শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

অর্থ পাচার ও লুটপাটের বরপুত্র কারা?

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
অর্থ পাচার ও লুটপাটের বরপুত্র কারা?

দেশের অর্থ বিদেশে কারা পাচার করছে? দেশের অর্থনীতির লুটপাটের বরপুত্র কারা? দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা কেন নাজুক? ব্যাংকের টাকা লুট করেছে কারা? কারা শেয়ারবাজারকে লুট করে নিয়ে কবরে শুইয়ে দিয়েছে? ঋণখেলাপিরা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে সহজলভ্য  কিস্তিতে ঋণ শোধ করে ব্যবসা করার সুযোগ পেলেও দেশের প্রকৃত ব্যবসায়ী যারা নিয়মিত ঋণের কিস্তি ও ঋণ শোধ করে চড়া সুদে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা ও কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলে রেখে প্রবৃদ্ধি অর্জনে শক্ত হাত হিসেবে ভূমিকা রাখছে তাদের জন্য কী সুবিধা দেওয়া হচ্ছে? বিগত নয়-দশ বছরে যে কটি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সেসব ব্যাংকের দু-একটি ছাড়া বাকিগুলোর অবস্থা যেখানে ভালো নয়, তারল্য সংকট বলে ব্যাংকিং খাতের হতাশার চিত্র দৃশ্যমান সেখানে কেন আরও নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে? এ রকম অসংখ্য প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে। ফরিদপুরের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যদি পর্দার দাম ৩৭ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায় তখন মানুষ এটি হীরকখচিত পর্দা মনে করে না, মনে করে চলমান হরিলুটের আরেক চিত্রপট। স্বাস্থ্য অধিদফতর যেখানে ৫ হাজার ৫০০ টাকার বই ৮৫ হাজার ৫০০ টাকায় কেনে তখন রূপপুরের বালিশ কেলেঙ্কারির ভয়াবহতাকে হারই মানায় না মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাঁর অগণিত লাখো কোটি নিঃস্বার্থ ভক্তের হৃদয় ক্রন্দন করে ওঠে। এই লুটেরা চক্র আসলে কারা? মানুষের মুখে মুখে একদল লুটেরার নাম উচ্চারিত হচ্ছে একে একে। তৃণমূল থেকে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অসহায় জনগণের চোখে দুর্নীতিবাজদের উল্লাসনৃত্য চোখে পড়লেও, তাদের নাম উচ্চারিত হলেও রাষ্ট্র কেন তাদের খবর জানে না? এসব প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসে। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সরকার, জনপ্রতিনিধি, এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশন একেকটি পুঁটিমাছ ধরলেও এখন পর্যন্ত আট-দশটি রুই-কাতলা ধরতে পারেনি। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের প্রতি মানুষের আশার আলো ডুবে যায়নি। আস্থা-বিশ্বাসের জায়গা নষ্ট হয়ে যায়নি। দুদক অফিসে দু-চারটা অসৎ কর্মকর্তা দুর্নীতির বাজিকরদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধরা পড়লেও অনেক সৎ দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন। তবু কেন দুদক বড় ডাকাত ধরতে পারে না, সেই প্রশ্ন মানুষের মনজুড়ে প্রবল ঝাঁকুনি দিচ্ছে।

আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছিলেন একজন মহান জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক গণমুখী নেতা হিসেবে। সেদিনও তিনি দাম্ভিক উন্নাসিক লুটেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিটি বক্তৃতায় সততার পথে ফিরে আসার জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন। ক্ষমতার দম্ভে উন্নাসিক সেই চক্র তাতে সাড়া দেয়নি। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসঘাতক একদল রাজনৈতিক ও সামরিক খুনিচক্র পরিবার-পরিজনসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যাই করেনি বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক জায়গা থেকে বিচ্যুত করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর চরম জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আওয়ামী লীগই নেতৃত্বশূন্য হয়নি সেদিন গোটা জাতি নেতৃত্বশূন্য হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর তার শাসনামলে যত অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তা মিথ্যায় পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে কোথাও কোনো অর্থসম্পদ পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের কারামুক্ত ও নির্যাতিত নেতাদের পরিবার-পরিজনকে খেয়ে না খেয়ে মহান নেতার আদর্শ নিয়ে নতুন যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছিল। লুটেরা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তখন পরবর্তী শাসকদের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেদিন দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা নির্বাসিত কষ্টের জীবনের অবসান ঘটিয়ে দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নির্বাচিত হয়ে এক ঘোর অন্ধকার সময়ে গণতন্ত্রের বাতিঘর হয়ে তাঁর দল ও জনগণকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শে গণতন্ত্রের সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। তাঁর ৩৯ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের বর্ণাঢ্য জীবন সবার চোখের সামনে। উত্থান-পতন ঘেরা ষড়যন্ত্রের নানা আঘাত আক্রমণ মোকাবিলা করে বার বার মৃত্যুর মুখে পতিত হয়ে অলৌকিকভাবে ফিরে এসে জনগণের নিরাপদ ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো সেনাশাসকও এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির কাছে এই সত্যের ওপর তিনি এখন টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। দলে এবং জাতীয় রাজনীতিতে সময়ের বিবর্তনে আজকের বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কেবল শেখ হাসিনাই। জনগণের অগাধ ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন তাঁর প্রতি থাকলেও তাঁর দলের একটি অংশ ও শাসকদের সঙ্গে সুবিধাভোগী শ্রেণি এতটাই এসে ভিড় করেছে যে দলের আদর্শবান দুঃসময়ের পথের সাথীরা তাদের কাছে কোণঠাসা হয়ে গেছে। একসময়ের বঙ্গবন্ধুবিদ্বেষী, এককালের চরম শেখ হাসিনাবিদ্বেষী ও সেদিনের চরম আওয়ামী লীগবিদ্বেষীরা ক্ষমতা ও অর্থবিত্তের লোভলালসা থেকে বেহায়ার মতো আজ রাতারাতি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। এসব নির্লজ্জ-বেহায়া কেবল আওয়ামী লীগেই ঠাঁই নেয়নি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সব পেশায় এদের কুৎসিত মুখ দেখা যায়। আওয়ামী লীগ সরকার এদের চিহ্নিত করে না দূরে সরাচ্ছে না নিজেদের আদর্শিক নেতা-কর্মীদের নিয়ে সরকার ও দলকে শক্তিশালী করছে। অনুপ্রবেশকারীরা, নব্য সুবিধাভোগী দলকানা দলদাস যারা আজ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা বন্দনায় পরীক্ষিত আদর্শিকদের পেছনে ফেলে দিয়েছে এরা বিষধর সাপের চেয়ে ভয়ঙ্কর। এদের ’৭৫-এর পরবর্তী দুঃসময়ে পাওয়া যায়নি। এদের ২০০১ সালের পর কঠিন বিপর্যয়ে পাশে দেখা যায়নি। এমনকি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়ও এরা ছিল দোদুল্যমান। এই সুবিধাভোগী লুটেরা শক্তি আজ এতটাই বেপরোয়া যে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার ভোগ নয় ত্যাগের রাজনীতির ডাক উপেক্ষা করে দম্ভ ও দাপটের সঙ্গে উন্নাসিক আচরণে জনগণের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। সিভিল প্রশাসন থেকে পুলিশ প্রশাসনে অসংখ্য সৎ অফিসারের চেহারা যেমন মানুষের চোখের সামনে শ্রদ্ধায় ভাসে তেমনি ক্ষমতার দাপটে অনেক লুটেরার কুৎসিত মুখ মানুষের নজর কাড়ছে। এদের দমাতে না পারলে দুঃসময় এলে পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হয়ে যাবে। অতীতের রাজনৈতিক শিক্ষা সেই অভিজ্ঞতার কথাই বলে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, তাঁর পরিবার বলতে তিনি ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানরা। অতীতের শাসকদের সন্তানদের ভয়াবহ বাড়াবাড়ির জন্য, অপকর্মের জন্য সেই দলের লাখো নেতা-কর্মী চরম মাশুল গুনছেন। এ দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে গণরায় নিয়ে বার বার ক্ষমতায় আসা বেগম খালেদা জিয়াও অসুস্থ শরীর নিয়ে কারাজীবন ভোগ করছেন। তাঁদের শাসনামলে দলের নেতারা বাদ দিলেও সেদিনের বিরোধী দলও এই করুণ পরিণতি চিন্তা করতে পারেনি। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা আটপৌরে সাদামাটা জীবনযাপনে যেমন অভ্যস্ত তেমনি তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা জাতির জনকের কন্যা হয়েও জীবন-জীবিকার সঙ্গে কঠিন যুদ্ধ করে সন্তানদের মানুষ করেছেন। শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় পাস একজন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা হয়ে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটিয়েছেন। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকার পূরণে তাঁর নেপথ্য পরামর্শ ও ভূমিকা অনন্যসাধারণ। কিন্তু বদনাম তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁকে ঘিরে কোনো সিন্ডিকেট দৃশ্যমান হয়নি। তাঁকে কোথাও যেমন যেতে দেখা যায় না তেমনি কোথাও টেলিফোন করেছেন এমন খবরও পাওয়া যায় না। পশ্চিমা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজের অবদান বহির্বিশ্বে সুনামের সঙ্গে ছড়িয়েছেন। দেশের অভ্যন্তরে তাঁকে ঘিরেও কোথাও কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যের নামনিশানা মেলে না। প্রভাব খাটাতে দেখা যায় না। মানবতার সেবায় নিবেদিত পুতুলকেও ক্লিন ইমেজ নিয়ে কাজ করার পথে রেখেছেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাকন্যা রেজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ উচ্চশিক্ষা নিয়ে ব্রিটেনের মূলধারার রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে জনরায় নিয়ে পার্লামেন্টে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখছেন। এটা শুধু বঙ্গবন্ধু পরিবার নয়, দেশের জন্যও গৌরবের। শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি সেই মেধাবী উচ্চশিক্ষিত সন্তান, বঙ্গবন্ধুর পর যার সাক্ষাৎকার প্রখ্যাত সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট আলজাজিরায় নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনিও দেশের জন্য এবং দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে নিভৃতে। কলঙ্ক তাঁকেও স্পর্শ করতে পারেনি। এমনকি ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসেরপুত্র শেখ হেলাল ও তাঁর পুত্র এবং আরেক ভাই জনপ্রিয়তা নিয়ে সংসদে এলেও বাজারে তাঁদের নিয়ে কোনো দুর্নাম নেই। তাঁদের ঘিরে নেই কোনো বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট। এমনকি ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নিহত যুবসমাজের নয়নের মণি ষাটের ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুজিব বাহিনীর অন্যতম প্রধান শেখ ফজলুল হক মণির সন্তান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সংসদে এলেও সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন পেশার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে। প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান শেখ ফজলুল করিম সেলিম যেমন ক্ষমতায় নেই তেমনি তাঁর পুত্র শেখ ফজলে নূর ফাহিম ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি হলেও কোথাও কোনো দুর্নাম নেই। প্রশ্ন এখানেই থেকে যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার সন্তানরা যেখানে মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য ক্লিন ইমেজ নিয়ে ভূমিকা রাখছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা যেখানে কোনো বিতর্কে নেই তাহলে দেশের এই চলমান উন্নয়নের স্বর্ণযুগে লুটেরা নির্লজ্জ বেহায়াদের নাম মানুষের মুখে মুখে থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না? এটি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন।

মাদারীপুরের ফেরি বিলম্বে ছাড়ার কারণে তিতাস নামের যে শিশুটি অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে পার হতে পারেনি, সময়মতো চিকিৎসা নিতে না পারায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে তার মায়ের ক্রন্দন এখনো থামেনি। যে তদন্ত কমিটি হয়েছে সেখানে যে যুগ্মসচিবের জন্য ফেরি বিলম্বে ছাড়া হলো আমলাদের কমিটি তাকে মুক্তি দিয়ে নিরীহ গরিব কর্মচারীদের অভিযুক্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা দরকার। মানুষ জনপ্রতিনিধিদের বিপদে-আপদে পাশে যেমন পায় তেমনি সেসব রাজনীতিবিদের সমালোচনায় সহজে মুখর থাকে। তাদের পাওয়া সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রশ্নও তোলে। কিন্তু আমলারা বা পুলিশের কর্মকর্তা থেকে সরকারি কর্মচারীরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন অতীতে কোনো সরকারের আমলে এমনটি তাদের ভাগ্যে জোটেনি। কিন্তু যতগুলো বড় বড় প্রকল্প বা বিভিন্ন ঘটনায় দুর্নীতির বীভৎস চিত্র বেরিয়ে আসছে সেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের নীতি থেকে চোখ বন্ধ করে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় চলে যাচ্ছে।

বার বার শেয়ারবাজার লুট হয়েছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে এসেছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তেমনি পাহারাদারদেরও স্পর্শ করা যায়নি। সর্বশেষ শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা কারা লুট করে নিয়ে গেল সে হিসাব মানুষ জানলই না। বিদেশে টাকা পাচার এ পর্যন্ত ১০ বছরে বিভিন্ন রিপোর্টে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রতি বছর ৭০ থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। যার বেশির ভাগ অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ যা দেশে রাখা নিরাপদ নয় ভেবে এই পাচার ঘটে। আরেকটি অংশ বিনিয়োগে নিরাপত্তাহীনতার কারণে পাচার হচ্ছে। শেষ দুই অর্থবছরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের যদি সর্বাত্মক সরকারি সহযোগিতা ও প্রণোদনা দেওয়া না যায় তাহলে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার যেমন ঘটবে না তেমনি বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রটা সংকুচিত হয়ে যাবে। দেশের বড় বড় বিনিয়োগকারী যখন সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন তখন তাদের হাত ধরে দেশি বিনিয়োগই নয়, বিদেশি বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে। যতই বলা হোক, গ্যাস-বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নেই কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় আদৌ কি শিল্পকারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে? কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুমতির জন্য ভারতে যেখানে ৭ থেকে ১৪ কর্মদিবসে অনুমতি মেলে, আবেদন করার পর কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীকে টেলিফোন করে অনুমতি দান করে সেখানে জাতিসংঘের শিল্প-বাণিজ্য সংস্থার রিপোর্টে আমাদের দেশের ৩৩ কর্মদিবসেও হয় না। ’৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েই শেখ হাসিনা বলেছিলেন তার সরকারের কূটনীতি হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি। তিনি যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে বিস্ময়কর জায়গায় নিয়ে এসেছেন তখন প্রশ্ন থেকে যায় অর্থনৈতিক কূটনীতিতে আমাদের বিদেশের মিশনগুলো কী করছে?

দেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ চলছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে, একের পর এক মেগা প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে শেষ হচ্ছে সেখানে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে পারলে বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় প্রবৃদ্ধি এখনই আরও ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই তাঁর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে হলেও অর্থ পাচারকারী ও লুটেরাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। দুর্নীতি ও অর্থ পাচার এ দুটো রুখতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্নের বাংলাদেশ শেখ হাসিনা উপহার দিতে চান তা যেমন দিতে পারবেন তেমনি প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের দিয়ে দলকে শক্তিশালী করলে তার রাজনৈতিক অর্জনও সুসংহত হবে। একই সঙ্গে সুশাসন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পরিবেশ নিশ্চিত এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি এক কথায় বললেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংকিং খাত ও কাস্টমসের গোয়েন্দা বিভাগ সমন্বিত উদ্যোগ নিলেই বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করা যাবে। দুর্নীতির লাগাম টেনে বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধে সফল হলে দেশ-উন্নয়নের স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। আমাদের সবিনয় নিবেদন, দলের নেতা-কর্মী, এমপি-মন্ত্রী এমনকি সুবিধাভোগী লুটেরাদের অর্থসম্পদ যা গত ১০ বছরে ব্যাপকভাবে অবৈধভাবে বেড়েছে তার তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এলে সুফল পাওয়া যাবে। দুর্নীতি রোধ ও বিদেশে অর্থ পাচার রুখতে এবং ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা, শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে পারলে দেশকে উন্নয়নের যে মহাসড়কে তুলেছেন তা-ই তাঁকে ইতিহাসে অমরত্ব দেবে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
চোটে ইডেন টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন শুভমান গিল
চোটে ইডেন টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন শুভমান গিল

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের
চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের

২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ফুয়াদের সুরে কনার গান
ফুয়াদের সুরে কনার গান

১০ মিনিট আগে | শোবিজ

অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তারেক রহমানের
অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তারেক রহমানের

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

চেন্নাইয়ে অধিনায়কত্ব পাচ্ছেন না স্যামসন
চেন্নাইয়ে অধিনায়কত্ব পাচ্ছেন না স্যামসন

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নোয়াখালী-৫ আসনে প্রার্থীর পক্ষে জেলা বিএনপির নির্বাচনী সমাবেশ
নোয়াখালী-৫ আসনে প্রার্থীর পক্ষে জেলা বিএনপির নির্বাচনী সমাবেশ

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারের ক্লাব আল সাদে মানচিনি
কাতারের ক্লাব আল সাদে মানচিনি

৩৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সকালে গরম পানি পানের ৭ উপকার
সকালে গরম পানি পানের ৭ উপকার

৩৫ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

রাজধানীতে অভিযানে নিষিদ্ধ যুবলীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার
রাজধানীতে অভিযানে নিষিদ্ধ যুবলীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৩৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

কাভিশ ব্যান্ডের সঙ্গে এক মঞ্চে শিরোনামহীন-মেঘদল
কাভিশ ব্যান্ডের সঙ্গে এক মঞ্চে শিরোনামহীন-মেঘদল

৪১ মিনিট আগে | শোবিজ

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন!
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন!

৪৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

চীনা নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার আহ্বান
চীনা নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার আহ্বান

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সহিংসতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ: জেন-জি আন্দোলনে উত্তপ্ত মেক্সিকো
সহিংসতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ: জেন-জি আন্দোলনে উত্তপ্ত মেক্সিকো

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিমতীরের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল
পশ্চিমতীরের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার প্লট দুর্নীতির এক মামলার শুনানি আজ
হাসিনার প্লট দুর্নীতির এক মামলার শুনানি আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় পদক্ষেপের দাবিতে ব্রাজিলে বিশাল মিছিল
জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় পদক্ষেপের দাবিতে ব্রাজিলে বিশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ আজ
এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ আজ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাভারে মহাসড়কের পাশে থেমে থাকা বাসে আগুন
সাভারে মহাসড়কের পাশে থেমে থাকা বাসে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আমি অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করি না’
‘আমি অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করি না’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আজ ১২ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ
আজ ১২ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৮
ইরাকে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৮

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা, উপকূলে নৌকাডুবে প্রাণ গেল ৪ জনের
অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা, উপকূলে নৌকাডুবে প্রাণ গেল ৪ জনের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি
ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘দিদি নাম্বার ১’ এ থাকছেন না রচনা ব্যানার্জি?
‘দিদি নাম্বার ১’ এ থাকছেন না রচনা ব্যানার্জি?

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

১৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা