শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৯

বিভীষণ ও কাউয়াদের সামাল দিন

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু
প্রিন্ট ভার্সন
বিভীষণ ও কাউয়াদের সামাল দিন

রামায়ণের অন্যতম চরিত্র রাবণ। রাবণের ছোট দুই ভাই বিভীষণ ও কুম্ভকর্ণ। রাবণের সীতাহরণ মেনে নিতে না পারলেও পরিবারকে সমর্থন দিয়েছিলেন কুম্ভকর্ণ। বিভীষণ কিন্তু তা করেননি। পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। শাস্ত্র থেকে যতটুকু পাওয়া যায় তাতে সত্যের পক্ষে ছিলেন বিভীষণ, ছিলেন ধর্মের পক্ষেও। কিন্তু আপন পরিবারের সঙ্গে শত্রুতা করায় ইতিহাস তার পদবি নির্ধারণ করে ‘বিশ্বাসঘাতক’। তৈরি হয় তিন শব্দের ঘৃণ্যতম বাগধারা- ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’। বাংলাদেশে ঘরের শত্রু বিভীষণের বহুল প্রচলন শুরু হয় ’৭৫-এর আগস্ট। বঙ্গবন্ধু যাদের আগলে রাখলেন, বিশ্বাস করলেন; সেই তারাই স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে বিরোধী পক্ষ হয়ে ষড়যন্ত্র করলেন। ফলে এলো ১৫ আগস্ট। জন্মদাতাকে অস্বীকার করে কোনো মানুষের পরিচয় দেওয়া যদি অর্থহীনতা হয়, তবে ‘বাংলাদেশি’ পরিচয় নিয়ে রাষ্ট্রের ভালোমন্দের পাশে না থেকে ষড়যন্ত্র করাও এক ধরনের অর্বাচীনতা ও অপরাধ। কেন এই কথা- সেই ব্যাখ্যায় পরে আসব, আপাতত প্রাসঙ্গিকতার স্বার্থে ‘ডেঙ্গু’ ক্রাইসিস নিয়ে দুটো কথা বলতে চাই।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৩২ ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসাব বাদ দিলে এ সংখ্যা যে আরও বেশি হবে, তাতে বোধহয় কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। এই মৃত্যু কি প্রাকৃতিক? অনিবার্য ছিল? এডিস মশা কি প্রতিরোধযোগ্য ছিল না? ডেঙ্গুর উত্থান তো ২০০০-এ, অর্থাৎ দুই দশক আগে (স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, ওই বছরই ৯৩ জন নিহত হয়েছেন)। কিন্তু হঠাৎ করেই তা আবার জেঁকে বসল কী করে?

এডিস মশা দমনে কী করলেন ক্লিন ঢাকার স্বপ্ন দেখানো আতিকুল ইসলাম-সাঈদ খোকন ও তার কাউন্সিলরসহ দলবলরা? ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য বছরজুড়ে যে কাজটি করতে হয়, তা হলো- মশা মারার ব্যবস্থা করা, জঞ্জাল সাফাই করা, যেখানে সেখানে পানি জমতে না দেওয়া। মোটা দাগে এই তিনটি কাজ করার কথা ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। সারা বছর এই সেবামূলক কার্যক্রম চলতে থাকে কিন্তু কী হলো! নগর পিতা পরিচয়ে রাজধানী দাপিয়ে বেড়ানো দুই মেয়রকে যুক্তরাজ্য থেকে নির্দেশ দিতে হলো প্রধানমন্ত্রীকে। বলা হলো, কার্যকর ওষুধ আমদানি এবং তা ছিটাতে। তাহলে কি আমরা প্রশ্ন তুলতে পারি, অকার্যকর ওষুধ ছিটিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল? যে কারণে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। তা ছাড়া আতিক-খোকন চাইলেও কি এতগুলো মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন? সিনেমার ও নাটকের নায়ক-নায়িকাদের সঙ্গে হাতে ঝাড়ু নিয়ে চকচকে-ঝকঝকে পরিষ্কার রাস্তায় ছবির পোজ দিয়ে তারা কি নিজেদের ইমেজ খাটো করলেন না? উপহাস ও হাসির খোরাক হলেন না?

সাধারণের ধারণা বা প্রশ্ন এটাও ওঠে, দুজনের একজনকে পিতার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দক্ষিণের মেয়র বানানো হয়েছে। অথচ এই সেদিনই তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিকে অস্বীকার করে ওয়ান-ইলেভেনে (২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি) সুযোগসন্ধানীদের গড়া ‘কিংস পার্টি’তে যোগ দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে অনেক আজে-বাজে কথাও বলেছিলেন। নিজ নেত্রীকে মাইনাস করে নিজেরা হিরো হতে চেয়েছিলেন। তার (সাঈদ খোকন) তো নৈতিক চরিত্রের পরিচয় তখনই পাওয়া গেছে। তাহলে কি তিনি পিতার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদ পাওয়ার যোগ্য? প্রশ্ন থেকে যায়।

অন্যদিকে উত্তরের এক ব্যবসায়ীর কাঁধে নৌকা তুলে দেওয়া হলো। বঞ্চিত হলেন অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মী। যারা লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন, নির্যাতন ভোগ করেছেন, জেল খেটেছেন; এমনকি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তার কন্যার জন্য জীবনও বাজি ধরেছেন। অথচ যার কাঁধে নৌকা দেওয়া হলো, তিনি প্রকাশ্যেই স্বীকার করলেন- তিনি ‘অনভিজ্ঞ’। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের সংস্পর্শহীন তো বটেই, মেয়র হিসেবেও দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা ও যোগ্য প্রশাসকের ঘাটতি তার মধ্যে রয়েছে। হয়তো শক্তিধর কোনো ব্যবসায়ী লবি আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রয়োজনে তাকেই প্রয়োজন বিবেচনা করে ব্যবসায়িক রাজনীতির হিসাব-নিকাশে দলীয় স্বার্থে তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে থাকতে পারেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার কৌশলী ও বাস্তবমুখী রাজনীতি বিবেচনায় এ দুটো সিদ্ধান্তই তার উদার মনের পরিচায়ক। সংকটকালে এদের দুজনের দায়িত্ব নেত্রী নিজের কাঁধেই নিয়েছেন। তবে আমার শঙ্কা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে শানিত করে নীতি ও নৈতিকতার সঙ্গে নগর পরিচালনায় সাফল্যের স্বীকৃতি কি এরা পাবেন?

দুই. আজ আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ কর্তৃক পৃথিবীর দ্বিতীয় ফেবারিট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃত। শিশু স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে সম্মানজনক ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পিতা মুজিবের স্বপ্ন ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পথের অনেকটাই পাড়ি দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী ব্যবসায়িক সাময়িকী ফোর্বস ইতিমধ্যে তাকে বিশ্বের ২৬তম ক্ষমতাধর নারী হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্থান করে নিয়েছেন ‘দ্য ফরেন পলিসি’ প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদের তালিকায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের অন্যতম নেত্রী ও পথপ্রদর্শক। সেজন্যই ভারত ও পাকিস্তান তার কাছ থেকে উন্নয়নের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব শিখতে চায়। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধীও সম্প্রতি বলেছেন, শেখ হাসিনা আমার পথপ্রদর্শক এবং উন্নয়নের রাজনীতির জন্য প্রেরণার উৎস। শুধু প্রিয়াংকা গান্ধীর নয়, আমাদের নেত্রীকে বিশ্ব নেতৃত্বের মোড়লরাও ইতিমধ্যে বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আজ বিশ^ নেতৃত্বে শেখ হাসিনা, বিশ্ব নেতৃত্বে বাংলাদেশ। এটা আমাদের গর্ব, বাঙালি জাতির গর্ব, মুজিব অনুসারীদের গর্ব। শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনা নয়, দল আওয়ামী লীগও এখন অনন্য উচ্চতায়। কমাস আগেই সাত দশকে পা দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের এই সময়ে দেশ উঠেছে উন্নয়নের মহাসড়কে, পৌঁছেছে স্বল্পোন্নয়ন থেকে উন্নয়নশীলে। সংক্ষিপ্তভাবে বলতে গেলে ক্ষমতাকালীন শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল- ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। কৃষকের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করার পদক্ষেপেও তিনি পিছিয়ে ছিলেন না। আইনি যুদ্ধের মাধ্যমে সমুদ্র বিজয় ও শান্তিপূর্ণভাবে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ক্যান্সার নির্মূল অর্থাৎ সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে নিজ ভূমি উদ্ধারও তার অনবদ্য অর্জন।

বঙ্গবন্ধুকন্যার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণ-পরবর্তী বাংলাদেশের চিত্রটি ছিল আরও উজ্জ্বল। এই সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকের জন্য কৃষি কার্ড ও ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা, বিনা জামানতে বর্গাচাষিদের ঋণ প্রদান, চিকিৎসাসেবার জন্য সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৩৮ দশমিক ৪ থেকে ২০১৩-১৪ বছরে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে হ্রাস, জাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনার শান্তির মডেল গ্রহণ ইত্যাদি। তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা আওয়ামী সরকারকে তো স্বচক্ষেই দেখছি। ঘোষিত হয়েছে ইতিহাসসেরা ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট। পদ্মা সেতুর কাজে অনেক অগ্রগ্রতি হয়েছে, রাজধানীজুড়ে চলছে মেট্রোরেল নির্মাণকাজের দুর্বার গতি। কদিন আগেই অর্থনীতির ‘লাইফ-লাইন’ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উপহারের এই তালিকা দিন দিন বাড়ছে। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নকামী দেশগুলোর দুটো জিনিসের বড় অভাব। এক. সৎ ও সততার চর্চাকারী সাহসী রাজনীতিবিদ। দুই. উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। জননী সাহসিকা সুফিয়া কামাল আশাবাদ করে বলেছিলেন, ‘পরম প্রত্যাশায় আছি, শেখ হাসিনা মৃত্যুর ভয়ে পশ্চাৎপদ হননি। সাহসের সঙ্গে সংগ্রামে এগিয়ে অগ্রবর্তিনী হয়ে আমাদের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন আর ঘাতক মূষিক গোপন থেকে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পদদলিত হওয়ার আশঙ্কায় কৃমিকীট হয়ে আত্মগোপন করেছে।’ সম্ভবত এ কারণেই সর্বনাশা পদ্মায় সাহসী স্বপ্নযাত্রার রোডম্যাপ (পদ্মা সেতু) এঁকেছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পর বিশাল এ প্রকল্প হাতে নেওয়ার ঘটনায় অনেক দেশ ও সংস্থা এবং সরকারের মধ্যেও কোনো কোনো নীতিনির্ধারক সন্দেহ ও বিস্ময় প্রকাশ করলেও সে স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান। সর্বশেষ তথ্যমতে, ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুর কাজ ইতিমধ্যেই ৮১ শতাংশ শেষ হয়েছে (প্রথম আলো, ৭ জুলাই, ২০১৯)। শুধু পদ্মা সেতু নয়, বড় বড় প্রকল্প নিয়ে তার (শেখ হাসিনা) সাহসী সিদ্ধান্তগুলোও বেশ প্রশংসার দাবিদার। এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে বাংলাদেশ। গত বছরের ৩০ নভেম্বরের পর থেকে দেশ এখন বিশ্বের ৩১টি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের তালিকায়। রয়েছে মহাকাশজয়ের মতো বিশাল অর্জন। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ উপগ্রহ সফলভাবে মহাকাশে যাওয়ায় বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হয়েছে বাংলাদেশ; যার সফল বাণিজ্যিকীকরণও কয়েক দিন আগে শুরু হয়েছে। গড় আয়ু হয়েছে ৭১ বছর। এসব আমাদের স্বস্তির জায়গা, আশাজাগানিয়ার গল্প।

তিন. টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় শেখ হাসিনার নৌকা। স্বভাবতই সেই নৌকায় শুভাকাক্সক্ষীর ভিড় বেশি। বেশি বললে ভুল হবে, বরং এতটাই যে নড়াচড়ার জো নেই। এ কথাটাই বেশ গুছিয়ে বলে থাকেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার ভাষায়Ñ ‘প্রতিবারই ক্ষমতার আসার সঙ্গে সঙ্গে দলে কিছু “কাউয়া” ঢোকে। ওরা ’৭১-এ ছিল, ’৭৫-এ ছিল।’ আমি বলি, ২০১৯-এও আছে। প্রচার লীগ, তরুণ লীগ, কর্মজীবী লীগ, ডিজিটাল লীগ; আছে হাইব্রিড লীগও। দলের নামে ‘লীগ’ না থাকলেও যে নৌকায় ঠাঁই হয়নি, এমন নয়। শুধু ঠাঁই নয়, বড় বড় পদও পেয়েছেন অনেকে।  এরা ঘটনাক্রমে অনুপ্রবেশকারী নয়, সচেতনভাবে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। স্মরণ রাখতে হবে যে, খুনি জিয়া মাথা নত করে দরখাস্ত দাখিলপূর্বক বঙ্গবন্ধু-ঘোষিত বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তিনি মোশতাকের খুনি চক্রের সক্রিয় সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সিক্ত দেশপ্রেমিক দলসমূহের রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজনে জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ঐক্যজোট গঠন করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল মহৎ। জাতির কল্যাণে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা। এটা কোনো দুর্বলতা ছিল না। এই ঐক্যজোটে যোগ দিয়ে জনপ্রিয় আওয়ামী লীগের সহায়তায় অনেক দলীয় প্রধান মন্ত্রিত্বইও পেয়েছেন। যাদের একজন কিনা কোনো কারণ ছাড়াই অযথা ক্ষমতায় থাকাকালীনই (৮ নভেম্বর, ২০১৭) হুমকি দিয়ে বসলেন, ‘আমরা (জাসদ) না থাকলে আওয়ামী লীগকে রাস্তায় ফ্যা ফ্যা করে ঘুরতে হবে; হাজার বছরেও ক্ষমতার মুখ দেখবেন না।’ আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা এক টাকার মালিক নন, ৮০ পয়সার মালিক। এরশাদ, ইনু, দিলীপ বড়ুয়া ও মেননকে নিয়েই আওয়ামী লীগের এক টাকা হয়েছে।’ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে জয়ের পরও সরকারি দল-বিরোধী দল প্রশ্নে নানা বিব্রতকর বক্তব্য এসেছে তার মুখ থেকে। তারা তো আছেন, কিন্তু মন্ত্রিত্ব পাননি, তবে নৌকায় পা দিয়ে সংসদে এসেছেন ঠিকই। এসেছেন তাদের নতুন সতীর্থরাও।

অথচ ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮-এর পর আরেক ডিসেম্বর না আসতেই সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন তারা। প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্র্ত অংশগ্রহণে আওয়ামী লীগ ও সহযোগীরা নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছেন। কিন্তু এরা বিএনপি-জামায়াতের চেয়েও জোর গলায় নির্বাচনকে কলঙ্কজনক আখ্যায়িত করে এর দায়ভার আওয়ামী লীগকে নিতে হবে মর্মে হুঙ্কার দিচ্ছেন। তাদের পার্টি ফোরামেও চলছে সরকারের সমালোচনার ঝড়। পত্রিকায় দেখলাম, একজন পার্টিপ্রধান অত্যন্ত রূঢ় ভাষায় সরকার পরিচালনায় চরম দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে জননেত্রীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। এই লক্ষণ সুখকর নয়। মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য জাতি অবশ্যই তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে বা করবে; কিন্তু সাময়িক ক্রাইসিসের মুহূর্তে মূল দল আওয়ামী লীগের দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে ‘শাসিয়ে কথা বলা’ কি এটাই প্রমাণ করে না যে, তারা আওয়ামী লীগকে প্রকারান্তরে হুমকি দিচ্ছেন? আমার তো তাই মনে হয়। তাই আমি শঙ্কিত হই। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা অনেক পীড়াদায়ক। ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পটভূমি কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, কারা সৃষ্টি করেছিল তা আমাদের অজানা নয়। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলাম। সারা দেশ ছিল অস্থির। কোথাও রেললাইন পুড়িয়ে দেওয়া হয়, কোথাও পাটের গুদামে আগুন ধরানো হয়, থানা হামলা করে অস্ত্র লুট করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসা ঘেরাও করে সন্ত্রাস সৃষ্টি শুধু নয়, গুলিও চালানো হয়েছিল, ফলে কয়েকজন হতাহতের ঘটনাও ঘটেছিল। বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে অপহরণের চেষ্টা করে সদ্যস্বাধীন দেশকে অকার্যকর দেশ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা হয়েছিল। কৃত্রিম খাদ্য সংকটকালে খাদ্যভর্তি দুটি জাহাজ দেশে আসার পথে মাদ্রাজ উপকূলে সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ‘উদ্ভট সমাজতন্ত্রে’র ধারণা দিয়ে গণবাহিনী সৃষ্টি করে শত শত মুজিবাবাদী ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা করা হয়। সদ্যস্বাধীন প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশে সিরাজ সিকদারকে সহায়তা করে দিনের পর দিন হরতালের ডাক দেওয়া হতো। জনগণের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হতো। এসব তো আমরা ভুলে যাইনি। ১৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ঘটনাগুলো এবং ৩ নভেম্বরের ঘটনা পর্যালোচনা করলে তাদের আজকের এ অবস্থান নিশ্চয়ই আমাদের দারুণভাবে শঙ্কিত করে তোলে। বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াকে নির্ঘাত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে তথাকথিত সিপাহি জনতার উচ্ছ্বসিত মিছিলে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তা জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে এবং আমরা ভুলিনি। আমার মনে হয়, এভাবেই বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডকে শুধু উপেক্ষা নয়, অবজ্ঞাও করা হয়েছে। সন্দেহ এখানেই।

জীবদ্দশায় এই সুখ-পাখিদেরই ‘হঠকারী দল’ আখ্যা দিয়ে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান নেতা প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ। কিন্তু জাসদের নেতা-কর্মীরা এ সফল মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছিল। এদের একজনকে আবার মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়েছে, যার প্রায়শ্চিত্ত আওয়ামী লীগকে আজীবন করতে হবে।’ (বিডিনিউজ, ১৩ জুন, ২০১৬)। সৈয়দ আশরাফ চলে গেছেন গত ৩ জানুয়ারি। অথচ বছর না ঘুরতেই তার বলে যাওয়া সেই প্রায়শ্চিত্ত শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীেেগর এই সহযোগীদের উল্টো সুর তো এটাই প্রমাণ করে। হ্যাঁ, বলতে পারেন তারা গঠনমূলক সমালোচনা করছেন বা সতর্ক করছেন; কিন্তু আমার অতীত অভিজ্ঞতা তো আমার মনে হতাশারই জন্ম দেয়। শঙ্কা এখানেই।

জীবনের কোনো পর্যায়ে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ না করেও অনেকে ব্যবসায়ী থেকে আওয়ামী লীগের নমিনেশনে এমপি হয়েছেন, এসেছেন হাওয়া ভবনের সদস্যরাও। সাম্প্রতিক জননেত্রী শেখ হাসিনার অভিযানে এর অনেকটাই খোলাসা হয়েছে ইতিমধ্যে। উচ্চৈঃস্বরে অনেক কথা বলা হলেও থেমে নেই যুদ্ধাপরাধী বা তাদের উত্তরসূরি ও আওয়ামীবিদ্বেষী বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের দলের বিভিন্ন পর্যায়ে স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান। জেলা থেকে কেন্দ্র পর্যায়ে এদের দলে যোগদান অব্যাহত রয়েছে। শুধু বিএনপি-জামায়াত থেকে নয়, যুদ্ধাপরাধীর সন্তান বা তাদের উত্তরসূরিরাও মহাসুখে দলে দলে যোগ দিচ্ছে আওয়ামী লীগে। এ যোগদানে সহায়তা করছেন ক্ষমতাসীনরাই। নেত্রীর কোনো হুঁশিয়ারির প্রতি তারা ভ্রুক্ষেপ করছেন না। ওবায়দুল কাদেরের (কাউয়া) বা কাক সম্ভবত এরাই।

লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক দুদক কমিশনার।

এই বিভাগের আরও খবর
ভাঁড়ারে টান, সঞ্চয়ে হাত
ভাঁড়ারে টান, সঞ্চয়ে হাত
উত্তাল রাজনীতি
উত্তাল রাজনীতি
খেলনাও শিক্ষক
খেলনাও শিক্ষক
উম্মতে মোহাম্মদীর চারিত্রিক মাধুর্য
উম্মতে মোহাম্মদীর চারিত্রিক মাধুর্য
‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’
‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’
বর্জ্য থেকেই শক্তি ও সম্পদ
বর্জ্য থেকেই শক্তি ও সম্পদ
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
গাজায় ফের তাণ্ডব
গাজায় ফের তাণ্ডব
নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্ব
নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্ব
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক অশনিসংকেত
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক অশনিসংকেত
জাতীয় নিরাপত্তায় এনটিএমসি
জাতীয় নিরাপত্তায় এনটিএমসি
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন মানবে না জনগণ : মামুনুল হক
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন মানবে না জনগণ : মামুনুল হক

এই মাত্র | রাজনীতি

বৈরি আবহাওয়ায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি
বৈরি আবহাওয়ায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি

৫ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

গাজীপুরে নদীপথে ব্যারিস্টার ইশরাক সিদ্দিকীর শোভাযাত্রা ও গণসংযোগ
গাজীপুরে নদীপথে ব্যারিস্টার ইশরাক সিদ্দিকীর শোভাযাত্রা ও গণসংযোগ

৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা চালু করছে পর্তুগাল
দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা চালু করছে পর্তুগাল

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা
চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একটি দল সুকৌশলে নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে : দুলু
একটি দল সুকৌশলে নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে : দুলু

২২ মিনিট আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য আটক
কুড়িগ্রামে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য আটক

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে ৩৯ দফা দাবিতে সাংবাদিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ
গাজীপুরে ৩৯ দফা দাবিতে সাংবাদিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে মিনহাজ মান্নানকে অব্যাহতি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে মিনহাজ মান্নানকে অব্যাহতি

৩১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ: চসিক মেয়র
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ: চসিক মেয়র

৪২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদুল, সম্পাদক কামরুল
নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদুল, সম্পাদক কামরুল

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন
কুড়িগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় খোকন হত্যায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ায় খোকন হত্যায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ জনগণের নয়, উপদেষ্টাদের ভবিষ্যৎ সুবিধার জন্য: হাফিজ
জুলাই সনদ জনগণের নয়, উপদেষ্টাদের ভবিষ্যৎ সুবিধার জন্য: হাফিজ

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

১৫ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ঘোষণা
১৫ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ঘোষণা

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বাদুড়ের দেহ কেন জ্বলে ওঠে, রহস্য অজানা বিজ্ঞানীদেরও
বাদুড়ের দেহ কেন জ্বলে ওঠে, রহস্য অজানা বিজ্ঞানীদেরও

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নির্বাচনের আগে ইসলামকে রাজনৈতিক ফায়দা লাভে ব্যবহারের চেষ্টা : সালাহউদ্দিন
নির্বাচনের আগে ইসলামকে রাজনৈতিক ফায়দা লাভে ব্যবহারের চেষ্টা : সালাহউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৩
রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৩

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাইবান্ধায় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
গাইবান্ধায় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে গাছচাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
বাগেরহাটে গাছচাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নারীর ক্ষমতায়ন হবে: আনিসুল হক
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নারীর ক্ষমতায়ন হবে: আনিসুল হক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে অবসরপ্রাপ্ত ইমামকে রাজকীয় বিদায়
খাগড়াছড়িতে অবসরপ্রাপ্ত ইমামকে রাজকীয় বিদায়

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেনিয়ায় ভূমিধস, প্রাণ হারাল ১৩ জন
কেনিয়ায় ভূমিধস, প্রাণ হারাল ১৩ জন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
বরিশালে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ভূরুঙ্গামারী থানা পরিদর্শন
কুড়িগ্রামে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ভূরুঙ্গামারী থানা পরিদর্শন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি
ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চা বাগানের পাশে অজ্ঞাত নারীর রক্তাক্ত দেহ
চা বাগানের পাশে অজ্ঞাত নারীর রক্তাক্ত দেহ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাজায় যুবলীগ নেতা
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাজায় যুবলীগ নেতা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পকেটমার-চুরির অভ্যাস কোনভাবেই ছাড়তে পারলেন না এই অভিনেত্রী!
পকেটমার-চুরির অভ্যাস কোনভাবেই ছাড়তে পারলেন না এই অভিনেত্রী!

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বগুড়ায় পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
রাতেই যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস
রাতেই যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুদানে রাস্তায় শত শত লাশ, কবর দেওয়ার কেউ নেই
সুদানে রাস্তায় শত শত লাশ, কবর দেওয়ার কেউ নেই

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন বাংলাদেশ-নেপাল- শ্রীলঙ্কায় সরকার পতন, যা বললেন অজিত দোভাল
কেন বাংলাদেশ-নেপাল- শ্রীলঙ্কায় সরকার পতন, যা বললেন অজিত দোভাল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুরি বা নকল ফোন আর চলবে না দেশের নেটওয়ার্কে
চুরি বা নকল ফোন আর চলবে না দেশের নেটওয়ার্কে

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বঙ্গোপসাগরে একটানেই জালে উঠল ১৪০ মণ ইলিশ!
বঙ্গোপসাগরে একটানেই জালে উঠল ১৪০ মণ ইলিশ!

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে অর্ধকোটি মোবাইল সিম
আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে অর্ধকোটি মোবাইল সিম

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন আগ্রাসন ঠেকাতে রাশিয়া–চীন–ইরানের দ্বারে মাদুরো
মার্কিন আগ্রাসন ঠেকাতে রাশিয়া–চীন–ইরানের দ্বারে মাদুরো

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি
ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, শীর্ষ ইসরায়েলি জেনারেলের পদত্যাগ
ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, শীর্ষ ইসরায়েলি জেনারেলের পদত্যাগ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুদানে তিন দিনে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা
সুদানে তিন দিনে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গ্রেফতার
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজকের স্বর্ণের বাজারদর
আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্বাস্থ্য সহকারীরা স্বাস্থ্যখাতের সুনাম অর্জনের মূল কারিগর : ডা. জাহিদ
স্বাস্থ্য সহকারীরা স্বাস্থ্যখাতের সুনাম অর্জনের মূল কারিগর : ডা. জাহিদ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জিয়াউর রহমান খাল খনন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উন্নয়নের সূচনা করেছিলেন : বাবুল
জিয়াউর রহমান খাল খনন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উন্নয়নের সূচনা করেছিলেন : বাবুল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হিন্দুদের কিছু হবার আগে আমি ঢাল হয়ে দাঁড়াবো: টুকু
হিন্দুদের কিছু হবার আগে আমি ঢাল হয়ে দাঁড়াবো: টুকু

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক দেশ দুই ব্যবস্থা মানবে না তাইওয়ান
এক দেশ দুই ব্যবস্থা মানবে না তাইওয়ান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্বার খুললেও সেন্টমার্টিন যায়নি পর্যটকবাহী জাহাজ, হতাশ পর্যটকরা
দ্বার খুললেও সেন্টমার্টিন যায়নি পর্যটকবাহী জাহাজ, হতাশ পর্যটকরা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ নিয়ে যা বলল চীন-রাশিয়া
ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ নিয়ে যা বলল চীন-রাশিয়া

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ৩১০ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ৩১০ বাংলাদেশি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাগরে ফের লঘুচাপের আশঙ্কা, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
সাগরে ফের লঘুচাপের আশঙ্কা, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোট ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হবে অর্থহীন: জামায়াত আমির
গণভোট ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হবে অর্থহীন: জামায়াত আমির

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তুরস্কে হোটেলে ৭৮ জনের মৃত্যু: মালিক-ডেপুটি মেয়রসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন
তুরস্কে হোটেলে ৭৮ জনের মৃত্যু: মালিক-ডেপুটি মেয়রসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের সহায়তায় ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি জোরদার করছে ইরান, দাবি রিপোর্টে
চীনের সহায়তায় ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি জোরদার করছে ইরান, দাবি রিপোর্টে

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেজেন্টেশন বানিয়ে দেবে গুগলের জেমিনাই
প্রেজেন্টেশন বানিয়ে দেবে গুগলের জেমিনাই

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

৯৮ শতাংশ ভোটে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসান
৯৮ শতাংশ ভোটে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেইনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সবুজ সংকেত দিল পেন্টাগন
ইউক্রেইনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সবুজ সংকেত দিল পেন্টাগন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না বাংলাদেশ
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভেনেজুয়েলায় হামলা নিয়ে ট্রাম্পের সুর বদল
ভেনেজুয়েলায় হামলা নিয়ে ট্রাম্পের সুর বদল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে বাসদের কার্যালয় থেকে ২২ নেতাকর্মী আটক
সিলেটে বাসদের কার্যালয় থেকে ২২ নেতাকর্মী আটক

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিয়ামতপুরে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিয়ামতপুরে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
সরকারের বিরুদ্ধে সবাই
সরকারের বিরুদ্ধে সবাই

প্রথম পৃষ্ঠা

সামিরা আমাকে চুড়ি পরিয়ে দিয়েছিল - শাবনূর
সামিরা আমাকে চুড়ি পরিয়ে দিয়েছিল - শাবনূর

শোবিজ

রোহিঙ্গা শিবিরে নতুন ফাঁদ
রোহিঙ্গা শিবিরে নতুন ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া
ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

মানব পাচারের রুট নেপাল
মানব পাচারের রুট নেপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অবৈধ দোকানের দখলে গুলিস্তান
অবৈধ দোকানের দখলে গুলিস্তান

পেছনের পৃষ্ঠা

জাতীয় নারী দাবায় নোশিনের হ্যাটট্রিক
জাতীয় নারী দাবায় নোশিনের হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

দিনে বিক্রি কোটি টাকার সুপারি
দিনে বিক্রি কোটি টাকার সুপারি

শনিবারের সকাল

মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

হোয়াইটওয়াশও এড়াতে পারলেন না লিটনরা
হোয়াইটওয়াশও এড়াতে পারলেন না লিটনরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই হবে
নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

অমিত-রেখার প্রেম কেন ভেঙেছিল...
অমিত-রেখার প্রেম কেন ভেঙেছিল...

শোবিজ

নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন
নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

পেছনের পৃষ্ঠা

বাড়ছে অজ্ঞাত লাশের সংখ্যা
বাড়ছে অজ্ঞাত লাশের সংখ্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরায় শহীদ আবু সাঈদ-মীর মুগ্ধ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ
বসুন্ধরায় শহীদ আবু সাঈদ-মীর মুগ্ধ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

কমছে সবজির দাম ফিরছে স্বস্তি
কমছে সবজির দাম ফিরছে স্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন চান ছয় নেতা, জামায়াত ও অন্যদের একক
বিএনপির মনোনয়ন চান ছয় নেতা, জামায়াত ও অন্যদের একক

নগর জীবন

যেনতেন নির্বাচন হলে ফ্যাসিস্ট ফিরবে
যেনতেন নির্বাচন হলে ফ্যাসিস্ট ফিরবে

নগর জীবন

বাসার ছাদে আওয়ামী লীগ নেতা খুন
বাসার ছাদে আওয়ামী লীগ নেতা খুন

প্রথম পৃষ্ঠা

অব্যবস্থাপনায় জলুস হারাচ্ছে কক্সবাজার
অব্যবস্থাপনায় জলুস হারাচ্ছে কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব
আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব

প্রথম পৃষ্ঠা

উম্মতে মোহাম্মদীর চারিত্রিক মাধুর্য
উম্মতে মোহাম্মদীর চারিত্রিক মাধুর্য

সম্পাদকীয়

কর্ণফুলী টানেল এখন গলার কাঁটা
কর্ণফুলী টানেল এখন গলার কাঁটা

নগর জীবন

সরকার অনেক কিছু জোর করে গেলাচ্ছে
সরকার অনেক কিছু জোর করে গেলাচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতির সঙ্গে প্রতারণাকে আমরা ‘না’ বলেছি
জাতির সঙ্গে প্রতারণাকে আমরা ‘না’ বলেছি

নগর জীবন

জামালদের ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি
জামালদের ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি

মাঠে ময়দানে

টাকা দিয়ে মিছিল করাচ্ছে আওয়ামী লীগ
টাকা দিয়ে মিছিল করাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত
এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত

প্রথম পৃষ্ঠা