শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৯

বিভীষণ ও কাউয়াদের সামাল দিন

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু
প্রিন্ট ভার্সন
বিভীষণ ও কাউয়াদের সামাল দিন

রামায়ণের অন্যতম চরিত্র রাবণ। রাবণের ছোট দুই ভাই বিভীষণ ও কুম্ভকর্ণ। রাবণের সীতাহরণ মেনে নিতে না পারলেও পরিবারকে সমর্থন দিয়েছিলেন কুম্ভকর্ণ। বিভীষণ কিন্তু তা করেননি। পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। শাস্ত্র থেকে যতটুকু পাওয়া যায় তাতে সত্যের পক্ষে ছিলেন বিভীষণ, ছিলেন ধর্মের পক্ষেও। কিন্তু আপন পরিবারের সঙ্গে শত্রুতা করায় ইতিহাস তার পদবি নির্ধারণ করে ‘বিশ্বাসঘাতক’। তৈরি হয় তিন শব্দের ঘৃণ্যতম বাগধারা- ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’। বাংলাদেশে ঘরের শত্রু বিভীষণের বহুল প্রচলন শুরু হয় ’৭৫-এর আগস্ট। বঙ্গবন্ধু যাদের আগলে রাখলেন, বিশ্বাস করলেন; সেই তারাই স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে বিরোধী পক্ষ হয়ে ষড়যন্ত্র করলেন। ফলে এলো ১৫ আগস্ট। জন্মদাতাকে অস্বীকার করে কোনো মানুষের পরিচয় দেওয়া যদি অর্থহীনতা হয়, তবে ‘বাংলাদেশি’ পরিচয় নিয়ে রাষ্ট্রের ভালোমন্দের পাশে না থেকে ষড়যন্ত্র করাও এক ধরনের অর্বাচীনতা ও অপরাধ। কেন এই কথা- সেই ব্যাখ্যায় পরে আসব, আপাতত প্রাসঙ্গিকতার স্বার্থে ‘ডেঙ্গু’ ক্রাইসিস নিয়ে দুটো কথা বলতে চাই।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৩২ ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসাব বাদ দিলে এ সংখ্যা যে আরও বেশি হবে, তাতে বোধহয় কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। এই মৃত্যু কি প্রাকৃতিক? অনিবার্য ছিল? এডিস মশা কি প্রতিরোধযোগ্য ছিল না? ডেঙ্গুর উত্থান তো ২০০০-এ, অর্থাৎ দুই দশক আগে (স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, ওই বছরই ৯৩ জন নিহত হয়েছেন)। কিন্তু হঠাৎ করেই তা আবার জেঁকে বসল কী করে?

এডিস মশা দমনে কী করলেন ক্লিন ঢাকার স্বপ্ন দেখানো আতিকুল ইসলাম-সাঈদ খোকন ও তার কাউন্সিলরসহ দলবলরা? ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য বছরজুড়ে যে কাজটি করতে হয়, তা হলো- মশা মারার ব্যবস্থা করা, জঞ্জাল সাফাই করা, যেখানে সেখানে পানি জমতে না দেওয়া। মোটা দাগে এই তিনটি কাজ করার কথা ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। সারা বছর এই সেবামূলক কার্যক্রম চলতে থাকে কিন্তু কী হলো! নগর পিতা পরিচয়ে রাজধানী দাপিয়ে বেড়ানো দুই মেয়রকে যুক্তরাজ্য থেকে নির্দেশ দিতে হলো প্রধানমন্ত্রীকে। বলা হলো, কার্যকর ওষুধ আমদানি এবং তা ছিটাতে। তাহলে কি আমরা প্রশ্ন তুলতে পারি, অকার্যকর ওষুধ ছিটিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল? যে কারণে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। তা ছাড়া আতিক-খোকন চাইলেও কি এতগুলো মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন? সিনেমার ও নাটকের নায়ক-নায়িকাদের সঙ্গে হাতে ঝাড়ু নিয়ে চকচকে-ঝকঝকে পরিষ্কার রাস্তায় ছবির পোজ দিয়ে তারা কি নিজেদের ইমেজ খাটো করলেন না? উপহাস ও হাসির খোরাক হলেন না?

সাধারণের ধারণা বা প্রশ্ন এটাও ওঠে, দুজনের একজনকে পিতার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দক্ষিণের মেয়র বানানো হয়েছে। অথচ এই সেদিনই তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিকে অস্বীকার করে ওয়ান-ইলেভেনে (২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি) সুযোগসন্ধানীদের গড়া ‘কিংস পার্টি’তে যোগ দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে অনেক আজে-বাজে কথাও বলেছিলেন। নিজ নেত্রীকে মাইনাস করে নিজেরা হিরো হতে চেয়েছিলেন। তার (সাঈদ খোকন) তো নৈতিক চরিত্রের পরিচয় তখনই পাওয়া গেছে। তাহলে কি তিনি পিতার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদ পাওয়ার যোগ্য? প্রশ্ন থেকে যায়।

অন্যদিকে উত্তরের এক ব্যবসায়ীর কাঁধে নৌকা তুলে দেওয়া হলো। বঞ্চিত হলেন অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মী। যারা লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন, নির্যাতন ভোগ করেছেন, জেল খেটেছেন; এমনকি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তার কন্যার জন্য জীবনও বাজি ধরেছেন। অথচ যার কাঁধে নৌকা দেওয়া হলো, তিনি প্রকাশ্যেই স্বীকার করলেন- তিনি ‘অনভিজ্ঞ’। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের সংস্পর্শহীন তো বটেই, মেয়র হিসেবেও দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা ও যোগ্য প্রশাসকের ঘাটতি তার মধ্যে রয়েছে। হয়তো শক্তিধর কোনো ব্যবসায়ী লবি আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রয়োজনে তাকেই প্রয়োজন বিবেচনা করে ব্যবসায়িক রাজনীতির হিসাব-নিকাশে দলীয় স্বার্থে তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে থাকতে পারেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার কৌশলী ও বাস্তবমুখী রাজনীতি বিবেচনায় এ দুটো সিদ্ধান্তই তার উদার মনের পরিচায়ক। সংকটকালে এদের দুজনের দায়িত্ব নেত্রী নিজের কাঁধেই নিয়েছেন। তবে আমার শঙ্কা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে শানিত করে নীতি ও নৈতিকতার সঙ্গে নগর পরিচালনায় সাফল্যের স্বীকৃতি কি এরা পাবেন?

দুই. আজ আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ কর্তৃক পৃথিবীর দ্বিতীয় ফেবারিট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃত। শিশু স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে সম্মানজনক ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পিতা মুজিবের স্বপ্ন ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পথের অনেকটাই পাড়ি দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী ব্যবসায়িক সাময়িকী ফোর্বস ইতিমধ্যে তাকে বিশ্বের ২৬তম ক্ষমতাধর নারী হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্থান করে নিয়েছেন ‘দ্য ফরেন পলিসি’ প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদের তালিকায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের অন্যতম নেত্রী ও পথপ্রদর্শক। সেজন্যই ভারত ও পাকিস্তান তার কাছ থেকে উন্নয়নের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব শিখতে চায়। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধীও সম্প্রতি বলেছেন, শেখ হাসিনা আমার পথপ্রদর্শক এবং উন্নয়নের রাজনীতির জন্য প্রেরণার উৎস। শুধু প্রিয়াংকা গান্ধীর নয়, আমাদের নেত্রীকে বিশ্ব নেতৃত্বের মোড়লরাও ইতিমধ্যে বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আজ বিশ^ নেতৃত্বে শেখ হাসিনা, বিশ্ব নেতৃত্বে বাংলাদেশ। এটা আমাদের গর্ব, বাঙালি জাতির গর্ব, মুজিব অনুসারীদের গর্ব। শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনা নয়, দল আওয়ামী লীগও এখন অনন্য উচ্চতায়। কমাস আগেই সাত দশকে পা দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের এই সময়ে দেশ উঠেছে উন্নয়নের মহাসড়কে, পৌঁছেছে স্বল্পোন্নয়ন থেকে উন্নয়নশীলে। সংক্ষিপ্তভাবে বলতে গেলে ক্ষমতাকালীন শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল- ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। কৃষকের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করার পদক্ষেপেও তিনি পিছিয়ে ছিলেন না। আইনি যুদ্ধের মাধ্যমে সমুদ্র বিজয় ও শান্তিপূর্ণভাবে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ক্যান্সার নির্মূল অর্থাৎ সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে নিজ ভূমি উদ্ধারও তার অনবদ্য অর্জন।

বঙ্গবন্ধুকন্যার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণ-পরবর্তী বাংলাদেশের চিত্রটি ছিল আরও উজ্জ্বল। এই সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকের জন্য কৃষি কার্ড ও ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা, বিনা জামানতে বর্গাচাষিদের ঋণ প্রদান, চিকিৎসাসেবার জন্য সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৩৮ দশমিক ৪ থেকে ২০১৩-১৪ বছরে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে হ্রাস, জাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনার শান্তির মডেল গ্রহণ ইত্যাদি। তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা আওয়ামী সরকারকে তো স্বচক্ষেই দেখছি। ঘোষিত হয়েছে ইতিহাসসেরা ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট। পদ্মা সেতুর কাজে অনেক অগ্রগ্রতি হয়েছে, রাজধানীজুড়ে চলছে মেট্রোরেল নির্মাণকাজের দুর্বার গতি। কদিন আগেই অর্থনীতির ‘লাইফ-লাইন’ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উপহারের এই তালিকা দিন দিন বাড়ছে। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নকামী দেশগুলোর দুটো জিনিসের বড় অভাব। এক. সৎ ও সততার চর্চাকারী সাহসী রাজনীতিবিদ। দুই. উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। জননী সাহসিকা সুফিয়া কামাল আশাবাদ করে বলেছিলেন, ‘পরম প্রত্যাশায় আছি, শেখ হাসিনা মৃত্যুর ভয়ে পশ্চাৎপদ হননি। সাহসের সঙ্গে সংগ্রামে এগিয়ে অগ্রবর্তিনী হয়ে আমাদের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন আর ঘাতক মূষিক গোপন থেকে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পদদলিত হওয়ার আশঙ্কায় কৃমিকীট হয়ে আত্মগোপন করেছে।’ সম্ভবত এ কারণেই সর্বনাশা পদ্মায় সাহসী স্বপ্নযাত্রার রোডম্যাপ (পদ্মা সেতু) এঁকেছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পর বিশাল এ প্রকল্প হাতে নেওয়ার ঘটনায় অনেক দেশ ও সংস্থা এবং সরকারের মধ্যেও কোনো কোনো নীতিনির্ধারক সন্দেহ ও বিস্ময় প্রকাশ করলেও সে স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান। সর্বশেষ তথ্যমতে, ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুর কাজ ইতিমধ্যেই ৮১ শতাংশ শেষ হয়েছে (প্রথম আলো, ৭ জুলাই, ২০১৯)। শুধু পদ্মা সেতু নয়, বড় বড় প্রকল্প নিয়ে তার (শেখ হাসিনা) সাহসী সিদ্ধান্তগুলোও বেশ প্রশংসার দাবিদার। এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে বাংলাদেশ। গত বছরের ৩০ নভেম্বরের পর থেকে দেশ এখন বিশ্বের ৩১টি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের তালিকায়। রয়েছে মহাকাশজয়ের মতো বিশাল অর্জন। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ উপগ্রহ সফলভাবে মহাকাশে যাওয়ায় বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হয়েছে বাংলাদেশ; যার সফল বাণিজ্যিকীকরণও কয়েক দিন আগে শুরু হয়েছে। গড় আয়ু হয়েছে ৭১ বছর। এসব আমাদের স্বস্তির জায়গা, আশাজাগানিয়ার গল্প।

তিন. টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় শেখ হাসিনার নৌকা। স্বভাবতই সেই নৌকায় শুভাকাক্সক্ষীর ভিড় বেশি। বেশি বললে ভুল হবে, বরং এতটাই যে নড়াচড়ার জো নেই। এ কথাটাই বেশ গুছিয়ে বলে থাকেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার ভাষায়Ñ ‘প্রতিবারই ক্ষমতার আসার সঙ্গে সঙ্গে দলে কিছু “কাউয়া” ঢোকে। ওরা ’৭১-এ ছিল, ’৭৫-এ ছিল।’ আমি বলি, ২০১৯-এও আছে। প্রচার লীগ, তরুণ লীগ, কর্মজীবী লীগ, ডিজিটাল লীগ; আছে হাইব্রিড লীগও। দলের নামে ‘লীগ’ না থাকলেও যে নৌকায় ঠাঁই হয়নি, এমন নয়। শুধু ঠাঁই নয়, বড় বড় পদও পেয়েছেন অনেকে।  এরা ঘটনাক্রমে অনুপ্রবেশকারী নয়, সচেতনভাবে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। স্মরণ রাখতে হবে যে, খুনি জিয়া মাথা নত করে দরখাস্ত দাখিলপূর্বক বঙ্গবন্ধু-ঘোষিত বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তিনি মোশতাকের খুনি চক্রের সক্রিয় সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সিক্ত দেশপ্রেমিক দলসমূহের রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজনে জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ঐক্যজোট গঠন করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল মহৎ। জাতির কল্যাণে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা। এটা কোনো দুর্বলতা ছিল না। এই ঐক্যজোটে যোগ দিয়ে জনপ্রিয় আওয়ামী লীগের সহায়তায় অনেক দলীয় প্রধান মন্ত্রিত্বইও পেয়েছেন। যাদের একজন কিনা কোনো কারণ ছাড়াই অযথা ক্ষমতায় থাকাকালীনই (৮ নভেম্বর, ২০১৭) হুমকি দিয়ে বসলেন, ‘আমরা (জাসদ) না থাকলে আওয়ামী লীগকে রাস্তায় ফ্যা ফ্যা করে ঘুরতে হবে; হাজার বছরেও ক্ষমতার মুখ দেখবেন না।’ আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা এক টাকার মালিক নন, ৮০ পয়সার মালিক। এরশাদ, ইনু, দিলীপ বড়ুয়া ও মেননকে নিয়েই আওয়ামী লীগের এক টাকা হয়েছে।’ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে জয়ের পরও সরকারি দল-বিরোধী দল প্রশ্নে নানা বিব্রতকর বক্তব্য এসেছে তার মুখ থেকে। তারা তো আছেন, কিন্তু মন্ত্রিত্ব পাননি, তবে নৌকায় পা দিয়ে সংসদে এসেছেন ঠিকই। এসেছেন তাদের নতুন সতীর্থরাও।

অথচ ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮-এর পর আরেক ডিসেম্বর না আসতেই সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন তারা। প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্র্ত অংশগ্রহণে আওয়ামী লীগ ও সহযোগীরা নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছেন। কিন্তু এরা বিএনপি-জামায়াতের চেয়েও জোর গলায় নির্বাচনকে কলঙ্কজনক আখ্যায়িত করে এর দায়ভার আওয়ামী লীগকে নিতে হবে মর্মে হুঙ্কার দিচ্ছেন। তাদের পার্টি ফোরামেও চলছে সরকারের সমালোচনার ঝড়। পত্রিকায় দেখলাম, একজন পার্টিপ্রধান অত্যন্ত রূঢ় ভাষায় সরকার পরিচালনায় চরম দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে জননেত্রীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। এই লক্ষণ সুখকর নয়। মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য জাতি অবশ্যই তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে বা করবে; কিন্তু সাময়িক ক্রাইসিসের মুহূর্তে মূল দল আওয়ামী লীগের দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে ‘শাসিয়ে কথা বলা’ কি এটাই প্রমাণ করে না যে, তারা আওয়ামী লীগকে প্রকারান্তরে হুমকি দিচ্ছেন? আমার তো তাই মনে হয়। তাই আমি শঙ্কিত হই। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা অনেক পীড়াদায়ক। ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পটভূমি কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, কারা সৃষ্টি করেছিল তা আমাদের অজানা নয়। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলাম। সারা দেশ ছিল অস্থির। কোথাও রেললাইন পুড়িয়ে দেওয়া হয়, কোথাও পাটের গুদামে আগুন ধরানো হয়, থানা হামলা করে অস্ত্র লুট করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসা ঘেরাও করে সন্ত্রাস সৃষ্টি শুধু নয়, গুলিও চালানো হয়েছিল, ফলে কয়েকজন হতাহতের ঘটনাও ঘটেছিল। বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে অপহরণের চেষ্টা করে সদ্যস্বাধীন দেশকে অকার্যকর দেশ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা হয়েছিল। কৃত্রিম খাদ্য সংকটকালে খাদ্যভর্তি দুটি জাহাজ দেশে আসার পথে মাদ্রাজ উপকূলে সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ‘উদ্ভট সমাজতন্ত্রে’র ধারণা দিয়ে গণবাহিনী সৃষ্টি করে শত শত মুজিবাবাদী ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা করা হয়। সদ্যস্বাধীন প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশে সিরাজ সিকদারকে সহায়তা করে দিনের পর দিন হরতালের ডাক দেওয়া হতো। জনগণের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হতো। এসব তো আমরা ভুলে যাইনি। ১৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ঘটনাগুলো এবং ৩ নভেম্বরের ঘটনা পর্যালোচনা করলে তাদের আজকের এ অবস্থান নিশ্চয়ই আমাদের দারুণভাবে শঙ্কিত করে তোলে। বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াকে নির্ঘাত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে তথাকথিত সিপাহি জনতার উচ্ছ্বসিত মিছিলে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তা জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে এবং আমরা ভুলিনি। আমার মনে হয়, এভাবেই বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডকে শুধু উপেক্ষা নয়, অবজ্ঞাও করা হয়েছে। সন্দেহ এখানেই।

জীবদ্দশায় এই সুখ-পাখিদেরই ‘হঠকারী দল’ আখ্যা দিয়ে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান নেতা প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ। কিন্তু জাসদের নেতা-কর্মীরা এ সফল মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছিল। এদের একজনকে আবার মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়েছে, যার প্রায়শ্চিত্ত আওয়ামী লীগকে আজীবন করতে হবে।’ (বিডিনিউজ, ১৩ জুন, ২০১৬)। সৈয়দ আশরাফ চলে গেছেন গত ৩ জানুয়ারি। অথচ বছর না ঘুরতেই তার বলে যাওয়া সেই প্রায়শ্চিত্ত শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীেেগর এই সহযোগীদের উল্টো সুর তো এটাই প্রমাণ করে। হ্যাঁ, বলতে পারেন তারা গঠনমূলক সমালোচনা করছেন বা সতর্ক করছেন; কিন্তু আমার অতীত অভিজ্ঞতা তো আমার মনে হতাশারই জন্ম দেয়। শঙ্কা এখানেই।

জীবনের কোনো পর্যায়ে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ না করেও অনেকে ব্যবসায়ী থেকে আওয়ামী লীগের নমিনেশনে এমপি হয়েছেন, এসেছেন হাওয়া ভবনের সদস্যরাও। সাম্প্রতিক জননেত্রী শেখ হাসিনার অভিযানে এর অনেকটাই খোলাসা হয়েছে ইতিমধ্যে। উচ্চৈঃস্বরে অনেক কথা বলা হলেও থেমে নেই যুদ্ধাপরাধী বা তাদের উত্তরসূরি ও আওয়ামীবিদ্বেষী বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের দলের বিভিন্ন পর্যায়ে স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান। জেলা থেকে কেন্দ্র পর্যায়ে এদের দলে যোগদান অব্যাহত রয়েছে। শুধু বিএনপি-জামায়াত থেকে নয়, যুদ্ধাপরাধীর সন্তান বা তাদের উত্তরসূরিরাও মহাসুখে দলে দলে যোগ দিচ্ছে আওয়ামী লীগে। এ যোগদানে সহায়তা করছেন ক্ষমতাসীনরাই। নেত্রীর কোনো হুঁশিয়ারির প্রতি তারা ভ্রুক্ষেপ করছেন না। ওবায়দুল কাদেরের (কাউয়া) বা কাক সম্ভবত এরাই।

লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক দুদক কমিশনার।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
ভিসা জটিলতা
ভিসা জটিলতা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
সর্বশেষ খবর
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন

এই মাত্র | পর্যটন

সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি
প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উখিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
উখিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী মাসে ঢাকায় আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
আগামী মাসে ঢাকায় আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব
সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’
‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা
শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’
জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি
৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু
২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু

৮ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির
ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ
ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল
ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

১২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের হামলায় গাজার মতো ধ্বংসস্তুপ হয়েছে ইসরায়েলের যে শহর
ইরানের হামলায় গাজার মতো ধ্বংসস্তুপ হয়েছে ইসরায়েলের যে শহর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন
গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যাংক হলিডে মঙ্গলবার, বন্ধ থাকবে লেনদেন ও শেয়ারবাজার কার্যক্রম
ব্যাংক হলিডে মঙ্গলবার, বন্ধ থাকবে লেনদেন ও শেয়ারবাজার কার্যক্রম

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ওজন কমাতে মেনে চলুন এই ৫টি সহজ নিয়ম
ওজন কমাতে মেনে চলুন এই ৫টি সহজ নিয়ম

২০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ
ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ
সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে

শিল্প বাণিজ্য

ফুল চাষে ভাগ্য বদল
ফুল চাষে ভাগ্য বদল

পেছনের পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল
পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল

নগর জীবন

এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে
এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে

নগর জীবন