তখন পরবর্তী শাসকদের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেদিন দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা নির্বাসিত কষ্টের জীবনের অবসান ঘটিয়ে দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নির্বাচিত হয়ে এক ঘোর অন্ধকার সময়ে গণতন্ত্রের বাতিঘর হয়ে তাঁর দল ও জনগণকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শে গণতন্ত্রের সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। তাঁর ৩৯ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের বর্ণাঢ্য জীবন সবার চোখের সামনে। উত্থান-পতন ঘেরা ষড়যন্ত্রের নানা আঘাত আক্রমণ মোকাবিলা করে বার বার মৃত্যুর মুখে পতিত হয়ে অলৌকিকভাবে ফিরে এসে জনগণের নিরাপদ ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো সেনাশাসকও এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির কাছে এই সত্যের ওপর তিনি এখন টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। দলে এবং জাতীয় রাজনীতিতে সময়ের বিবর্তনে আজকের বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কেবল শেখ হাসিনাই। জনগণের অগাধ ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন তাঁর প্রতি থাকলেও তাঁর দলের একটি অংশ ও শাসকদের সঙ্গে সুবিধাভোগী শ্রেণি এতটাই এসে ভিড় করেছে যে দলের আদর্শবান দুঃসময়ের পথের সাথীরা তাদের কাছে কোণঠাসা হয়ে গেছে। একসময়ের বঙ্গবন্ধুবিদ্বেষী, এককালের চরম শেখ হাসিনাবিদ্বেষী ও সেদিনের চরম আওয়ামী লীগবিদ্বেষীরা ক্ষমতা ও অর্থবিত্তের লোভলালসা থেকে বেহায়ার মতো আজ রাতারাতি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। এসব নির্লজ্জ-বেহায়া কেবল আওয়ামী লীগেই ঠাঁই নেয়নি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সব পেশায় এদের কুৎসিত মুখ দেখা যায়। আওয়ামী লীগ সরকার এদের চিহ্নিত করে না দূরে সরাচ্ছে না নিজেদের আদর্শিক নেতা-কর্মীদের নিয়ে সরকার ও দলকে শক্তিশালী করছে। অনুপ্রবেশকারীরা, নব্য সুবিধাভোগী দলকানা দলদাস যারা আজ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা বন্দনায় পরীক্ষিত আদর্শিকদের পেছনে ফেলে দিয়েছে এরা বিষধর সাপের চেয়ে ভয়ঙ্কর। এদের ’৭৫-এর পরবর্তী দুঃসময়ে পাওয়া যায়নি। এদের ২০০১ সালের পর কঠিন বিপর্যয়ে পাশে দেখা যায়নি। এমনকি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়ও এরা ছিল দোদুল্যমান। এই সুবিধাভোগী লুটেরা শক্তি আজ এতটাই বেপরোয়া যে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার ভোগ নয় ত্যাগের রাজনীতির ডাক উপেক্ষা করে দম্ভ ও দাপটের সঙ্গে উন্নাসিক আচরণে জনগণের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। সিভিল প্রশাসন থেকে পুলিশ প্রশাসনে অসংখ্য সৎ অফিসারের চেহারা যেমন মানুষের চোখের সামনে শ্রদ্ধায় ভাসে তেমনি ক্ষমতার দাপটে অনেক লুটেরার কুৎসিত মুখ মানুষের নজর কাড়ছে। এদের দমাতে না পারলে দুঃসময় এলে পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হয়ে যাবে। অতীতের রাজনৈতিক শিক্ষা সেই অভিজ্ঞতার কথাই বলে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, তাঁর পরিবার বলতে তিনি ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানরা। অতীতের শাসকদের সন্তানদের ভয়াবহ বাড়াবাড়ির জন্য, অপকর্মের জন্য সেই দলের লাখো নেতা-কর্মী চরম মাশুল গুনছেন। এ দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে গণরায় নিয়ে বার বার ক্ষমতায় আসা বেগম খালেদা জিয়াও অসুস্থ শরীর নিয়ে কারাজীবন ভোগ করছেন। তাঁদের শাসনামলে দলের নেতারা বাদ দিলেও সেদিনের বিরোধী দলও এই করুণ পরিণতি চিন্তা করতে পারেনি। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা আটপৌরে সাদামাটা জীবনযাপনে যেমন অভ্যস্ত তেমনি তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা জাতির জনকের কন্যা হয়েও জীবন-জীবিকার সঙ্গে কঠিন যুদ্ধ করে সন্তানদের মানুষ করেছেন। শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় পাস একজন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা হয়ে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটিয়েছেন। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকার পূরণে তাঁর নেপথ্য পরামর্শ ও ভূমিকা অনন্যসাধারণ। কিন্তু বদনাম তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁকে ঘিরে কোনো সিন্ডিকেট দৃশ্যমান হয়নি। তাঁকে কোথাও যেমন যেতে দেখা যায় না তেমনি কোথাও টেলিফোন করেছেন এমন খবরও পাওয়া যায় না। পশ্চিমা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজের অবদান বহির্বিশ্বে সুনামের সঙ্গে ছড়িয়েছেন। দেশের অভ্যন্তরে তাঁকে ঘিরেও কোথাও কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যের নামনিশানা মেলে না। প্রভাব খাটাতে দেখা যায় না। মানবতার সেবায় নিবেদিত পুতুলকেও ক্লিন ইমেজ নিয়ে কাজ করার পথে রেখেছেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাকন্যা রেজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ উচ্চশিক্ষা নিয়ে ব্রিটেনের মূলধারার রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে জনরায় নিয়ে পার্লামেন্টে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখছেন। এটা শুধু বঙ্গবন্ধু পরিবার নয়, দেশের জন্যও গৌরবের। শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি সেই মেধাবী উচ্চশিক্ষিত সন্তান, বঙ্গবন্ধুর পর যার সাক্ষাৎকার প্রখ্যাত সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট আলজাজিরায় নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনিও দেশের জন্য এবং দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে নিভৃতে। কলঙ্ক তাঁকেও স্পর্শ করতে পারেনি। এমনকি ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসেরপুত্র শেখ হেলাল ও তাঁর পুত্র এবং আরেক ভাই জনপ্রিয়তা নিয়ে সংসদে এলেও বাজারে তাঁদের নিয়ে কোনো দুর্নাম নেই। তাঁদের ঘিরে নেই কোনো বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট। এমনকি ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নিহত যুবসমাজের নয়নের মণি ষাটের ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুজিব বাহিনীর অন্যতম প্রধান শেখ ফজলুল হক মণির সন্তান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সংসদে এলেও সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন পেশার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে। প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান শেখ ফজলুল করিম সেলিম যেমন ক্ষমতায় নেই তেমনি তাঁর পুত্র শেখ ফজলে নূর ফাহিম ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি হলেও কোথাও কোনো দুর্নাম নেই। প্রশ্ন এখানেই থেকে যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার সন্তানরা যেখানে মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য ক্লিন ইমেজ নিয়ে ভূমিকা রাখছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা যেখানে কোনো বিতর্কে নেই তাহলে দেশের এই চলমান উন্নয়নের স্বর্ণযুগে লুটেরা নির্লজ্জ বেহায়াদের নাম মানুষের মুখে মুখে থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না? এটি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন।

মাদারীপুরের ফেরি বিলম্বে ছাড়ার কারণে তিতাস নামের যে শিশুটি অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে পার হতে পারেনি, সময়মতো চিকিৎসা নিতে না পারায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে তার মায়ের ক্রন্দন এখনো থামেনি। যে তদন্ত কমিটি হয়েছে সেখানে যে যুগ্মসচিবের জন্য ফেরি বিলম্বে ছাড়া হলো আমলাদের কমিটি তাকে মুক্তি দিয়ে নিরীহ গরিব কর্মচারীদের অভিযুক্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা দরকার। মানুষ জনপ্রতিনিধিদের বিপদে-আপদে পাশে যেমন পায় তেমনি সেসব রাজনীতিবিদের সমালোচনায় সহজে মুখর থাকে। তাদের পাওয়া সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রশ্নও তোলে। কিন্তু আমলারা বা পুলিশের কর্মকর্তা থেকে সরকারি কর্মচারীরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন অতীতে কোনো সরকারের আমলে এমনটি তাদের ভাগ্যে জোটেনি। কিন্তু যতগুলো বড় বড় প্রকল্প বা বিভিন্ন ঘটনায় দুর্নীতির বীভৎস চিত্র বেরিয়ে আসছে সেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের নীতি থেকে চোখ বন্ধ করে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় চলে যাচ্ছে।

বার বার শেয়ারবাজার লুট হয়েছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে এসেছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তেমনি পাহারাদারদেরও স্পর্শ করা যায়নি। সর্বশেষ শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা কারা লুট করে নিয়ে গেল সে হিসাব মানুষ জানলই না। বিদেশে টাকা পাচার এ পর্যন্ত ১০ বছরে বিভিন্ন রিপোর্টে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রতি বছর ৭০ থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। যার বেশির ভাগ অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ যা দেশে রাখা নিরাপদ নয় ভেবে এই পাচার ঘটে। আরেকটি অংশ বিনিয়োগে নিরাপত্তাহীনতার কারণে পাচার হচ্ছে। শেষ দুই অর্থবছরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের যদি সর্বাত্মক সরকারি সহযোগিতা ও প্রণোদনা দেওয়া না যায় তাহলে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার যেমন ঘটবে না তেমনি বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রটা সংকুচিত হয়ে যাবে। দেশের বড় বড় বিনিয়োগকারী যখন সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন তখন তাদের হাত ধরে দেশি বিনিয়োগই নয়, বিদেশি বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে। যতই বলা হোক, গ্যাস-বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নেই কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় আদৌ কি শিল্পকারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে? কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুমতির জন্য ভারতে যেখানে ৭ থেকে ১৪ কর্মদিবসে অনুমতি মেলে, আবেদন করার পর কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীকে টেলিফোন করে অনুমতি দান করে সেখানে জাতিসংঘের শিল্প-বাণিজ্য সংস্থার রিপোর্টে আমাদের দেশের ৩৩ কর্মদিবসেও হয় না। ’৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েই শেখ হাসিনা বলেছিলেন তার সরকারের কূটনীতি হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি। তিনি যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে বিস্ময়কর জায়গায় নিয়ে এসেছেন তখন প্রশ্ন থেকে যায় অর্থনৈতিক কূটনীতিতে আমাদের বিদেশের মিশনগুলো কী করছে?

দেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ চলছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে, একের পর এক মেগা প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে শেষ হচ্ছে সেখানে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে পারলে বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় প্রবৃদ্ধি এখনই আরও ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই তাঁর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে হলেও অর্থ পাচারকারী ও লুটেরাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। দুর্নীতি ও অর্থ পাচার এ দুটো রুখতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্নের বাংলাদেশ শেখ হাসিনা উপহার দিতে চান তা যেমন দিতে পারবেন তেমনি প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের দিয়ে দলকে শক্তিশালী করলে তার রাজনৈতিক অর্জনও সুসংহত হবে। একই সঙ্গে সুশাসন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পরিবেশ নিশ্চিত এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি এক কথায় বললেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংকিং খাত ও কাস্টমসের গোয়েন্দা বিভাগ সমন্বিত উদ্যোগ নিলেই বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করা যাবে। দুর্নীতির লাগাম টেনে বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধে সফল হলে দেশ-উন্নয়নের স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। আমাদের সবিনয় নিবেদন, দলের নেতা-কর্মী, এমপি-মন্ত্রী এমনকি সুবিধাভোগী লুটেরাদের অর্থসম্পদ যা গত ১০ বছরে ব্যাপকভাবে অবৈধভাবে বেড়েছে তার তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এলে সুফল পাওয়া যাবে। দুর্নীতি রোধ ও বিদেশে অর্থ পাচার রুখতে এবং ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা, শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে পারলে দেশকে উন্নয়নের যে মহাসড়কে তুলেছেন তা-ই তাঁকে ইতিহাসে অমরত্ব দেবে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

এই মাত্র | রাজনীতি

মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও জি-২০ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র গৃহীত
মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও জি-২০ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র গৃহীত

৪৩ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মীয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ ছাড়া রাষ্ট্র সমাজ টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্মীয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ ছাড়া রাষ্ট্র সমাজ টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা

২ মিনিট আগে | জাতীয়

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শপিং কমপ্লেক্সে অটোরিকশা, আহত ২
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শপিং কমপ্লেক্সে অটোরিকশা, আহত ২

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু, আহত ২
চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু, আহত ২

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

৪৯৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, ৩৪২ জনকে হত্যা
৪৯৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, ৩৪২ জনকে হত্যা

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ফারুক
জামায়াতের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ফারুক

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

বগুড়ায় হৃদরোগীর চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান
বগুড়ায় হৃদরোগীর চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা চূড়ান্ত প্রস্তাব নয়!
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা চূড়ান্ত প্রস্তাব নয়!

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১১
পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১১

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প সতর্কতা : সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন
ভূমিকম্প সতর্কতা : সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন

৪৭ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

৫২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল
পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

৫৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত
ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা
কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম
স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন
খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ
কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা
দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত
বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা