শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

অর্থ পাচার ও লুটপাটের বরপুত্র কারা?

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
অর্থ পাচার ও লুটপাটের বরপুত্র কারা?

দেশের অর্থ বিদেশে কারা পাচার করছে? দেশের অর্থনীতির লুটপাটের বরপুত্র কারা? দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা কেন নাজুক? ব্যাংকের টাকা লুট করেছে কারা? কারা শেয়ারবাজারকে লুট করে নিয়ে কবরে শুইয়ে দিয়েছে? ঋণখেলাপিরা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে সহজলভ্য  কিস্তিতে ঋণ শোধ করে ব্যবসা করার সুযোগ পেলেও দেশের প্রকৃত ব্যবসায়ী যারা নিয়মিত ঋণের কিস্তি ও ঋণ শোধ করে চড়া সুদে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা ও কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলে রেখে প্রবৃদ্ধি অর্জনে শক্ত হাত হিসেবে ভূমিকা রাখছে তাদের জন্য কী সুবিধা দেওয়া হচ্ছে? বিগত নয়-দশ বছরে যে কটি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সেসব ব্যাংকের দু-একটি ছাড়া বাকিগুলোর অবস্থা যেখানে ভালো নয়, তারল্য সংকট বলে ব্যাংকিং খাতের হতাশার চিত্র দৃশ্যমান সেখানে কেন আরও নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে? এ রকম অসংখ্য প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে। ফরিদপুরের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যদি পর্দার দাম ৩৭ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায় তখন মানুষ এটি হীরকখচিত পর্দা মনে করে না, মনে করে চলমান হরিলুটের আরেক চিত্রপট। স্বাস্থ্য অধিদফতর যেখানে ৫ হাজার ৫০০ টাকার বই ৮৫ হাজার ৫০০ টাকায় কেনে তখন রূপপুরের বালিশ কেলেঙ্কারির ভয়াবহতাকে হারই মানায় না মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাঁর অগণিত লাখো কোটি নিঃস্বার্থ ভক্তের হৃদয় ক্রন্দন করে ওঠে। এই লুটেরা চক্র আসলে কারা? মানুষের মুখে মুখে একদল লুটেরার নাম উচ্চারিত হচ্ছে একে একে। তৃণমূল থেকে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অসহায় জনগণের চোখে দুর্নীতিবাজদের উল্লাসনৃত্য চোখে পড়লেও, তাদের নাম উচ্চারিত হলেও রাষ্ট্র কেন তাদের খবর জানে না? এসব প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসে। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সরকার, জনপ্রতিনিধি, এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশন একেকটি পুঁটিমাছ ধরলেও এখন পর্যন্ত আট-দশটি রুই-কাতলা ধরতে পারেনি। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের প্রতি মানুষের আশার আলো ডুবে যায়নি। আস্থা-বিশ্বাসের জায়গা নষ্ট হয়ে যায়নি। দুদক অফিসে দু-চারটা অসৎ কর্মকর্তা দুর্নীতির বাজিকরদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধরা পড়লেও অনেক সৎ দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন। তবু কেন দুদক বড় ডাকাত ধরতে পারে না, সেই প্রশ্ন মানুষের মনজুড়ে প্রবল ঝাঁকুনি দিচ্ছে।

আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছিলেন একজন মহান জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক গণমুখী নেতা হিসেবে। সেদিনও তিনি দাম্ভিক উন্নাসিক লুটেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিটি বক্তৃতায় সততার পথে ফিরে আসার জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন। ক্ষমতার দম্ভে উন্নাসিক সেই চক্র তাতে সাড়া দেয়নি। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসঘাতক একদল রাজনৈতিক ও সামরিক খুনিচক্র পরিবার-পরিজনসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যাই করেনি বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক জায়গা থেকে বিচ্যুত করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর চরম জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আওয়ামী লীগই নেতৃত্বশূন্য হয়নি সেদিন গোটা জাতি নেতৃত্বশূন্য হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর তার শাসনামলে যত অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তা মিথ্যায় পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে কোথাও কোনো অর্থসম্পদ পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের কারামুক্ত ও নির্যাতিত নেতাদের পরিবার-পরিজনকে খেয়ে না খেয়ে মহান নেতার আদর্শ নিয়ে নতুন যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছিল। লুটেরা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তখন পরবর্তী শাসকদের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেদিন দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা নির্বাসিত কষ্টের জীবনের অবসান ঘটিয়ে দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নির্বাচিত হয়ে এক ঘোর অন্ধকার সময়ে গণতন্ত্রের বাতিঘর হয়ে তাঁর দল ও জনগণকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শে গণতন্ত্রের সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। তাঁর ৩৯ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের বর্ণাঢ্য জীবন সবার চোখের সামনে। উত্থান-পতন ঘেরা ষড়যন্ত্রের নানা আঘাত আক্রমণ মোকাবিলা করে বার বার মৃত্যুর মুখে পতিত হয়ে অলৌকিকভাবে ফিরে এসে জনগণের নিরাপদ ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো সেনাশাসকও এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির কাছে এই সত্যের ওপর তিনি এখন টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। দলে এবং জাতীয় রাজনীতিতে সময়ের বিবর্তনে আজকের বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কেবল শেখ হাসিনাই। জনগণের অগাধ ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন তাঁর প্রতি থাকলেও তাঁর দলের একটি অংশ ও শাসকদের সঙ্গে সুবিধাভোগী শ্রেণি এতটাই এসে ভিড় করেছে যে দলের আদর্শবান দুঃসময়ের পথের সাথীরা তাদের কাছে কোণঠাসা হয়ে গেছে। একসময়ের বঙ্গবন্ধুবিদ্বেষী, এককালের চরম শেখ হাসিনাবিদ্বেষী ও সেদিনের চরম আওয়ামী লীগবিদ্বেষীরা ক্ষমতা ও অর্থবিত্তের লোভলালসা থেকে বেহায়ার মতো আজ রাতারাতি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। এসব নির্লজ্জ-বেহায়া কেবল আওয়ামী লীগেই ঠাঁই নেয়নি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সব পেশায় এদের কুৎসিত মুখ দেখা যায়। আওয়ামী লীগ সরকার এদের চিহ্নিত করে না দূরে সরাচ্ছে না নিজেদের আদর্শিক নেতা-কর্মীদের নিয়ে সরকার ও দলকে শক্তিশালী করছে। অনুপ্রবেশকারীরা, নব্য সুবিধাভোগী দলকানা দলদাস যারা আজ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা বন্দনায় পরীক্ষিত আদর্শিকদের পেছনে ফেলে দিয়েছে এরা বিষধর সাপের চেয়ে ভয়ঙ্কর। এদের ’৭৫-এর পরবর্তী দুঃসময়ে পাওয়া যায়নি। এদের ২০০১ সালের পর কঠিন বিপর্যয়ে পাশে দেখা যায়নি। এমনকি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়ও এরা ছিল দোদুল্যমান। এই সুবিধাভোগী লুটেরা শক্তি আজ এতটাই বেপরোয়া যে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার ভোগ নয় ত্যাগের রাজনীতির ডাক উপেক্ষা করে দম্ভ ও দাপটের সঙ্গে উন্নাসিক আচরণে জনগণের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। সিভিল প্রশাসন থেকে পুলিশ প্রশাসনে অসংখ্য সৎ অফিসারের চেহারা যেমন মানুষের চোখের সামনে শ্রদ্ধায় ভাসে তেমনি ক্ষমতার দাপটে অনেক লুটেরার কুৎসিত মুখ মানুষের নজর কাড়ছে। এদের দমাতে না পারলে দুঃসময় এলে পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হয়ে যাবে। অতীতের রাজনৈতিক শিক্ষা সেই অভিজ্ঞতার কথাই বলে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, তাঁর পরিবার বলতে তিনি ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানরা। অতীতের শাসকদের সন্তানদের ভয়াবহ বাড়াবাড়ির জন্য, অপকর্মের জন্য সেই দলের লাখো নেতা-কর্মী চরম মাশুল গুনছেন। এ দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে গণরায় নিয়ে বার বার ক্ষমতায় আসা বেগম খালেদা জিয়াও অসুস্থ শরীর নিয়ে কারাজীবন ভোগ করছেন। তাঁদের শাসনামলে দলের নেতারা বাদ দিলেও সেদিনের বিরোধী দলও এই করুণ পরিণতি চিন্তা করতে পারেনি। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা আটপৌরে সাদামাটা জীবনযাপনে যেমন অভ্যস্ত তেমনি তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা জাতির জনকের কন্যা হয়েও জীবন-জীবিকার সঙ্গে কঠিন যুদ্ধ করে সন্তানদের মানুষ করেছেন। শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় পাস একজন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা হয়ে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটিয়েছেন। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকার পূরণে তাঁর নেপথ্য পরামর্শ ও ভূমিকা অনন্যসাধারণ। কিন্তু বদনাম তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁকে ঘিরে কোনো সিন্ডিকেট দৃশ্যমান হয়নি। তাঁকে কোথাও যেমন যেতে দেখা যায় না তেমনি কোথাও টেলিফোন করেছেন এমন খবরও পাওয়া যায় না। পশ্চিমা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজের অবদান বহির্বিশ্বে সুনামের সঙ্গে ছড়িয়েছেন। দেশের অভ্যন্তরে তাঁকে ঘিরেও কোথাও কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যের নামনিশানা মেলে না। প্রভাব খাটাতে দেখা যায় না। মানবতার সেবায় নিবেদিত পুতুলকেও ক্লিন ইমেজ নিয়ে কাজ করার পথে রেখেছেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাকন্যা রেজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ উচ্চশিক্ষা নিয়ে ব্রিটেনের মূলধারার রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে জনরায় নিয়ে পার্লামেন্টে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখছেন। এটা শুধু বঙ্গবন্ধু পরিবার নয়, দেশের জন্যও গৌরবের। শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি সেই মেধাবী উচ্চশিক্ষিত সন্তান, বঙ্গবন্ধুর পর যার সাক্ষাৎকার প্রখ্যাত সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট আলজাজিরায় নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনিও দেশের জন্য এবং দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে নিভৃতে। কলঙ্ক তাঁকেও স্পর্শ করতে পারেনি। এমনকি ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসেরপুত্র শেখ হেলাল ও তাঁর পুত্র এবং আরেক ভাই জনপ্রিয়তা নিয়ে সংসদে এলেও বাজারে তাঁদের নিয়ে কোনো দুর্নাম নেই। তাঁদের ঘিরে নেই কোনো বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট। এমনকি ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নিহত যুবসমাজের নয়নের মণি ষাটের ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুজিব বাহিনীর অন্যতম প্রধান শেখ ফজলুল হক মণির সন্তান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সংসদে এলেও সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন পেশার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে। প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান শেখ ফজলুল করিম সেলিম যেমন ক্ষমতায় নেই তেমনি তাঁর পুত্র শেখ ফজলে নূর ফাহিম ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি হলেও কোথাও কোনো দুর্নাম নেই। প্রশ্ন এখানেই থেকে যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার সন্তানরা যেখানে মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য ক্লিন ইমেজ নিয়ে ভূমিকা রাখছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা যেখানে কোনো বিতর্কে নেই তাহলে দেশের এই চলমান উন্নয়নের স্বর্ণযুগে লুটেরা নির্লজ্জ বেহায়াদের নাম মানুষের মুখে মুখে থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না? এটি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন।

মাদারীপুরের ফেরি বিলম্বে ছাড়ার কারণে তিতাস নামের যে শিশুটি অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে পার হতে পারেনি, সময়মতো চিকিৎসা নিতে না পারায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে তার মায়ের ক্রন্দন এখনো থামেনি। যে তদন্ত কমিটি হয়েছে সেখানে যে যুগ্মসচিবের জন্য ফেরি বিলম্বে ছাড়া হলো আমলাদের কমিটি তাকে মুক্তি দিয়ে নিরীহ গরিব কর্মচারীদের অভিযুক্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা দরকার। মানুষ জনপ্রতিনিধিদের বিপদে-আপদে পাশে যেমন পায় তেমনি সেসব রাজনীতিবিদের সমালোচনায় সহজে মুখর থাকে। তাদের পাওয়া সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রশ্নও তোলে। কিন্তু আমলারা বা পুলিশের কর্মকর্তা থেকে সরকারি কর্মচারীরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন অতীতে কোনো সরকারের আমলে এমনটি তাদের ভাগ্যে জোটেনি। কিন্তু যতগুলো বড় বড় প্রকল্প বা বিভিন্ন ঘটনায় দুর্নীতির বীভৎস চিত্র বেরিয়ে আসছে সেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের নীতি থেকে চোখ বন্ধ করে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় চলে যাচ্ছে।

বার বার শেয়ারবাজার লুট হয়েছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে এসেছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তেমনি পাহারাদারদেরও স্পর্শ করা যায়নি। সর্বশেষ শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা কারা লুট করে নিয়ে গেল সে হিসাব মানুষ জানলই না। বিদেশে টাকা পাচার এ পর্যন্ত ১০ বছরে বিভিন্ন রিপোর্টে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রতি বছর ৭০ থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। যার বেশির ভাগ অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ যা দেশে রাখা নিরাপদ নয় ভেবে এই পাচার ঘটে। আরেকটি অংশ বিনিয়োগে নিরাপত্তাহীনতার কারণে পাচার হচ্ছে। শেষ দুই অর্থবছরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের যদি সর্বাত্মক সরকারি সহযোগিতা ও প্রণোদনা দেওয়া না যায় তাহলে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার যেমন ঘটবে না তেমনি বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রটা সংকুচিত হয়ে যাবে। দেশের বড় বড় বিনিয়োগকারী যখন সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন তখন তাদের হাত ধরে দেশি বিনিয়োগই নয়, বিদেশি বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে। যতই বলা হোক, গ্যাস-বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নেই কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় আদৌ কি শিল্পকারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে? কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুমতির জন্য ভারতে যেখানে ৭ থেকে ১৪ কর্মদিবসে অনুমতি মেলে, আবেদন করার পর কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীকে টেলিফোন করে অনুমতি দান করে সেখানে জাতিসংঘের শিল্প-বাণিজ্য সংস্থার রিপোর্টে আমাদের দেশের ৩৩ কর্মদিবসেও হয় না। ’৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েই শেখ হাসিনা বলেছিলেন তার সরকারের কূটনীতি হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি। তিনি যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে বিস্ময়কর জায়গায় নিয়ে এসেছেন তখন প্রশ্ন থেকে যায় অর্থনৈতিক কূটনীতিতে আমাদের বিদেশের মিশনগুলো কী করছে?

দেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ চলছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে, একের পর এক মেগা প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে শেষ হচ্ছে সেখানে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে পারলে বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় প্রবৃদ্ধি এখনই আরও ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই তাঁর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে হলেও অর্থ পাচারকারী ও লুটেরাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। দুর্নীতি ও অর্থ পাচার এ দুটো রুখতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্নের বাংলাদেশ শেখ হাসিনা উপহার দিতে চান তা যেমন দিতে পারবেন তেমনি প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের দিয়ে দলকে শক্তিশালী করলে তার রাজনৈতিক অর্জনও সুসংহত হবে। একই সঙ্গে সুশাসন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পরিবেশ নিশ্চিত এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি এক কথায় বললেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংকিং খাত ও কাস্টমসের গোয়েন্দা বিভাগ সমন্বিত উদ্যোগ নিলেই বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করা যাবে। দুর্নীতির লাগাম টেনে বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধে সফল হলে দেশ-উন্নয়নের স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। আমাদের সবিনয় নিবেদন, দলের নেতা-কর্মী, এমপি-মন্ত্রী এমনকি সুবিধাভোগী লুটেরাদের অর্থসম্পদ যা গত ১০ বছরে ব্যাপকভাবে অবৈধভাবে বেড়েছে তার তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এলে সুফল পাওয়া যাবে। দুর্নীতি রোধ ও বিদেশে অর্থ পাচার রুখতে এবং ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা, শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে পারলে দেশকে উন্নয়নের যে মহাসড়কে তুলেছেন তা-ই তাঁকে ইতিহাসে অমরত্ব দেবে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু
এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

সিরাজদীখানে জমির বিরোধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
সিরাজদীখানে জমির বিরোধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে
টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'
এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেরাটনে কোস্টাল কার্নিভাল
শেরাটনে কোস্টাল কার্নিভাল

৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা
মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক শিক্ষার্থীদের দুই দফা দাবি
চমেক শিক্ষার্থীদের দুই দফা দাবি

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে আসা হাজতি নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার
শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে আসা হাজতি নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুকসুদপুরে দাখিল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মহত্যা
মুকসুদপুরে দাখিল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মহত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুশইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে : বিজিবি মহাপরিচালক
পুশইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে : বিজিবি মহাপরিচালক

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ শিক্ষকের ৫ পরীক্ষার্থী, পাস করেছে মাত্র একজন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ শিক্ষকের ৫ পরীক্ষার্থী, পাস করেছে মাত্র একজন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পটুয়াখালীর চারটি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় পাস শূন্য
পটুয়াখালীর চারটি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় পাস শূন্য

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপির সাবেক সেক্রেটারিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী খালাস
বিএনপির সাবেক সেক্রেটারিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী খালাস

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২
মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেনাপোল দিয়ে উপহারের আম গেল ভারতে
বেনাপোল দিয়ে উপহারের আম গেল ভারতে

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫
একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলা বন্দরে গত অর্থবছরে সকল লক্ষমাত্রায়ই সাফল্য
মোংলা বন্দরে গত অর্থবছরে সকল লক্ষমাত্রায়ই সাফল্য

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুলাউড়ায় বর্জ্য অপসারণে পৌরসভা-ব্যবসায়ীদের সভা
কুলাউড়ায় বর্জ্য অপসারণে পৌরসভা-ব্যবসায়ীদের সভা

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

খুবিতে ‘ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চ’ 
বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
খুবিতে ‘ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চ’  বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ: পাসের হার ৬৮.৪৫, যেভাবে জানবেন ফলাফল
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ: পাসের হার ৬৮.৪৫, যেভাবে জানবেন ফলাফল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথি
আরও একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন
জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই সপ্তাহ তেল ছাড়া খাবার খেলেই শরীরে দেখা দেবে যেসব পরিবর্তন
দুই সপ্তাহ তেল ছাড়া খাবার খেলেই শরীরে দেখা দেবে যেসব পরিবর্তন

১৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বন্যায় তিন বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
বন্যায় তিন বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়
পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪ তরুণের মরদেহ উদ্ধার
সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪ তরুণের মরদেহ উদ্ধার

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি সামরিক বহরে কাসাম বিগ্রেডের হামলা
ইসরায়েলি সামরিক বহরে কাসাম বিগ্রেডের হামলা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!
ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসরায়েলবিরোধী মন্তব্যে জাতিসংঘ দূতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইসরায়েলবিরোধী মন্তব্যে জাতিসংঘ দূতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপকে টক্কর দিতে আসছে বিটচ্যাট, চলবে ইন্টারনেট ছাড়াই
হোয়াটসঅ্যাপকে টক্কর দিতে আসছে বিটচ্যাট, চলবে ইন্টারনেট ছাড়াই

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল
পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যে সাত অঞ্চলে
দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যে সাত অঞ্চলে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস
ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় আধুনিক ‘বন্দিশিবির’ গড়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের
গাজায় আধুনিক ‘বন্দিশিবির’ গড়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেসির রেকর্ড গড়া রাতে জয় পেল ইন্টার মায়ামি
মেসির রেকর্ড গড়া রাতে জয় পেল ইন্টার মায়ামি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন
পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

শুল্ক প্রত্যাহারে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ
শুল্ক প্রত্যাহারে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি

সম্পাদকীয়

পালিয়ে গেছে দস্যি ছেলে
পালিয়ে গেছে দস্যি ছেলে

ডাংগুলি