শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

অর্থ পাচার ও লুটপাটের বরপুত্র কারা?

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
অর্থ পাচার ও লুটপাটের বরপুত্র কারা?

দেশের অর্থ বিদেশে কারা পাচার করছে? দেশের অর্থনীতির লুটপাটের বরপুত্র কারা? দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা কেন নাজুক? ব্যাংকের টাকা লুট করেছে কারা? কারা শেয়ারবাজারকে লুট করে নিয়ে কবরে শুইয়ে দিয়েছে? ঋণখেলাপিরা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে সহজলভ্য  কিস্তিতে ঋণ শোধ করে ব্যবসা করার সুযোগ পেলেও দেশের প্রকৃত ব্যবসায়ী যারা নিয়মিত ঋণের কিস্তি ও ঋণ শোধ করে চড়া সুদে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা ও কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলে রেখে প্রবৃদ্ধি অর্জনে শক্ত হাত হিসেবে ভূমিকা রাখছে তাদের জন্য কী সুবিধা দেওয়া হচ্ছে? বিগত নয়-দশ বছরে যে কটি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সেসব ব্যাংকের দু-একটি ছাড়া বাকিগুলোর অবস্থা যেখানে ভালো নয়, তারল্য সংকট বলে ব্যাংকিং খাতের হতাশার চিত্র দৃশ্যমান সেখানে কেন আরও নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে? এ রকম অসংখ্য প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে। ফরিদপুরের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যদি পর্দার দাম ৩৭ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায় তখন মানুষ এটি হীরকখচিত পর্দা মনে করে না, মনে করে চলমান হরিলুটের আরেক চিত্রপট। স্বাস্থ্য অধিদফতর যেখানে ৫ হাজার ৫০০ টাকার বই ৮৫ হাজার ৫০০ টাকায় কেনে তখন রূপপুরের বালিশ কেলেঙ্কারির ভয়াবহতাকে হারই মানায় না মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাঁর অগণিত লাখো কোটি নিঃস্বার্থ ভক্তের হৃদয় ক্রন্দন করে ওঠে। এই লুটেরা চক্র আসলে কারা? মানুষের মুখে মুখে একদল লুটেরার নাম উচ্চারিত হচ্ছে একে একে। তৃণমূল থেকে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অসহায় জনগণের চোখে দুর্নীতিবাজদের উল্লাসনৃত্য চোখে পড়লেও, তাদের নাম উচ্চারিত হলেও রাষ্ট্র কেন তাদের খবর জানে না? এসব প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসে। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সরকার, জনপ্রতিনিধি, এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশন একেকটি পুঁটিমাছ ধরলেও এখন পর্যন্ত আট-দশটি রুই-কাতলা ধরতে পারেনি। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের প্রতি মানুষের আশার আলো ডুবে যায়নি। আস্থা-বিশ্বাসের জায়গা নষ্ট হয়ে যায়নি। দুদক অফিসে দু-চারটা অসৎ কর্মকর্তা দুর্নীতির বাজিকরদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধরা পড়লেও অনেক সৎ দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন। তবু কেন দুদক বড় ডাকাত ধরতে পারে না, সেই প্রশ্ন মানুষের মনজুড়ে প্রবল ঝাঁকুনি দিচ্ছে।

আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছিলেন একজন মহান জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক গণমুখী নেতা হিসেবে। সেদিনও তিনি দাম্ভিক উন্নাসিক লুটেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিটি বক্তৃতায় সততার পথে ফিরে আসার জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন। ক্ষমতার দম্ভে উন্নাসিক সেই চক্র তাতে সাড়া দেয়নি। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসঘাতক একদল রাজনৈতিক ও সামরিক খুনিচক্র পরিবার-পরিজনসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যাই করেনি বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক জায়গা থেকে বিচ্যুত করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর চরম জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আওয়ামী লীগই নেতৃত্বশূন্য হয়নি সেদিন গোটা জাতি নেতৃত্বশূন্য হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর তার শাসনামলে যত অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তা মিথ্যায় পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে কোথাও কোনো অর্থসম্পদ পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের কারামুক্ত ও নির্যাতিত নেতাদের পরিবার-পরিজনকে খেয়ে না খেয়ে মহান নেতার আদর্শ নিয়ে নতুন যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছিল। লুটেরা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তখন পরবর্তী শাসকদের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেদিন দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা নির্বাসিত কষ্টের জীবনের অবসান ঘটিয়ে দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নির্বাচিত হয়ে এক ঘোর অন্ধকার সময়ে গণতন্ত্রের বাতিঘর হয়ে তাঁর দল ও জনগণকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শে গণতন্ত্রের সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। তাঁর ৩৯ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের বর্ণাঢ্য জীবন সবার চোখের সামনে। উত্থান-পতন ঘেরা ষড়যন্ত্রের নানা আঘাত আক্রমণ মোকাবিলা করে বার বার মৃত্যুর মুখে পতিত হয়ে অলৌকিকভাবে ফিরে এসে জনগণের নিরাপদ ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো সেনাশাসকও এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির কাছে এই সত্যের ওপর তিনি এখন টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। দলে এবং জাতীয় রাজনীতিতে সময়ের বিবর্তনে আজকের বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কেবল শেখ হাসিনাই। জনগণের অগাধ ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন তাঁর প্রতি থাকলেও তাঁর দলের একটি অংশ ও শাসকদের সঙ্গে সুবিধাভোগী শ্রেণি এতটাই এসে ভিড় করেছে যে দলের আদর্শবান দুঃসময়ের পথের সাথীরা তাদের কাছে কোণঠাসা হয়ে গেছে। একসময়ের বঙ্গবন্ধুবিদ্বেষী, এককালের চরম শেখ হাসিনাবিদ্বেষী ও সেদিনের চরম আওয়ামী লীগবিদ্বেষীরা ক্ষমতা ও অর্থবিত্তের লোভলালসা থেকে বেহায়ার মতো আজ রাতারাতি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। এসব নির্লজ্জ-বেহায়া কেবল আওয়ামী লীগেই ঠাঁই নেয়নি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সব পেশায় এদের কুৎসিত মুখ দেখা যায়। আওয়ামী লীগ সরকার এদের চিহ্নিত করে না দূরে সরাচ্ছে না নিজেদের আদর্শিক নেতা-কর্মীদের নিয়ে সরকার ও দলকে শক্তিশালী করছে। অনুপ্রবেশকারীরা, নব্য সুবিধাভোগী দলকানা দলদাস যারা আজ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা বন্দনায় পরীক্ষিত আদর্শিকদের পেছনে ফেলে দিয়েছে এরা বিষধর সাপের চেয়ে ভয়ঙ্কর। এদের ’৭৫-এর পরবর্তী দুঃসময়ে পাওয়া যায়নি। এদের ২০০১ সালের পর কঠিন বিপর্যয়ে পাশে দেখা যায়নি। এমনকি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়ও এরা ছিল দোদুল্যমান। এই সুবিধাভোগী লুটেরা শক্তি আজ এতটাই বেপরোয়া যে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার ভোগ নয় ত্যাগের রাজনীতির ডাক উপেক্ষা করে দম্ভ ও দাপটের সঙ্গে উন্নাসিক আচরণে জনগণের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। সিভিল প্রশাসন থেকে পুলিশ প্রশাসনে অসংখ্য সৎ অফিসারের চেহারা যেমন মানুষের চোখের সামনে শ্রদ্ধায় ভাসে তেমনি ক্ষমতার দাপটে অনেক লুটেরার কুৎসিত মুখ মানুষের নজর কাড়ছে। এদের দমাতে না পারলে দুঃসময় এলে পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হয়ে যাবে। অতীতের রাজনৈতিক শিক্ষা সেই অভিজ্ঞতার কথাই বলে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, তাঁর পরিবার বলতে তিনি ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানরা। অতীতের শাসকদের সন্তানদের ভয়াবহ বাড়াবাড়ির জন্য, অপকর্মের জন্য সেই দলের লাখো নেতা-কর্মী চরম মাশুল গুনছেন। এ দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে গণরায় নিয়ে বার বার ক্ষমতায় আসা বেগম খালেদা জিয়াও অসুস্থ শরীর নিয়ে কারাজীবন ভোগ করছেন। তাঁদের শাসনামলে দলের নেতারা বাদ দিলেও সেদিনের বিরোধী দলও এই করুণ পরিণতি চিন্তা করতে পারেনি। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা আটপৌরে সাদামাটা জীবনযাপনে যেমন অভ্যস্ত তেমনি তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা জাতির জনকের কন্যা হয়েও জীবন-জীবিকার সঙ্গে কঠিন যুদ্ধ করে সন্তানদের মানুষ করেছেন। শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় পাস একজন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা হয়ে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটিয়েছেন। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকার পূরণে তাঁর নেপথ্য পরামর্শ ও ভূমিকা অনন্যসাধারণ। কিন্তু বদনাম তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁকে ঘিরে কোনো সিন্ডিকেট দৃশ্যমান হয়নি। তাঁকে কোথাও যেমন যেতে দেখা যায় না তেমনি কোথাও টেলিফোন করেছেন এমন খবরও পাওয়া যায় না। পশ্চিমা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজের অবদান বহির্বিশ্বে সুনামের সঙ্গে ছড়িয়েছেন। দেশের অভ্যন্তরে তাঁকে ঘিরেও কোথাও কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যের নামনিশানা মেলে না। প্রভাব খাটাতে দেখা যায় না। মানবতার সেবায় নিবেদিত পুতুলকেও ক্লিন ইমেজ নিয়ে কাজ করার পথে রেখেছেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাকন্যা রেজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ উচ্চশিক্ষা নিয়ে ব্রিটেনের মূলধারার রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে জনরায় নিয়ে পার্লামেন্টে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখছেন। এটা শুধু বঙ্গবন্ধু পরিবার নয়, দেশের জন্যও গৌরবের। শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি সেই মেধাবী উচ্চশিক্ষিত সন্তান, বঙ্গবন্ধুর পর যার সাক্ষাৎকার প্রখ্যাত সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট আলজাজিরায় নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনিও দেশের জন্য এবং দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে নিভৃতে। কলঙ্ক তাঁকেও স্পর্শ করতে পারেনি। এমনকি ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসেরপুত্র শেখ হেলাল ও তাঁর পুত্র এবং আরেক ভাই জনপ্রিয়তা নিয়ে সংসদে এলেও বাজারে তাঁদের নিয়ে কোনো দুর্নাম নেই। তাঁদের ঘিরে নেই কোনো বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট। এমনকি ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নিহত যুবসমাজের নয়নের মণি ষাটের ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুজিব বাহিনীর অন্যতম প্রধান শেখ ফজলুল হক মণির সন্তান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সংসদে এলেও সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন পেশার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে। প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান শেখ ফজলুল করিম সেলিম যেমন ক্ষমতায় নেই তেমনি তাঁর পুত্র শেখ ফজলে নূর ফাহিম ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি হলেও কোথাও কোনো দুর্নাম নেই। প্রশ্ন এখানেই থেকে যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার সন্তানরা যেখানে মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য ক্লিন ইমেজ নিয়ে ভূমিকা রাখছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা যেখানে কোনো বিতর্কে নেই তাহলে দেশের এই চলমান উন্নয়নের স্বর্ণযুগে লুটেরা নির্লজ্জ বেহায়াদের নাম মানুষের মুখে মুখে থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না? এটি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন।

মাদারীপুরের ফেরি বিলম্বে ছাড়ার কারণে তিতাস নামের যে শিশুটি অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে পার হতে পারেনি, সময়মতো চিকিৎসা নিতে না পারায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে তার মায়ের ক্রন্দন এখনো থামেনি। যে তদন্ত কমিটি হয়েছে সেখানে যে যুগ্মসচিবের জন্য ফেরি বিলম্বে ছাড়া হলো আমলাদের কমিটি তাকে মুক্তি দিয়ে নিরীহ গরিব কর্মচারীদের অভিযুক্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা দরকার। মানুষ জনপ্রতিনিধিদের বিপদে-আপদে পাশে যেমন পায় তেমনি সেসব রাজনীতিবিদের সমালোচনায় সহজে মুখর থাকে। তাদের পাওয়া সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রশ্নও তোলে। কিন্তু আমলারা বা পুলিশের কর্মকর্তা থেকে সরকারি কর্মচারীরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন অতীতে কোনো সরকারের আমলে এমনটি তাদের ভাগ্যে জোটেনি। কিন্তু যতগুলো বড় বড় প্রকল্প বা বিভিন্ন ঘটনায় দুর্নীতির বীভৎস চিত্র বেরিয়ে আসছে সেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের নীতি থেকে চোখ বন্ধ করে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় চলে যাচ্ছে।

বার বার শেয়ারবাজার লুট হয়েছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে এসেছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তেমনি পাহারাদারদেরও স্পর্শ করা যায়নি। সর্বশেষ শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা কারা লুট করে নিয়ে গেল সে হিসাব মানুষ জানলই না। বিদেশে টাকা পাচার এ পর্যন্ত ১০ বছরে বিভিন্ন রিপোর্টে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রতি বছর ৭০ থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। যার বেশির ভাগ অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ যা দেশে রাখা নিরাপদ নয় ভেবে এই পাচার ঘটে। আরেকটি অংশ বিনিয়োগে নিরাপত্তাহীনতার কারণে পাচার হচ্ছে। শেষ দুই অর্থবছরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের যদি সর্বাত্মক সরকারি সহযোগিতা ও প্রণোদনা দেওয়া না যায় তাহলে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার যেমন ঘটবে না তেমনি বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রটা সংকুচিত হয়ে যাবে। দেশের বড় বড় বিনিয়োগকারী যখন সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন তখন তাদের হাত ধরে দেশি বিনিয়োগই নয়, বিদেশি বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে। যতই বলা হোক, গ্যাস-বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নেই কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় আদৌ কি শিল্পকারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে? কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুমতির জন্য ভারতে যেখানে ৭ থেকে ১৪ কর্মদিবসে অনুমতি মেলে, আবেদন করার পর কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীকে টেলিফোন করে অনুমতি দান করে সেখানে জাতিসংঘের শিল্প-বাণিজ্য সংস্থার রিপোর্টে আমাদের দেশের ৩৩ কর্মদিবসেও হয় না। ’৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েই শেখ হাসিনা বলেছিলেন তার সরকারের কূটনীতি হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি। তিনি যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে বিস্ময়কর জায়গায় নিয়ে এসেছেন তখন প্রশ্ন থেকে যায় অর্থনৈতিক কূটনীতিতে আমাদের বিদেশের মিশনগুলো কী করছে?

দেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ চলছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে, একের পর এক মেগা প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে শেষ হচ্ছে সেখানে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে পারলে বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় প্রবৃদ্ধি এখনই আরও ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই তাঁর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে হলেও অর্থ পাচারকারী ও লুটেরাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। দুর্নীতি ও অর্থ পাচার এ দুটো রুখতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্নের বাংলাদেশ শেখ হাসিনা উপহার দিতে চান তা যেমন দিতে পারবেন তেমনি প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের দিয়ে দলকে শক্তিশালী করলে তার রাজনৈতিক অর্জনও সুসংহত হবে। একই সঙ্গে সুশাসন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পরিবেশ নিশ্চিত এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি এক কথায় বললেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংকিং খাত ও কাস্টমসের গোয়েন্দা বিভাগ সমন্বিত উদ্যোগ নিলেই বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করা যাবে। দুর্নীতির লাগাম টেনে বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধে সফল হলে দেশ-উন্নয়নের স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। আমাদের সবিনয় নিবেদন, দলের নেতা-কর্মী, এমপি-মন্ত্রী এমনকি সুবিধাভোগী লুটেরাদের অর্থসম্পদ যা গত ১০ বছরে ব্যাপকভাবে অবৈধভাবে বেড়েছে তার তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এলে সুফল পাওয়া যাবে। দুর্নীতি রোধ ও বিদেশে অর্থ পাচার রুখতে এবং ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা, শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে পারলে দেশকে উন্নয়নের যে মহাসড়কে তুলেছেন তা-ই তাঁকে ইতিহাসে অমরত্ব দেবে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
বিছনাকান্দির দুঃখ
বিছনাকান্দির দুঃখ
গণপরিবহনে নৈরাজ্য
গণপরিবহনে নৈরাজ্য
বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন
বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড স্মৃতি ও শিক্ষা
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড স্মৃতি ও শিক্ষা
এনজিও-সহায়ক নীতিমালা দরকার
এনজিও-সহায়ক নীতিমালা দরকার
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ
অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ
বিনিয়োগে মন্দা
বিনিয়োগে মন্দা
অস্তিত্বসংকটে শুঁটকিশিল্প
অস্তিত্বসংকটে শুঁটকিশিল্প
দরুদ পাঠে সুরভিত জীবন
দরুদ পাঠে সুরভিত জীবন
আহা গ্রিন ক্লিন হেলদি সিটি!
আহা গ্রিন ক্লিন হেলদি সিটি!
আড়াই হাজার বছর আগের মাছচাষি
আড়াই হাজার বছর আগের মাছচাষি
সর্বশেষ খবর
চলন্ত অবস্থায় বগি বিচ্ছিন্ন, ফেলেই ২ কিলোমিটার গেল ট্রেন
চলন্ত অবস্থায় বগি বিচ্ছিন্ন, ফেলেই ২ কিলোমিটার গেল ট্রেন

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘চার হারের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বাজে’
‘চার হারের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বাজে’

৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে দুই বাসের চাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যু, সড়ক অবরোধ
কক্সবাজারে দুই বাসের চাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যু, সড়ক অবরোধ

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ওমরাহ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ওমরাহ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হাকিমির জোড়া গোলে পিএসজির দারুণ জয়
হাকিমির জোড়া গোলে পিএসজির দারুণ জয়

২১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যে কারণে কানাডার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের
যে কারণে কানাডার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত কমলা হ্যারিসের
আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত কমলা হ্যারিসের

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’, যুবক আটক
নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’, যুবক আটক

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

চানখারপুলে ছয় হত্যা, হাবিবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আজ ১২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ
চানখারপুলে ছয় হত্যা, হাবিবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আজ ১২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

৪৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

এইচএসসিতে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন সোয়া ২ লাখ পরীক্ষার্থীর
এইচএসসিতে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন সোয়া ২ লাখ পরীক্ষার্থীর

৪৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত
যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা, অপরিবর্তিত তাপমাত্রা
ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা, অপরিবর্তিত তাপমাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তিন দাবিতে ডাকসুর বিক্ষোভ ও রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও আজ
তিন দাবিতে ডাকসুর বিক্ষোভ ও রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও আজ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাবনায় ট্রাকচাপায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
পাবনায় ট্রাকচাপায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাংবাদিকতায় এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে টিএমজিবি ও গিগাবাইটের কমর্শালা
সাংবাদিকতায় এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে টিএমজিবি ও গিগাবাইটের কমর্শালা

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিমান দুর্ঘটনার পর ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পেয়েছে হংকং
বিমান দুর্ঘটনার পর ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পেয়েছে হংকং

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় যেসব কর্মসূচি থাকবে আজ
ঢাকায় যেসব কর্মসূচি থাকবে আজ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রবিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
রবিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আসিয়ান সম্মেলনে ট্রাম্প, প্রত্যাশা কি?
আসিয়ান সম্মেলনে ট্রাম্প, প্রত্যাশা কি?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশের শ্রমবাজারে অশনিসংকেত
বিদেশের শ্রমবাজারে অশনিসংকেত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে দামে কেনা যাবে এক ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে এক ভরি স্বর্ণ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন
বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৬ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৬ অক্টোবর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্লিকের যুগে প্রিন্ট মিডিয়ার টিকে থাকার লড়াই
ক্লিকের যুগে প্রিন্ট মিডিয়ার টিকে থাকার লড়াই

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সন্তানের শিক্ষায় পিতা-মাতার আমানতদারি
সন্তানের শিক্ষায় পিতা-মাতার আমানতদারি

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হারামের বিকল্প যে হালাল
হারামের বিকল্প যে হালাল

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

দাসত্ব থেকে মর্যাদার মসনদে অধিষ্ঠিত সাহাবি
দাসত্ব থেকে মর্যাদার মসনদে অধিষ্ঠিত সাহাবি

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সর্বাধিক পঠিত
সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে : সালমানের সহকারী
সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে : সালমানের সহকারী

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ
আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রকাশ্যে চিত্রনায়িকা নিপুণ
প্রকাশ্যে চিত্রনায়িকা নিপুণ

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ
মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে : তথ্য উপদেষ্টা
সংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে : তথ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান ফখরুলের
গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান ফখরুলের

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সরিষার তেলের যত গুণ
সরিষার তেলের যত গুণ

২২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব
বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে : সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভালুকায় বিএনপির আনন্দ মিছিল
ভালুকায় বিএনপির আনন্দ মিছিল

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’
যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ইসলামোফোবিয়ার’ বিরুদ্ধে দাঁড়াতে নিজের মুসলিম পরিচয়ে দৃঢ় অবস্থান মামদানির
‘ইসলামোফোবিয়ার’ বিরুদ্ধে দাঁড়াতে নিজের মুসলিম পরিচয়ে দৃঢ় অবস্থান মামদানির

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেন-জিরা হাসিনার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর
জেন-জিরা হাসিনার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে, বৃষ্টির আভাস
লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে, বৃষ্টির আভাস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাপলা পেলে নির্বাচন, না পেলে নয়— এটি ‘চাপ সৃষ্টির রাজনীতি’
শাপলা পেলে নির্বাচন, না পেলে নয়— এটি ‘চাপ সৃষ্টির রাজনীতি’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিয়ে করতে যাওয়া বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
বিয়ে করতে যাওয়া বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেসবুক পোস্টে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, পূর্ণিমা জানালেন সত্যিটা কী
ফেসবুক পোস্টে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, পূর্ণিমা জানালেন সত্যিটা কী

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান হিসেবে স্টিভ ফ্যাগিনকে নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের
গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান হিসেবে স্টিভ ফ্যাগিনকে নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে দিতে হবে কাশি, বারবার কাশতে গিয়ে ধরা পড়লেন পরীক্ষার্থী
প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে দিতে হবে কাশি, বারবার কাশতে গিয়ে ধরা পড়লেন পরীক্ষার্থী

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ
প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে টহল দিচ্ছে মার্কিন ড্রোন
যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে টহল দিচ্ছে মার্কিন ড্রোন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হামাস
টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হামাস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৭ কর্মী আটক
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৭ কর্মী আটক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্ষণের অভিযোগ করে ভারতে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা, চার পৃষ্ঠার চিঠি
ধর্ষণের অভিযোগ করে ভারতে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা, চার পৃষ্ঠার চিঠি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাইপ বোরিং করতে গিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস, রান্না করছেন অনেকে
পাইপ বোরিং করতে গিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস, রান্না করছেন অনেকে

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি কমাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি কমাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
একটি ফোন কলের অপেক্ষা
একটি ফোন কলের অপেক্ষা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান
বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান

নগর জীবন

মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন
মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন

প্রথম পৃষ্ঠা

অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!
অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!

পেছনের পৃষ্ঠা

তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর
তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর

মাঠে ময়দানে

নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দূরত্ব ও সময় মেপে টাকা নেয় সিন্ডিকেট
দূরত্ব ও সময় মেপে টাকা নেয় সিন্ডিকেট

প্রথম পৃষ্ঠা

বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা
বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু
একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু

শোবিজ

তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা
তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ফুরফুরে মেজাজে বুবলী
ফুরফুরে মেজাজে বুবলী

শোবিজ

বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ
বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ

শোবিজ

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক মেয়রসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক মেয়রসহ চারজন

নগর জীবন

নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়
নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের
জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের

মাঠে ময়দানে

অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি
অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি

শোবিজ

এক মঞ্চে জাতীয় নেতারা
এক মঞ্চে জাতীয় নেতারা

প্রথম পৃষ্ঠা

অনুশীলনে টাইগাররা
অনুশীলনে টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ
নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ

মাঠে ময়দানে

অ্যালানার ৭ উইকেট
অ্যালানার ৭ উইকেট

মাঠে ময়দানে

ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি
ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি

মাঠে ময়দানে

খেলল কিংস জিতল আল সিব
খেলল কিংস জিতল আল সিব

মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আসছেন আজ
পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আসছেন আজ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিরতিতে জাহ্নবী
বিরতিতে জাহ্নবী

শোবিজ

সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য
সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য

দেশগ্রাম

জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে
জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে

দেশগ্রাম

অবৈধভাবে টিকিট কেনায় জরিমানা সাত যাত্রীর
অবৈধভাবে টিকিট কেনায় জরিমানা সাত যাত্রীর

দেশগ্রাম

সীমান্তে ভারতীয় পণ্য জব্দ
সীমান্তে ভারতীয় পণ্য জব্দ

দেশগ্রাম

গলার কাঁটা স্লুইসগেট
গলার কাঁটা স্লুইসগেট

দেশগ্রাম